
এই পথটি ধরেই চলাচল—
এই পথই হয়তো জীবন নামের এক একটি প্রেষণা
যে পথে রোজ হাঁটে অনিশ্চয়তার সূত্রে নিশ্চয়তা
সে পথ কোথায়, কেমন— নামপদ নাকি ক্রিয়াপদ?
কেমন করে শেষ হয় সে পথ, কেমন তার সমাহার!
সময়ের মোড়কে হয়তো জীবন নামের মাটির বসন।
দ্বিচলক সূত্রেই তার নব উত্থান—
এক প্রেমের প্রেষণায় সে নদীর মর্মরেখার ঢেউ
অনন্তকালের জীয়নকাঠিই তার সেই মহাপৃথিবী
জীবনের শরীরে ভর করে বেঁচে থাকে আয়ু নামে
সুখ, প্রেম, শ্রেষ্ঠত্ব— কত পথে যোগ-বিয়োগ ধাবমান
অ্যামিবা বা স্তন্যপায়ী- কত ধারাপাতে নিত্য বহমান।
তবুও পুণ্য আর পূর্ণতার জল-পেরেকে গেঁথে নেয়
জীবনের খেলাঘর— মৃত্যুর মতো পরাজয় জেনে
তবুও সব আত্মারই মসনদ চাই, চাই স্বয়ম্ভু ঘোষণা
জীবনের নাম করে হেঁটে চলছে যেন মৃত্যুর সাতকাহন
লুটোপুটি প্রেমের নামে হোক না লুট আয়ুর সিংহাসন।
জিয়াউল হক সরকার
জিয়াউল হক সরকার। কবিতা-যাপন আর ছোটগল্পে বসবাস। জন্ম ১৯৮৮ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর; কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার ঈশ্বর বরুয়া গ্রামে। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। এখন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে এম. ফিল কোর্সে অধ্যয়নরত।
সাহিত্য, সমাজ-সংস্কৃতি, চলচ্চিত্র, রাজনীতি ও গণমাধ্যম বিষয়ে পাঠ ও চর্চায় তাঁর আগ্রহ। এসব বিষয়ে ছাত্রাবস্থা থেকেই লেখালেখি করছেন বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক, ম্যাগাজিন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থগুলো হলো— ‘বৃষ্টিরা একা আসে না’ (কাব্যগ্রন্থ, অনুপ্রাণন প্রকাশন, ২০২৩), ‘হিমশীতল মুখ’ (গল্পগ্রন্থ, পরিবার পাবলিকেশন্স, ২০২৩), ‘পলকে পতন ঘটে’ (কাব্যগ্রন্থ, পরিবার পাবলিকেশন্স, ২০২০), ‘মুক্তিযুদ্ধের চলচ্চিত্রে মানবতাবিরোধী অপরাধের উপস্থাপন’ (গবেষণাগ্রন্থ, সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ২০১৭)। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন যুক্ত ছিলেন দীর্ঘায়ু আবৃত্তি সংগঠন ‘স্বনন’-সহ বির্তকচর্চা ও সাহিত্য-সাংস্কৃতিক নানা কাজের সঙ্গে। এছাড়া চলচ্চিত্রবিষয়ক পত্রিকা ‘ম্যাজিক লণ্ঠন’-এর সহকারী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
বর্তমানে ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর-এ পরিচালক (গবেষণা ও সম্প্রসারণ) অফিসে সহকারী পরিচালক পদে কর্মরত। এছাড়া তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজের অধীনে ‘জুনিয়র রিসার্চ ফেলো’, তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের ‘গবেষণা ফেলো’, এবং একটি কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানে ‘মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স অফিসার’ হিসেবেও কাজ করেছেন।