অনুপ্রাণন, শিল্প-সাহিত্যের অন্তর্জাল এ আপনাকে স্বাগতম!
নভেম্বর ২৮, ২০২৫
১৩ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নভেম্বর ২৮, ২০২৫
১৩ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নন্দিনী লুইজা  -
ট্রেন

তোমাদের ভাবনা তোমাদের স্বপ্নকে বাস্তবায়নে স্যালুট করি
কৈশোরের ভালোবাসাকে এখন যৌবনে এনে ইমারত গড়া।
এ যে বড় কঠিন কাজ কেউ না জানুক, জানে কিন্তু কারিগর
অদৃশ্য প্রকৃতি পাহারা দিয়েছে দিন দিন প্রতিদিন বিশ্বাসে,
এর মাঝে ভাঙ্গা-গড়ার কত খেলা খেলেছে খেলোয়াড়।
দুই দিকের গোলকিপার এক আত্মা খেলোয়াড়দের মাঠে
খেলেছে বেজায়, জীবনের গোল খায় সব খেলোয়াড়।
সময় শেষে দর্শক তাকিয়ে থাকে, কোনো পক্ষই জেতে না
গোলকিপার দুজন দুই হাত তুলে সম্ভাষণ জ্ঞাপন করে।
জীবনের চাকা গড়াগড়ি খায় বলের মতো, দাঁড়িয়ে থাকে,
অবিচ্ছেদ্যভাবে অবিচল, আপন ধারায় আপন মহিমায়।

দীর্ঘ সময় হবে পনেরো বছর একে অপরকে কথা দেওয়া
মাঝে অভিভাবকের কড়া নজর অপরিণত জীবন রক্ষায়।
সেইখানেই ইতিহাস সৃষ্টি, যা দেখি আপাত দৃষ্টিতে অলক্ষে
ভালোবাসার বীজ বপন হয় ঠিকই, রোপণও ঠিক তেমনি।
প্রযুক্তির যুগে ভালোবাসা ওয়ান টাইম বক্স, খুলে ফেললেই
ব্যবহারের অনুপযুক্ত করে, অন্য ঘাটে নোঙর ফেলে—
সেখানেও মন টেকা দায়, বারবার ফেরারি মন ফেরি করে বেড়ায়।

যারা আজও প্রেমকে করেছে সম্মান, সুযোগের সদ্ব্যবহার
না করে একটা ক্ষণকে উপলক্ষে বেঁধেছে বন্ধন সবার তরে
এখনও পুব আকাশে সূর্য উঠে, হংস মিথুন খেলা করে—
আবেগে অভিমানে সব মিলে মিশে ঐক্যতানে সুর তোলে।

যুগে যুগে প্রেম, ভালোবাসা অমর ও অক্ষয়, বেঁচে থাকে
মানুষে মানুষে যুগল বিশ্বাসে আমাতে তোমাতে আজীবন।
থাক প্রতিশ্রুতি যা রেখে ছিলে সেই অবুঝ বয়সে অনুভবে
অনেক দিনের চাওয়া পাওয়া আজ মর্তে এসেছে পুষ্প বনে।

যেখানে পুরাতনকে বিদায় জানিয়ে নতুনকে বরণের উৎসব
চারিদিকে হোলির রঙের ছটা প্রকৃতি নবরূপে সেজেছে আজ।
বাড়তি রঙ বাহারি অলংকারের একেবারেই প্রয়োজন নেই
এমনি মায়াবী আবির রঙে চূড়ান্ত জীবনের হিসাব বর বউ,
সাজে নিজেকে নতুন করে জানান দাও পৃথিবীতে আছি—
একেবারেই আটপৌরে বাঙালির বাঙালিয়ানা সাজে,
গ্রহণ করো যতটুকু দিয়েছ, ঢের বেশি দিতে পারি কৃতজ্ঞতা ভরে।

 

Read Previous

অনুপ্রাণন অন্তর্জাল- সম্পাদকীয় (৭ম সংখ্যা)

Read Next

শর্মী দে – যুগল কবিতা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *