পাখিটি দেখিনি জানালার চোখ খুলে। কোথায় ভরসা রাখি!
উড়ানের ভয় প্রতিটি দিনের মূলে। পিছু থেকে ডাকাডাকি।
মনের আড়ালে ব্যথার মতো সে বাড়ে, বিষাদের প্রতিরূপ।
কামরাঙাগ্রাম শ্রাবণের কড়া নাড়ে, ভেসে যায় নিশ্চুপ।
কোথায় রচেছি মারীচের মায়াপথ! কুয়াশাচাদর গায়ে।
সময়ের ঘাড়ে জমে নাসিকার খত, শ্যাওলারা প্রতি পায়ে।
পাতার আঁচলে বাড়ে পাখিটির ডানা। মন বাড়ে অজানায়।
মেঘেদের চোখে লুকোনো বৃষ্টিকণা নামে এক ঠিকানায়।
মাছরাঙানদী পেরিয়ে গিয়েছি আমি, ডাহুকের বন রাতে।
বর্ষার পথ প্রতিদিন জলাভূমি— যেন শ্বাপদের হাতে।
দোতারাডাঙার মাঠে ওড়ে নীলপরি, গায়ে মাখে জোছনাকে।
জলজশরীরে ভেঙে গিয়ে রাতঘড়ি ছড়ায় চতুর্দিকে।
তবুও দেখিনি পাখিটির চোখ, বুক— পাখিটি বাড়ুক মনে।
নানা রঙে তাকে এঁকে রাখে তুলিমুখ স্বপ্নের প্রতি কোণে।
উত্তম চৌধুরী
জন্ম : ২৪.০৪.১৯৬২
অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক।
কবিতা লেখা : ১৯৭৮ থেকে।
প্রকাশিত গ্রন্থ : ২৬টি।
উল্লেখযোগ্য : শব্দবাহক, সনেট আটচল্লিশ, করতালি ধরে রাখবেন, চূর্ণ কবিতারা, আবেগার্দ প্রভৃতি।
সম্পাদিত পত্রিকা : দৃশ্যমুখ।
পুরস্কার : বিনয় পদক, উত্তরবঙ্গ নাট্যজগৎ, চিকরাশি, মন্দাক্রান্তা, ত্রিবৃত্ত প্রভৃতি।
লেখা প্রকাশিত : দেশ, নন্দন, তথ্যকেন্দ্র, আজকাল, উত্তরবঙ্গ সংবাদ, কবি সম্মেলন, এশিয়ান এজ প্রভৃতি।
বর্তমান আবাস : সারদাপল্লি, আলিপুরদুয়ার ৭৩৬১২১