
সাত আসমানে কবির বাড়ি
আমার সংসার পাথারে রেখে কোথায় চলে গেলে! কোথায়!
শব্দঘরে সুখগুলো খাঁ খাঁ করে। পরিবারে অসঙ্গতি। অনাদর।
স্বপ্নরা আকাশ ছুঁতে চায়। রাষ্ট্র আছে মহা হা করে। অন্ধঘরে।
তলপেটে আগুন জ্বলে। সিগারেটের আঙরা খেয়ে বেঁচে থাকি।
বর্ণমালার নুনজলে অলিক পানকৌড়ি ডানা ঝাঁপটায়। অশাব্দিক।
ভেতরে নিদারুণ শূন্যতা। দেনা বাড়ে। বজ্রপাতে মেঘের বিয়ে।
অভাবে অগত্যা। চৌকাঠ ভেঙে পালায় বিশ্বাস। আগুন খায়।
ভীষণ কষ্ট হয়! কষ্ট হয়! সাম্রাজ্যবাদ মানুষ হয়। চতুরতায়।
পুতুলগুলো বেড়ে ওঠে অযত্নে। অলক্ষে। অবুঝে। নিষ্ঠুরতায়।
জলঘর দস্যুর দখলে। পোকামাকড় বসতি গড়ে অবলীলায়।
সুখখেলায় স্বপ্নগুলো চোখ ছোঁয়। সাত আসমানে কবির বাড়ি।
বীভৎস জীবন
সময়ের দুর্বিপাকে ঠিকানা হারিয়ে ফেলেছি!
আজ আর কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই।
পথশিশুরা মেঘের ওপর ঘর বানায়। আহ্লাদে।
সুতোর ওপর হেঁটে বেড়ায়। আকাশ ছুঁতে চায়।
দিগন্তের শেষ মাথায় স্বপ্নভঙ্গ। উদ্বিগ্ন বাবুই।
লাল কাঁকড়াগুলো কাছে আসে। ভালোবাসা চায়।
পোকামাকড়গুলো হাত বাড়ায়। বন্ধু হতে চায়।
প্রজাপতির ডানায় কোনো এক দম্পতি চৌকাঠ বদলায়।
অন্ধঘরে সাপের গলা ধরে একজন কবি সুখি হতে চায়।