
শঙ্খিনীর প্রেম
শঙ্খিনী নারীর কপোল ছুঁয়ে দেখো
হে প্রেমিক পুরুষ,
হাত রাখো আজন্ম ক্ষতদাগে,
হৃদয়ে যার শতাব্দীর সঞ্চিত তৃষ্ণা।
দোলনচাঁপার সুবাস হও তার চুলে,
শান্ত হও সেই অশান্ত নারীর করতলে,
শঙ্খিনীর ‘মন না মতি’র কাছে স্থির হও,
যেভাবে উত্তাল সাগরের কাছে
গেলে স্থির হয় শতবর্ষী উন্মত্ত নদী।
চোখে তোমার জীর্ণ যে গল্প,
কান্তি যত কপাল ভাঁজে,
নাকের চূড়ায় যে অস্থিরতা,
তাদের শান্ত করো সুলোচন,
নতজানু হও শঙ্খিনীর চিবুকের কাছে।
বক্ষকেশে তোমার দুঃখ জমা,
ছুঁয়ে দেখব। ভয় পেয়ো না?
ঠোঁটের তিলে শত অনুরাগ
স্পর্শের উষ্ণতায় বসন্তের দাগ।
ফেরি করা যে স্বপ্ন নিযুত বছর,
শহরের বিলবোর্ড জুড়ে তার বিজ্ঞাপন,
তোমার কাছে বেচব বলে অপেক্ষায় আজ,
মূল্য দিয়ে কিনে নাও,
স্বাক্ষর করো হৃদয়ে তার।
স্থবিরতা
শ্রাবণের শেষে শরতের রোদ এসে পড়ে
শিরীষের ডালে,
খয়েরি রোদ ছড়িয়ে পড়ে
শতবর্ষী লাল দেয়ালে,
শীতের শেষে ঝরে গেলে পাতা
শিশিরের শব্দে বসন্তের বার্তা।
স্থবিরতার প্রতীক হয়ে,
আমরা তবুও পড়ে থাকি
ব্রাউনজার সাহেবের হাতির বাংলোর মতো।
রাজারা আসে যায়,
আসে হরেক রকম নাজির-উজির,
এক্স, জেট, আলফা
কত শত প্রজম্ম,
বর্ষাযাপনকাল শেষে
বাঞ্চিত সংবাদ নিয়ে তবুও
আমাদের শস্য-শ্যামলা
রাজ্যে ফেরেনি সিদ্ধার্থ।