
বক্তৃতা
মাঠে ছাগলের পাল ঘাস খাচ্ছিল। ছোকরার দল ফুটবল খেলছিলো আর ভিডিও করছিল।
গরুটি মাঠের কর্নারে কিছুক্ষণ হাম্বা হাম্বা করল।
বেলা শেষে গোয়ালে ফিরে গরুটি বলল, ক্যামেরার সামনে বেশ জোরাল এক বক্তৃতা দিয়েছি। দর্শকও ছিল বেশ।
সেলফি
উৎসবে মানুষের আগেই দেবতারা প্রস্তুতি নিয়ে নিয়েছেন। মহাদেব জরুরি সভা ডেকে পাপ-পুণ্য লিপিবদ্ধ করার দপ্তরে দ্বিগুণ দেবতাদের দায়িত্ব দিয়েছেন।
উৎসব শুরু হলো। সমানতালে পাপ-পুণ্য চলছে। সব বয়সী নর-নারী মেতে উঠেছে সেলফিতে।
দেবতারা ভাবলেন দায়িত্বরত অবস্থায় সেলফি না হলে কি হয়! দেবতারাও সেলফি করতে লাগলেন বিভিন্ন ভঙ্গিতে।
মহাদেব নজর রাখছিলেন সবকিছু।
এবার ভাবছেন, আমারও তো স্বাধ-আহ্লাদ বলে কিছু আছে— তবে হয়ে যাক কিছু সেলফি।
মাথাভাঙা বটবৃক্ষ
মহাদেবের কাছে খবরটা চলে গেল।
খবর এই যে, দুষ্ট ঝড় বিনা কারণে বটবৃক্ষের মাথা ভেঙ্গে দিয়েছে।
মহাদেব নিজে এসে সত্যতা যাচাই করলেন; সত্যিই বটবৃক্ষের মাথা নেই।
ঝড়কে ডাকলেন। ঝড় এল। বটবৃক্ষ বলল— না, মহাদেব, ঝড় আমার কোনো ক্ষতি করেনি, এটা মাননীয় ঝড়কে নিয়ে বিরোধীদের ষড়যন্ত্র।
মহাদেব চিন্তিত হলেন, জিজ্ঞেস করলেন, তবে তোমার মাথা ভাঙল কীভাবে?
—আসলে মাথাটা এমনিতে বেশ বড় হয়ে গিয়েছিল। বেশ কষ্ট হচ্ছিল। তাই নিজেই ভেঙে ফেলেছি।
—অন্য বৃক্ষদের মাথা নিয়ে কষ্ট হয় না?
—অন্য বৃক্ষদেরও মাথা ভেঙ্গে ফেলা উচিত।
মহাদেব ভাবছেন, ‘বৃক্ষের আর কী প্রয়োজন থাকতে পারে?’
হাবিবুল্লাহ রাসেল : প্রভাষক, ফজিলা রহমান মহিলা কলেজ, স্বরূপকাঠি, পিরোজপুর