অনুপ্রাণন, শিল্প-সাহিত্যের অন্তর্জাল এ আপনাকে স্বাগতম!
নভেম্বর ২৮, ২০২৫
১৩ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নভেম্বর ২৮, ২০২৫
১৩ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রবীন প্রামাণিক -
রবীন প্রামাণিক – যুগল কবিতা

তটিনীও মোছে অশ্রু জল

নক্ষত্রখচিত হৃদয়ের তলে
নিষ্পেষিত হতে হতে যা ছিল বাকি
মিশে গেছি সন্ধ্যার আঁধারে— বেদনা,
বিদীর্ণ করেছে বুকের পাঁজর
বিদীর্ণ করেছে আঁখি
ধীরে ধীরে ঘন রাত্রির আঁধারে
ডুবে যায় জোছনা।

ডুবে যায় চাঁদ জোছনায় ফেরি
ফিরে যায় নদী ঘাটে তরী
        ফিরিবার শেষ আয়োজন।
বিনিদ্র রজনী কাঁদে,
জীবন জীবনের সাথে
যা ছিল একান্ত— দিয়ে যায় সব বিসর্জন।

গভীর আঁধারে ডুবে গেলে সব
ভালোবাসাবাসি সব অঙ্গীকার,
গভীর বিষাদে ভেসে যায়
জীবনের সব আয়োজন।
তটিনীও মোছে অশ্রু জল
  শুধু শান্তি পায় রাত্রির কবিতারা শমে।

রাত্রির কবিতারা

গভীর রাত্রে তারা আসে— কবিতারা
রাত্রের কবিতারা চেতনায় জেগে জেগে
মিশে যায় সমস্ত শরীর মন জুড়ে— হৃদয়ে শম আসে
মিশে যায় সব জীব কোষে।
ঠিক যেন স্বপ্নের মতো তারা
চেতনায় ভেসে যায় অন্তর নদীতে।

রাত্রের শিশিরের মতো
প্রভাতের স্নিগ্ধ আলোয় ও সে জেগে থাকে কিছুকাল;
ধীরে ধীরে সূর্যের কর্মোজ্জ্বল কামনায়
মুছে যায় রাত্রের সহবাস।
তাকে আর ছুঁতে পারি না,
তার দেওয়া সব অঙ্গীকার
তার মোহময় আবেশে রাঙানো সময়,
সব ভুলে যাই— কিছু আর মনে পড়ে না।

সারাদিন কী এক আচ্ছন্নতা, খুঁজি মাঝে মাঝে
তবু কিছুতেই সে আর ধরা দেয় না।
রাত্রির কবিতারা— কী এক যন্ত্রণা, যন্ত্রণা!
কেন যে দিনের আলোয় নিভে যায়!
বসন্তের আবেশের মতো
একবার এসে চলে যায়
হৃদয়ের কিছুতেই তন্‌হা মেটে না।

92 Regent Estate, Kolkata-700092

 

Read Previous

এদিক-সেদিক ঘোরাঘুরি

Read Next

শিল্পপথের দুর্ভাগা যাত্রী তারেক মাহমুদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *