
দ্বিধা থেকে যায় খুব
পৃথিবীটাকে পেয়েছে আস্ত মাংসপিণ্ড!
তারা স্থির চেয়ে থাকে রাক্ষসের চোখে।
দৈত্য-গ্রাসে গিলে ফেলে মর্ত্যের সবটুকু;
সর্বভুক তেলাপোকা অসহায় হয়।
পিঁপড়াদের খাদ্যে আজ গভীর সংকট!
এও বুঝি হয় নাকি রাক্ষসের রাজ্যে!
যত সব জোঁক-মশা অপলক দেখে—
এতদিন যারা রক্ত চুষে খেয়েছিল
সূক্ষ্ম ফোঁটায় ফোঁটায়; এখন হাঁ-করে
অ্যানাকন্ডার মতন শিকার বানায়।
রাক্ষুসে শ্বাসের সাথে সব কিছু করে
কুক্ষিগত অনায়াসে, অবিচারে হায়!
তাই বলি, তারা নেতা নাকি অভিনেতা!
দ্বিধা থেকে যায় খুব মগজে অযথা।
অভাব ও আবদার
কথা ছিল হাটে গিয়ে বেচে আসব পণ্য;
নিজের উৎপন্ন দ্রব্য, যা কিছু অভাব
মেটায়। গভীর নিষ্ঠা, মায়া ছিল তাতে।
রোদে পুড়ে, জলে ভিজে পাহারা রেখেছি;
পোকায় খেতে দেই না। গবাদির দুধ
আহরণ করি যত্নে বিন্দু বিন্দু সেচে।
হাটের পথে পা ফেলি। বুকের ভেতর
উদাস মনের বাঁকে বউয়ের তামাটে
মুখ ভাসে লাল শাড়ি আর আলতামাখা
পায়। মেয়ে কাল বলে, ‘বাজান, নতুন
পুতুল আমার চাই।’ ছেলের চাহিদা—
দিতেই হবে এবার খেলার বন্দুক!
পণ্যের রঙ ছড়ালো; দুধের ঘটিতে
পানির ঢল নেমেছে। শুরু হয় বেচা!
সমর আরিফ : প্রমোশন অফিসার, বিসিক জেলা কার্যালয়, কুড়িগ্রাম।