
আকাশে জমেছে মেঘ। উত্তাল সাগরজল।
১৯৯৬ সাল ১২ জুনের রাত
সে রাতে আঁধার চিরে পাহাড়ে নাচে কালনাগ
চমকে ওঠে পাহাড়
তার গায়ে ছড়িয়ে পড়ে অস্ত্রের দাম্ভিক ভাষা
বুটের নখের আঁচড়ে আঁচড়ে ক্ষতবিক্ষত
শান্তির পায়রা
.
মুহূর্তে ডুকরে ওঠে পাহাড়
মুহূর্তে স্তব্ধ হয়ে যায় পাহাড়ি কন্যার সুউচ্চ কণ্ঠস্বর
মুহূর্তে হারিয়ে যায় পাহাড়িদের প্রতিবাদী আদরিনী কল্পনা
ফুঁসে সাগরজল। নিরুপায় আক্রাশে আছড়ে পড়ে সৈকতে।
লোনাজলের ফেনিলে ফেনিলে খুঁজে ফেরে।
হারিয়ে যাওয়া কল্পনা চাকমা!
নিখোঁজ কল্পনা চাকমা!!
নিশিপক্ষ পেরিয়ে যায়। ডোবে গ্রহ, তারা, নক্ষত্র।
অথচ পাহাড়ে বাতাসে বিলাপ বাড়ে। হু হু করা কান্না চেপে
প্রত্যেক ধূলিকণায় আঁতিপাঁতি খুঁজে বেড়ায়
কোথায় কল্পনা চাকমা!
কোথায় কল্পনা চাকমা!!
পাহাড়ের বুকে
প্রতি ভোরে বীজের খোসা মুক্ত হয়ে যে দুটি পাতা পৃথিবীর আলোর মুখ দেখে
সে-ও গুমরে গুমরে কাঁদে
হায় কল্পনা চাকমা!
হায় কল্পনা চাকমা!!