ক.
আশ্চর্যগুলো ক্রমশ
মদিরায় ঝিম
রোদের বিজ্ঞাপন
প্রচলিত ছায়ার দেহে
সেঁটে দেয় ঘুণ
না দেখা লজ্জায় ঝিঁঝির ঝুরমুর
নেশার লালচে লালায় সমুদ্রের ক্ষীণ
সমস্ত গুমশুম জপছে ঝিল
আলো না আলেয়া। না-সমঝ বিকিরণ
প্রস্তাবিত পাথর খুলছে মনের খিল
খ.
নিরেট থেকে থিতু আরও পাথর
একটু অনুদানে
চেতনার ঘষামাজায় ক্ষয়িষ্ণু নুন
ছিটেফোঁটা কামনার আল
গতরে ফসল
নীলিমার অতলে ডোবা
সূর্যের নাভি ধরে টানছে সকালের ধুন
মখমলি আতরে উন্মাদ রোদ
মায়ের ছায়ার খোঁপায় এসে হেসে হয় খুন
গ.
দ্রবীভূত আবছা রঙের সুতোয়
ক্ষয়েছে চোখ বালির গোধূলিও
আহা উটের মতো আলোর ভরপুর
জমে থাকা ডানায় পোষা
লাল-নীল হ্রদের গাঢ়
বাবলার বুঁন্দ
মন থেকে মনের শূন্যতায়~
লয় থেকে লয়-এ
রঙিন পোড়া ইট। আঠালো
লাগাম টানছে সঙের মুখোশ
ঘ.
চকচকে চোখ জলের শিকার
মাছরাঙা ডালে
কেঁচোর টোপে বড়শির প্রাণ
ভাবনায় রোদের সেলাই
ভ্রমর আসে মাঘের শেষে
দশতলায় দাঁড়িয়ে টিয়া
মেঘের আল্পনা দিয়ে করেছে সব ঋণ শোধ
মাছরাঙা বোঝে এসব গুণ
কীভাবে নালের পেরেক
শব্দ চিনে করতে হয় খুন
ঙ.
চেরাই হতে হতে মন আর মনে নেই
কত ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কণায় ভেঙেছে
তুলোর তন্তুই দামাল বাতাস লেগেছে কবেই
মনে নেই এই বার্ধক্যে পচা জলাশয়
ভরেছে কচুরিপানায়
দল ও দঙ্গলে ছল ও কলায়
তবুও তো চেরাই হয় কাঠমিলে
অমূল্য উদ্ভিদ।
চেরাই হতে হয়, তা না হলে…
চ.
প্রগাঢ় কালো বিড়ালের ছায়ায় লেজের অভিলাষ
হাড়হিম জলের পোশাকে
বহুরূপী রাজপথ নিচ্ছে আস্ত আমির দখল
এই দোটানায় বুঝি বন্দি কথারাও
কলার তুলতে নারাজ
জমাট ভয়ে শুকিয়ে উঠছে বুকও
খুলেছে আস্ফালনের দেরাজ