
(এমিলি ডিকিনসন বিশ্বসাহিত্যে এক পরিচিত নাম। তিনি ১০ ডিসেম্বর ১৮৩০ সালে আমেরিকার আমহার্স্টে জন্মগ্রহণ করেন। ব্যক্তিজীবনে আইনজীবী ও কংগ্রেসম্যান হলেও তিনি কবি হিসেবেই সবার কাছে পরিচিতি লাভ করেন। মানব জীবনের বিশেষ করে আধুনিক সমাজের নামে উন্মত্ততার কারণে নৈতিক স্খলনকে কেন্দ্র করে অস্থিতিশীলতাকে ধারণ করে তার কাব্যচর্চা। তিনি পেশাগত দায়িত্বের বাইরে লোকসমাগমকে এড়িয়ে চলতেন। তিনি ১৫ মে ১৮৮৬ সালে মৃত্যুবরণ করেন।)
॥১॥
স্বর্গ কত দূর?
স্বর্গ কত দূর?
মৃত্যু যেহেতু তার গন্তব্যে–
নদী কিংবা সেতুর বাহিরে
কোনো আবিষ্কার ছিল না।
নরক কত দূর?
মৃত্যু যেহেতু তার গন্তব্যে–
সমাধি বাঁ-দিকে কত দূর?
যখন ভূ-সংযোগ অস্বীকার করো!
॥২॥
আমার ঘৃণা করার সময় ছিল না কারণ…
আমার ঘৃণা করার সময় ছিল না, কারণ…
কবর আমাকে পথরোধ করেছিল,
এবং জীবনটা যথেষ্ট প্রশস্ত ছিল না
আমি সকল বিদ্বেষ ধ্বংস করতে পারতাম।
আমার ভালোবাসার কোনো সময় ছিল না, কিন্তু তখন থেকে
অনেক শ্রমসাধ্য পরিশ্রম অবশ্যই থাকবে,
আমি চিন্তা করেছিলাম, ভালোবাসার অল্প শ্রম
আমার জন্য যথেষ্ট ছিল।
॥৩॥
আমি কেউ না! তবে তুমি কে?
আমি কেউ না! তবে তুমি কে?
তুমিও কি তবে কেউ না?
তবে সেখানে একজোড়া আমরা আছি!
বলো না!-তুমি জানো-তারা তোমাকে নিয়ে বিজ্ঞাপন দিবে!
॥৪॥
সব সত্য বলো কিন্তু তির্যকভাবে বলো নয়
সব সত্য বলো কিন্তু তির্যকভাবে বলো না-
ক্রমাগত ঘুর্ণায়মান মিথ্যায় সফলতা
আমাদের জন্য অতি উজ্জ্বলতা দুর্বল পরিতৃপ্তি
যেভাবে আলোক ঝলকানি শিশুদের জন্য সহজ
ব্যাখ্যাদীপ্ত দয়ার পরশ
সত্য অবশ্যই ক্রমাগতভাবে প্রতিষ্ঠিত হতে হবে
অথবা প্রত্যেক মানুষকে অন্ধ হতে হবে-
(অনুবাদক: সহকারী অধ্যাপক, ইংরেজি বিভাগ, নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউ, কাওরান বাজার, ঢাকায় কর্মরত)