
অবহেলিত নক্ষত্র
সেদিনও অবহেলা আর অপমানের কালো ছায়ায় ঢেকে ছিল রুক্ষ মুখ-
ছিল না ভালোবাসা, কোনো মমতা
কাক তৃষ্ণায় কাতর শুষ্ক ঠোঁট
ক্ষুধার আগুন জড়িয়ে গন্তব্যহীনে মুসাফির…!
কবিতা মরে পড়ে আছে ভাগাড়ে-
মোড়ানো কাপড়ে, অবৈধ শিশুর মতো, নিষ্পাপ!
পৃথিবী হাঁটে নিষ্ঠুরতার জুতো পায়ে,
মাড়িয়ে কোমল দূর্বাঘাস!
অতঃপর, নক্ষত্রের পতন হয়
দেবতার আসন মেলে-
মেলে সুসজ্জিত অর্ঘ্য!
উলঙ্গ ক্ষমার প্রার্থনা
পাথুরে দুয়ারে উলঙ্গ হয়ে মত্ত ক্ষমার প্রার্থনা
গেঁথে আছে অপরাধ আঁটসাঁট দুটি ঘৃণার চোখে,
মুছে ফেলা যায় না প্রায়শ্চিত্তের জল প্রেমে,
কথার বল্লমে আজ হৃদয় ক্ষত বিক্ষত….!
পাতা খসে পড়াও যে একটি অপরাধ,
অপরাধ দূর্বা ঘাসে স্নিগ্ধ শিশিরের ঝরে পড়া,
জোনাকির আলো জ্বালিয়ে করা পবিত্র মিলন,
মেঘ ভেদ করে বকের বাড়ি ফিরে আসা…..!
ক্যালেন্ডারের পাতা জুড়ে শুধু ঘৃণা আর ঘৃণার
নিঃশঙ্কোচ পদচারণা ,
অথচ আমি জানি, ক্ষমার চেয়ে বড়ো কোনো ইবাদত নেই।