
লাশকাটা ঘরের বারান্দায় সারিবদ্ধ বসে থাকে
ক্ষুধার্ত আত্মারা লোভী পিঁপড়ের মতো।
কতদিন তারা গেলেনি দোর্দণ্ডপ্রতাপ জলন্ত সূর্য,
গেলেনি চন্দ্রালোকিত রাতে ভূমির সর্বোচ্চ উত্থান।
কতোদিন দেখেনি আলোকিত ভোরের কাছে
কৃষ্ণপক্ষ রাতের নিরঙ্কুশ পরাজয়,
দেখেনি নৈঃশব্দের কাছে শব্দের বর চেয়ে কাঁদা
ঘুমহীন রক্তজবা চোখ পরিব্রিজক।
মানুষেরা শেষ ঘুম ছেড়ে উঠে আসে
শঙ্খের সাথে ভাগ্যের বন্ধন কাটাছেঁড়া কিংবা
পত্রপল্লব শোভিত বৃক্ষের কাছে
একটা শুকনো ফুলের হিসাব মেটাতে।
জলের বুকে এঁকে রাখে
নিজের ছায়া,
নক্ষত্রের নিদান আলোয় দেখবে বলে
মানুষেরা লাশকাটা ঘরের নিথর বাতাসে
জেগে ওঠে,
আবার সকাল ডেকেছে ভেবে।
হৃৎস্পন্দন হারিয়ে আবার খোঁজে
অরণ্যের শীতলতায়
একবার শূন্য বুক ভরে নিতে।
লাশাকাটা ঘরের সিঁড়িতে অপেক্ষায় দাঁড়কাক,
আজন্মের রাক্ষসী ক্ষুধা যদি মেটে একবার।
২১/১০/২০২১
Tags: কবিতা মাহবুবুল আলম পলাশ