অনুপ্রাণন, শিল্প-সাহিত্যের অন্তর্জাল এ আপনাকে স্বাগতম!
জুলাই ১, ২০২৫
১৭ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
জুলাই ১, ২০২৫
১৭ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তোফায়েল তফাজ্জল -
তোফায়েল তফাজ্জলের যুগল কবিতা

বুদ্ধিভ্রম

আজ ফাটা বেলুনের সহোদর মুখের গড়ন,
অথচ পরশুও পাকা আতাফল রূপ ছিলো এর।
কাঁচা জলপাই-পেয়ারা-কলা তাজা ছিলো
দেহের অন্যান্য অঙ্গ।
পাখিদের সুরেলা কণ্ঠও ধরে জুড়ি হতো বুড়ি।

তার দৃষ্টি পড়া ফুলগুলো হয়ে উঠতো হাসিখুশি,
ছড়ানো সুগন্ধে নাসারন্ধ্র খুঁজে পেতো ফড়িঙ নৃত্যের বাড়তি সুখ।
মণিকোঠা দুমড়ানো মোচড়ানো কষ্টেরাও
ফাগুন বাতাসে পাওয়া শাখা-প্রশাখার
হলদে-শুকনো পাতা হয়ে ঝরে পড়তো
পুবাকাশ থেকে সূর্যের সোনালি কিরণ মেলতেই পাখা।

অদ্য সে-ই ঠিক কথাবার্তা, যুক্তি উত্থাপন করতে না পাড়ায়
রাগে ভাঙছে টেবিলের গ্লাস, শখে কেনা প্লেটকেও
মারছে আছাড় সজোরে।
কেউ হাত-পা সেঁধুনো ভাবাবেগে জলে ছুড়ছে ঢিল।

লায়েক হয়েই অব্যক্ত কথাকে ঠোঁট পার হয়ে যেতে দেবো,
কেটে যাবে মেঘাচ্ছন্ন পরিস্থিতি আর দৃষ্টিভ্রম।
প্রত্যাশা, তখন একূল ওকূল পাড় পেয়ে যাবে
জীবনের বাকি দিনগুলো।

চাঁদাবাজি

ইচ্ছে ছিলো ঘর করবো মানুষ গড়ার,
সদিচ্ছায় ছেড়ে দেয়া হলো
তেড়ে আসা সাপের অধিক মারাত্মক কথার তরল নোংরা,
‘আমরা এই অঞ্চলের পরিচিত মুখ
নাম শ্রবণেই ঝড় নামে কুঁড়েঘর মার্কা বুকে,
ঠোঁট না নড়তেই হাতে পাই ছুড়ে মারা ছোরা ভাগ’
বলেই একযোগে ফিরে যায় বিচ্ছুদল।
নির্ধারিত দিনে দেয়া-পদধ্বনি শুনেই তটস্থ,
আঙুল ঘি-তোলা করার আগেই হাতে পৌঁছে যায়
কুড়ুল কোপের দাবি অংশ।
এভাবেই মাথা চাড়া দিয়ে ওঠা উন্নয়ন খাচ্ছে ঘোগে,
সিল মারা দোষে পড়ছে বাঘ।

এসবের বুকের পাটায় কবে শেল?

Print Friendly, PDF & Email
তোফায়েল তফাজ্জল

Read Previous

সোহেল রানার যুগল কবিতা

Read Next

বিনয় কর্মকারের গুচ্ছ কবিতা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *