অনুপ্রাণন, শিল্প-সাহিত্যের অন্তর্জাল এ আপনাকে স্বাগতম!
জুলাই ১৯, ২০২৫
৪ঠা শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
জুলাই ১৯, ২০২৫
৪ঠা শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঈশিতা ইমু  -
শূন্যের বিষণ্নতা

পাথরের চাতালে বসে থাকা ছিন্নমূল বৃদ্ধটি একঝাঁক ধুলো ওড়ানোর মধ্যে আটকে থাকা সময়ের মতো। চুল-দাড়ির জট পেরিয়ে তার চোখে প্রতিফলিত হয় জনসমুদ্রের নির্লিপ্ততা। তার জীবনের সব অর্জন যেন শুকনো পাতার মতো ঝরে গেছে সময়ের ঝড়ে।

তাঁর সামনে দিয়ে দ্রুত পায়ে হাঁটা মানুষগুলো এক মুহূর্তের জন্যও মাথা ঘোরায় না। তাঁর ছেঁড়া চাদরে জড়ানো শরীর, বেঁকে যাওয়া আঙুলের অস্থিচর্মসার হাত— সবই যেন শহরের স্থায়ী অলংকার, কিন্তু অদৃশ্য।

একটি ক্ষুধার্ত কুকুর তার পায়ের কাছে এসে থামে। বৃদ্ধ কিছু খুঁজে পাওয়ার আশা নিয়ে তার ছোট ঝোলাটা উল্টে ফেলে। কিন্তু ঝোলার গভীরতায় ছিল শুধুই শূন্যতা— যেমন শূন্য তার ভবিষ্যৎ। কুকুরটি এক মুহূর্ত তাকিয়ে থেকে চলে যায়। বৃদ্ধ হেসে ওঠেন, ঠোঁটের কোণে তীব্র বিষণ্নতা।

শহরটি তখনও ব্যস্ত। মানুষগুলো তখনও নির্বিকার। বৃদ্ধের চিরকালীন প্রশ্ন ঝুলে থাকে বাতাসে—‘আমাদের কি সত্যিই কেউ দেখতে পায়?’

 

Print Friendly, PDF & Email

Read Previous

কান্তু কবিরাজ

Read Next

ছড়া কি শিশুসাহিত্য?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *