
সৌখিন বোতামের ঘর
চড়–ই এর ঘুলঘুলিতে নিত্য আসা যাওয়া
ভয় ও অস্বস্তির দাঁড় কাকেদের।
অথচ একটি সুগন্ধি রাতও প্রশ্নহীন যেতে পারে না
দয়িতার করতলে।
হরিণ অপেক্ষারা তাহলে অনাবশ্যক দাঁড়িয়ে ক্যানো
প্রত্যাশার ছাইভষ্মে?
হয় খুলে দাও ঝড়সুদ্ধ মেঘেদের লাগামখানি,
নয়তো বন্ধ করো সৌখিন বোতামের সারিবদ্ধ ঘর।
তাতে আর যা-ই হোক
প্রক্ষালিত ধূপগন্ধ পাবে কতিপয় শোকার্ত জীবন।
পঞ্চাশ… পেরোতে থাকি…
পা বাড়ালেই দ্রুত সরে সরে যায়
গন্তব্যের দিকচিহ্ন। আর অবাক দাঁড়িয়ে থাকে
নিঃসঙ্গ মাইল ফলক ৪৭,৪৮,৪৯,৫০…।
পেরোতে থাকি ফলকের পর ফলক যতো-
গন্তব্যও ব্যাকফুটে হেঁটে হেঁটে অদৃশ্যে হারায়।
আসলেই পেরোচ্ছি কি তবে অধরা কিছু?
নাকি এগোচ্ছি কেবলই ফলকবিহীন পরাবাস্তবতায়?
তাহলে পড়ুক না একটা যতিচিহ্ন কোথাও না কোথাও-
যাতে অন্তত বলা যায়- বেভুল না হয়ে- যে কোনো
গন্তব্যই পেরোতে পারি যতিচিহ্নের প্রান্ত ছুঁয়ে।