
১.
দেখা হয়নি কে লুকিয়ে ছিল
আদি না অন্ত
তৃষ্ণা মেটেনি সমুদ্রের পাশে শুয়ে
স্বস্তিহীন বালুর মতো,
সুখী হাহাকার না ছুঁয়ে
অসুখী বৈভবে ভেসেছে
মুমূর্ষু বিগত;
প্রিয় আঙুলের স্পর্শে
ঘৃণাগুলো প্রেম ছড়ালে
শবাহারী পোকার মতো
অভ্যাসবশত গান গাই,
দ্রোহমাখা জ্যোৎস্নায়
স্বপ্নভুকের মতো কাতরায়
অতৃপ্ত সব ক্ষত।
২.
চোখের কথায় চিন্তার মতো জ্বলে
ছন্দের আবরণে নিজেকে ঢেকে
আস্বাদিত অপমান বেগবান বাসনায়
কলঙ্ক বাঁধ ভেঙে স্মৃতির ঢেউ ঠেলে
ঈর্ষারা ভেসে আছে দ্বীপের মতো;
বিদ্যুতের বুক থেকে হৃৎপিণ্ড
পতনের ধ্বনিহীন বিশ্বাস
একাই জেগে আছো মৌন অবসরে?
যন্ত্রণার মাতাল সংঘাতে
আকারহীন আকুলতার দুর্বোধ্য
স্পর্শ আশায় লুপ্ত বীজ থেকে
শস্য পাবে বলে ঘুমায়নি
শাশ্বত স্বপ্ন-শ্রুতিহীন ফসলের মৌসুম,
আশ্চর্যের সফলতায় বরফের বুকেও
একাই ফুটেছে অন্যরূপা ফুল—
অতৃপ্তির চিহ্নে ঢাকা সমাধিতে বেড়েছে
অস্থির শূন্যতা আর স্পর্ধিত সব ভুল।