
কুড়িটি বসন্ত পেরিয়ে গেল
বাগানে ফোটেনি কুঁড়ি,
ফাগুন পুষ্পে সেজেছে ধরণী
শূন্য ফুলের ঝুড়ি।
কোকিলের কুহুতান
ভেসে আসে দূর হতে,
ভাসা হয়নি তো
কভু সে গানের স্রোতে।
পরত্রভীরু আমি
পারিনি কভু সুদূর দিগন্তে,
সমীরণে ডানা মেলে
বিহগের মতো উড়ে উড়ে যেতে।
কোনো জোছনার বর্ষাধারাতে
মায়াবী আলোকে তারা ভরা রাতে,
চলিনি তো হেঁটে পথ হতে পথে
কারও হাত রেখে হাতে।
নদীর কূলের সাদা কাশফুলে
সাদা বক আর বেলে হাঁস দোলে,
তটিনীর দোল হয়নি তো দেখা
একেলা কিংবা বন্ধু মহলে।
শিশিরে সিক্ত সবুজ ঘাসেতে
হয়নি তো চলা মুক্ত পায়েতে,
বৃষ্টিস্নাত হইনি তো কভু
অবিরাম বর্ষাতে।
বসন্ত আসে, বসন্ত যায়,
বিহগেরা ডাকে পুষ্পে শাখায়,
ফাগুন পবন বহে চারিধারে
লাগেনি পবন আমার কায়ায়।
কুড়িটি বসন্ত পেরিয়ে গেল
ফোটেনি বাগানে ফুল,
প্রশান্তি তবু চেতনায়
করিনি প্রেমজ ভুল।