
অখণ্ডিত দেহে খণ্ডিত সত্তা
ঐ জীবন গ্রহচ্যুত খাবলে খাওয়া মৃত জলাশয়
যে জীবন দাগিয়ে বেড়ায় তোমাদের
জন্ম কাঁদে, মৃত্যু কাঁদায়
ফোঁটায় ফোঁটায় পৃথিবী জমা করে আনন্দ বিষাদ
কাজল পেটেও সন্তান বড় হয়
জরায়ু ফেটে চিৎকার করে সময়ের নিঃশ্বাস
হাত পা গুটিয়ে বেঁচেছিলে তোমরাও কয়েক মাস
ওয়ালেটের ভেতর জমা রাখ আবেগ আর অর্থ
সেই অর্থের লোভেই বেচে দাও আবেগ
তোমাদের গ্লানি নেই মুখ যেন প্রপঞ্চ
ব্যবহার্য কাপড় ধোয়ার মতোই ধোলাইখানায় পিষে
বেরিয়ে আসো তোমরা আবার স্বচ্ছ পোশাকে ঘুরে বেড়াও
আতরের সুবাস মেখে
যে জীবন অবজ্ঞার, বিভাজনের
সে জীবনে আমার বা আমাদের প্রয়োজন নেই।
ভ্রুণফুল
বয়সটা ঠিক বার্ধক্যের সিঁড়িতে পৌঁছায়নি
বছরের ক্যালেন্ডার এঁটে দেয় হতাশা চোখের কার্নিশে
প্রতিটি মাস যেন নিঃশব্দ খুনের বিরামচিহ্ন
কামাতুর শরীর নেই ফুটন্ত ভুট্টার খইয়ের মতো
আবেদনে নয় প্রয়োজনে ঘাম ঝরায় শরীর
এ তো সঙ্গম নয়! রোজ রাতের এবাদত
আমি চাই না এমন ঋতুবর্তী নগরী শাখা প্রশাখাহীন মরুভূমি
মক্তবে মক্তবে আশীর্বাদের জায়নামাজে তুলি হাত
পেতে চাই মুঠোয় ভরা মুক্তির ইনাম
তসবিহ্র ঘাড়ে সুতো বেঁধে রাখি ত্রিশ পেরোয় না
বন্ধ্যত্ব পৃথিবীর কোলে ভ্রুণফুল ফোটাতে চাই
অত্যাচারীদের মুখে এঁটে দিতে চাই
বিস্ফোরিত বারুদ।
সভাপতি, চর্যাপদ সাহিত্য একাডেমি, চাঁদপুর