অনুপ্রাণন, শিল্প-সাহিত্যের অন্তর্জাল এ আপনাকে স্বাগতম!
ডিসেম্বর ২৬, ২০২৫
১১ই পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ডিসেম্বর ২৬, ২০২৫
১১ই পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইমরুল হাসান -
ইমরুল হাসান – যুগল কবিতা

ক্ষুধা

পেট ভরা ক্ষুধার সাথে পারি না— মেনে যাই হার,

একদলা মগজে আসে না আর অন্য কোনোকিছু,

কী যন্ত্রণা, দলা পাকানো ক্ষুধাটা ঘোরে পিছুপিছু! হারিয়ে যায় চেনা স্মৃতি থেকে এই বিশ্বসংসার।

অথচ রসুই ঘরে মাটির চুলাটা নিরুত্তাপ,

হাঁড়িরা উল্টে আছে চুলার চিবুকে, শূন্য ভাঁড়ার, সেখানে বলো স্থান কই আমার অবুঝ ক্ষুধার?

দৈন্য আমার ক্ষুধার কাছে করজোড়ে চায় মাফ।

একদিন হাল-জমি হবে তো— চিন্তার কিছু নাই, লাঙল ফলায় চাষ হবে, জমিন ভেজাবে জল, ঘরেতে আসবে হারেক রকম সব শস্য-ফল

খে-ও তুমি— এ কথা আমি কী করে ক্ষুধাকে বোঝাই? বলো তো আমি কি ক্ষুধার জ্বালায় মরে যাবো তবে! আর, তাকিয়ে সবল চোখে তামাশা দেখবে সবে?

অ্যা জার্নি উইথ ইউ

আসছে বছর শুরুর দিকে আসো শিওর

টিকিট কেটে রেখে দিলাম—

তোমায় নিয়ে মেট্রোরেলে— ঢাকার বুকে

উন্নয়নের হাওয়া খাব।

তোমার সাথে আমৃত্যু এক জার্নি হবে

নোটবইয়ে ছক কষে নিলাম—

মাঝপথে পথ শেষ হবে না— থাকবে যখন

পায়ের তলায় উন্নয়নের মহাসড়ক।

অপূর্ণতার অশ্রুজলে— গলবে না দিন,

ডাগর চোখের কাজলরেখা

কিংবা মুখের ফাউন্ডেশন— দীর্ঘসময়

জন্মটা যার সাজের ঘরে।

উন্নয়নের সিঁড়ি হেঁটে— তোমায় নিয়ে

পৌঁছে যাব স্বপ্নডেরায়,

হতাশায় খুন হবে না প্রাণ— একপলকে

বালুর বাঁধের মতো করে।

 

Read Previous

ধানমন্ডির বত্রিশ নম্বর বাড়ি 

Read Next

লর্ড ডানসানি’র সাতটি উপকথা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *