
বিভীষিকাময় ক্রান্তিলগ্নে জমেছে কালো মেঘ।
গলাচেপে শ্বাসরুদ্ধ করার আপ্রাণ চেষ্টায় অমোঘ।
ছাড়াবার চেষ্টা করি দু’হাতে সর্বশক্তি দিয়ে—
কিন্তু বুদ্ধির ঢাল খান খান হয়ে যাচ্ছে ভেঙে চুরে!
আর্দ্র আয়রন অক্সাইড জমেছে অপ্রস্তুত তরবারিজুড়ে।
বহুকাল ফেলে রাখা ছিল অবহেলা আর অনাদরে।
অকেজো আর অব্যবহারযোগ্য হয়ে পড়েছে—
তার ধারাল তীক্ষ্ণতা হারিয়ে ফেলে!
গভীর জঙ্গলের শেকড়ের গাদার মতো—
আষ্টেপৃষ্টে ধরেছে পা-দুটো।
চেষ্টা করি ঝাঁকুনি দিয়ে সজোরে ছিটকে ফেলে—
উদ্ধার করতে পা-দুটোকে একাধিক বারে!
কিন্তু নাহ কিছুতেই উদ্ধার মিলছে না কোনোভাবে!
সময় আজ এখানে আবদ্ধ হয়ে পড়েছে,
বড় বড় বিষাক্ত তীর ধনুক ঘেঁষে যাচ্ছে,
এ কূলে শুধু শঙ্কা আর ভীতি ছেয়ে বসেছে!
কী করি? যখন ভেবে না পাই আবদ্ধ হয়ে—
মনেরে বলি করো তুমি আলিঙ্গন মৃত্যুকে সানন্দে।
মরণের পরেই তোমার যেন পুনরুদ্ধার হয়!
আর না হয় মন্ত্র পড় হতে মৃত্যুঞ্জয়!
ছালমা খাতুন
শিক্ষার্থী, ইংরেজি বিভাগ (স্নাতক)
বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী