
অনেক হিসাব কষে চাকরিটা নিয়েছে জুবায়ের। জীবনবীমার মাঠ কর্মকর্তা। ওর স্থির বিশ্বাস ছিল ভাই-বোন আত্মীয়স্বজন বন্ধুবান্ধব সকলেই একটা করে পলিসি কিনে নেবে। কিন্তু বন্ধুরা ওকে দেখলে চলে যায় আড়ালে; স্বজনরা ঘরে থেকেও জানায় ঘরে নেই। এমনকি আপন বড়ভাই আজ করব না, কাল করব বলে কাল ক্ষেপণ করছে! একমাত্র মা বিনা বাক্য ব্যয়ে পাঁচ হাজার টাকা প্রিমিয়ামে একটি জীবনবীমা পলিসি নিয়েছেন।
এই অকর্মণ্য জুবায়েরের একটা প্রেম আছে। ও-ও একটা বিয়ে বীমা করে ফেলেছে তিন বছর মেয়াদে! ওদিকে অফিস থেকে ওকে চাপ দেওয়া হচ্ছে একটা মৃত্যুবীমা করার জন্য। মৃত্যুবীমার এককালীন প্রিমিয়াম পাঁচ লাখ টাকা। এই পলিসি নেওয়ার ছয় মাসের মধ্যে মারা গেলে কোনো মুনাফা ছাড়া মূল টাকা ফেরত পাবে বীমা গ্রহণকারীর নমিনি। ছয়মাস পরে আত্মহত্যা ছাড়া যে কোনো দুর্ঘটনায় বা অসুস্থতায় মারা গেলে নমিনি পাবে কুড়ি লাখ টাকা! এক বছরের মধ্যে মারা না গেলে ফের পাঁচ লাখ টাকার প্রিমিয়াম দিতে হবে। মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত এভাবে বার্ষিক প্রিমিয়াম দিয়ে যেতে হবে। কে করবে এমন বীমা?
ফের এগিয়ে এলেন মা। কিন্তু সামনে দেয়াল হয়ে দাঁড়াল ভাই-বোনেরা। এই বীমা করা মানে মায়ের মৃত্যু কামনা করা। কথাটা শুনে চমকে উঠে জুবায়ের কোনো প্রতিবাদ করতে পারল না। মাও কেমন যেন নিশ্চুপ হয়ে গেলেন। বাড়ির পরিবেশ হয়ে গেলো থমথমে। যে যার কক্ষে চলে গেলেও জুবায়ের বসে রইল ড্রয়িংরুমে। একটু পরে ও বাসা থেকে বেরিয়ে উঠে এল ছাদে। আকাশে চাঁদ না থাকলেও তারা ভরা থাকায় বেশ আলো চারিদিকে। ছাদে বেশ বড় এক পাকা ছাতার নিচে পাকা চেয়ার পাতা আছে মাঝখানে একটা টেবিল ঘিরে। জুবায়ের একটা চেয়ারে বসে টেবিলে মাথা ঠেকিয়ে বসে রইল। কিছুক্ষণ পরে পিঠে হাত পড়ায় তাকিয়ে দেখল মা।
মা ছেলের মাথায় হাত বুলিয়ে বললেন, মনে কষ্ট পেয়েছিস ওদের কথায়? আমি তো মানা করি নাই! আজ মারা না গেলেও দুই দিন পরে মারা যাব। মানুষের মৃত্যু নিশ্চিত। তোর বাবা চলে যাবার পর হতে এমনিতেই আমার আর বেঁচে থাকতে ইচ্ছে করে না। আত্মহত্যা মহাপাপ না হলে কবেই চলে যেতাম! শোন! আমি চুপিচুপি তোকে টাকাটা দেব। তুই পলিসিটা কর।
জুবায়ের মাকে জড়িয়ে ধরে হাউমাউ কেঁদে দিল। মা’র চোখ থেকেও ফোঁটা ফোঁটা অশ্রু পড়তে থাকল ছেলের মাথায়।
নায়লা বলল, এ কেমন বীমা? ছয় মাস পরে মরতে হবে! এই বীমা করতে বোলো না আমাকে! আমার দুনিয়া দেখার অনেক বাকি। বাবা তোমার সাথে বিয়ে দিতে রাজি না হলে মা-বাবার পছন্দের পাত্রকে বিয়ে করে সংসারী হবে! কমপক্ষে দুই সন্তানের মা হবই! দাদা নানি হওয়ারও ইচ্ছে আছে!
কী বলবে জুবায়ের? বুঝতে পারল আত্মীয়-স্বজন বন্ধু-বান্ধবদের দিয়ে এই বীমা পলিসি করানো যাবে না। এমন লোক খুঁজতে হবে যার টাকার খুব দরকার এবং মরণের পরোয়া করে না। কোথায় পাবে এমন বকরি? তখন ওর কথাটা মনে পড়ল, অন্তর লাগিয়ে খুঁজলে বাঘের চোখও পাওয়া যায়। হাঁটতে থাকল জুবায়ের। হাঁটতে হাঁটতে সন্ধ্যার সন্ধিক্ষণে রেলস্টেশনে উঠে এল। গ্রাম এলাকার স্টেশনে এসময় কোনো ট্রেন আসার সময় না থাকায় কোনো লোকও থাকে না। স্টেশনের দুই প্রান্তে দুটো কম ভোল্টের বাল্ব জ্বলছে। ঘ্রাণটা নাকে লাগায় একবার নাক টেনে জুবায়ের মনে মনে বলল, এখানে গাঁজা টানছে কে? গাঁজা তামাক আর মদ কেউ না খেলেও গন্ধ শুঁকেই যে কেউ বুঝতে পারে জিনিসটা কী। ও ঘ্রাণ শুঁকতে শুঁকতে চলে এলো এক ঝোপের কাছে। ঝোপের আড়ালে কে যেন বসে গাঁজা টানছে। ওকে দেখে লোকটা চমকে বা ভয় না পেয়ে টেনে যেতে থাকল গাঁজা।
জুবায়ের লোকটার পাশে বসে বলল, আমারও মনটা খুব খারাপ। কিন্তু গাঁজা টানছে ইচ্ছে করছে না। গাঁজা খুব বাজে জিনিস।
লোকটা নাকে-মুখে ধোঁয়া ছাড়তে ছাড়তে বলল, গাঁজা সহজলভ্য এবং দাম কম।
কী কষ্ট আপনার?
কী হবে আপনাকে বলে?
শুনেছি কষ্টের কথা কাউকে বললে মনটা হালকা হয়। আপনারটা বললে আমারটাও বলতাম আপনাকে।
কিছুক্ষণ চুপচাপ। লোকটা ঘনঘন গাঁজা টেনে চারদিক অন্ধকার করে ফেলছে। তীব্র গন্ধ সইতে না পেরে জুবায়ের বাম হাতে নাক চেপে ধরল।
জুবায়ের অপেক্ষা করছে। ওর বিশ্বাস : লোকটা কথা বলবে।
কিছুক্ষণ পরে কল্কিটা মাটিতে উপুর করে রেখে লোকটা বলল, প্রেম করে বিয়ে করেছি। অনেক ভালোবাসি রিনিকে। আমার তিন কূলে কেউ নেই। কাজেই বউকে মন লাগিয়ে ভালোবাসায় কোনো সমস্যা ছিল না। ছয় মাস পর রিনির ঘনঘন জ্বর আসতে থাকায় নিয়ে গেলাম ওকে হাসপাতালে। প্যারাসিটামলে জ্বর সারলেও দুই/তিন দিন পরে ফের জ্বর চলে আসে। একজন মেডিসিন স্পেশালিস্টের কাছে নিয়ে গেলে বেশ কিছু টেস্ট করতে দিলেন। টেস্টে লিউকেমিয়া ধরা পড়ল। থার্ড স্টেজ হলেও ট্রিটমেন্ট সম্ভব। অফিসের কলিগরা সাজেস্ট করল বিলম্ব না করে ইন্ডিয়া নিয়ে যেতে। খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারলাম কমপক্ষে কুড়ি লাখ টাকা নিয়ে যেতে হবে হাতে করে। পরে আরও খরচ আছে। কোথায় পাব এত টাকা আমি। বাবা-মা একমাত্র সন্তানের জন্য কিছু রেখে যেতে পারেননি। আমার কোনো সঞ্চয়ও নেই। আমার অক্ষমতা ও রিনিকে হারাচ্ছি, এই কষ্ট সাময়িক ভুলে থাকার জন্য গাঁজা টানি।
জুবায়ের খানিকটা হর্ষোৎফুল্ল কণ্ঠে বলল, আপনার সমস্যার সমাধান আছে আমার কাছে! কিন্তু এর আগে আপনার নামটা জানা দরকার।
লোকটি বলল, আমার নাম হাবীব, হাবীব হায়দার।
আপনার একটা ডেথ ইন্স্যুরেন্স পলিসি নিতে হবে। পাঁচ লাখ টাকা প্রিমিয়াম। পেয়ে যাবেন কুড়ি লাখ টাকা!
ঝট করে হাবীব জুবায়েরের দিকে তাকিয়ে বলল, রিনির নামে?
না! মরতে পারে এমন রোগে আক্রান্ত রোগীর নামে ডেথ ইন্স্যুরেন্স পলিসি কেনা যায় না!
তাহলে কার নামে?
আপনার নামে কিনতে হবে হাবীব ভাই।
তারপর?
ছয়মাস পরে আপনি মারা গেলে আপনার স্ত্রী চিকিৎসার জন্য পেয়ে যাবে কুড়ি লাখ টাকা।
কীভাবে মারা যাব আমি? সুইসাইড করে?
উহু! সুইসাইড করলে কোনো ইন্স্যুরেন্স ক্লেইম করা যাবে না! মৃত্যু হতে হবে এক্সিডেন্টে অথবা রোগাক্রান্ত হয়ে।
তাহলে রিনির নামে পলিসি নিতে সমস্যা কোথায় ভাই? আপনার নামটা কী? আপনার সাথে ইন্স্যুরেন্স পলিসি নিয়ে আলোচনা করছি কেন?
আমার নাম জুবায়ের আলম। ইন্স্যুরেন্স ফিল্ড অফিসার।
ও! আপনি আমাকে বলির বকরি বানাতে চাচ্ছেন! কোত্থেকে যে আসে এমন লোক!
বলতে বলতে কল্কি হাতে চলে গেল হাবীব।
বেকুব বনে জুবায়ের তাকিয়ে রইলো অপসৃয়মান হাবীবের দিকে। মশার কামড় বেড়ে গেলো জুবায়ের চলে এল বাড়িতে। ওর মাঝের উচ্ছলতা কেমন যেন মিইয়ে যাচ্ছে। নিজ কক্ষে ঢুকে শুয়ে পড়ল বিছানায়।
মা এসে কপালে হাত দিয়ে চমকে উঠে বললেন, জ্বরে তোর গা পুড়ে যাচ্ছে! কোথায় ছিলি এতক্ষণ?
জুবায়ের ক্লান্ত কণ্ঠে বলল, বেশ কদিন ধরে একটু একটু গলা ব্যথা করছিল আজ ব্যথাটা বেশ বেশিই করছে। একটু কুসুম গরম পানি দাও গরগরা করি। আর একটা প্যারাসিটামল দাও। ব্যথা ও জ্বর সেরে যাবে।
মা বললেন, নায়লা এসে বেশ কান্নাকাটি করে গেল। তুই নাকি ফোন ধরছিস না? মেয়েটা তোকে পাগলের মতো ভালোবাসে। ওকে কষ্ট দিস না!
মা বেরিয়ে গেলেন কক্ষ থেকে। একটু পরে গরম পানি ও প্যারাসিটামল ট্যাবলেট নিয়ে এলেন। জুবায়ের গরম পানি দিয়ে কয়েকবার গরগরা করে প্যারাসিটামল ট্যাবলেট খেয়ে কল দিলো নায়লাকে। অনেক ভালোবাসার কথা বলে ওকে শান্ত করে বলল আগামীকাল সকাল দশটায় সার্কিট হাউজের সামনে স্বাধীনতা চত্বরে আসতে।
পরদিন সকাল দশটা। স্বাধীনতা চত্বর। দু’জন কনক্রিটের ছাতার নিচে একটা বেঞ্চিতে বসে কথা বলছে।
নায়লা বলল, তুমি এই চাকরি ছেড়ে দাও! চাকরিটা তোমাকে দিয়ে হবে না!
জুবায়ের জবাব দিল, আমিও তাই ভাবছি। ভাবছি ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে রড-সিমেন্টের দোকান দেব।
তখন একটা লোক এসে ওদের সামনে দাঁড়ালে দু’জনেই ওর দিকে তাকালে লোকটি বলল, আপনাকে খুঁজে পেতে বেশ কষ্ট করতে হয়েছে আমাকে। উনি নিশ্চয়ই আপনার রিনি?
ও রিনি হতে যাবে কেন!
বলেই থেমে গেল জুবায়ের। ওর গতকাল সন্ধ্যায় হাবীব হায়দারের সঙ্গে কথাবার্তা মনে পড়ে যাওয়ায় বলল, আপনি হাবীব হায়দার! গতরাতে অন্ধকারে আপনার চেহারা দেখতে না পাওয়ায় চিনতে পারিনি। গতকাল আমাকে আজেবাজে বলে চলে গিয়েছিলেন; এখন এলেন কেন? কীভাবে আমাকে খুঁজে পেলেন?
আপনার অফিসে গিয়েছিলাম। পলিসিটা করার জন্য আমি অফিস থেকে লোন নেওয়ার ব্যবস্থা করেছি।
খুশির আতিশয্যে জুবায়ের হাবীবকে জড়িয়ে ধরল।
বিস্মিত হয়ে নায়লা বলল, তোমার রড-সিমেন্টের ব্যবসার কী হবে?
ওটা পরে হবে!
নায়লা গাল ফুলিয়ে ধুপধাপ পা ফেলে বেরিয়ে গেল স্বাধীনতা চত্বর থেকে। জুবায়ের মুচকি হেসে হাবীব হায়দারকে নিয়ে চলে এল বীমা অফিসে। পাঁচ লাখ টাকা প্রিমিয়ামে হাবীব হায়দারের নামে হয়ে গেল একটি ডেথ ইন্স্যুরেন্স। নমিনি রিনি, রিনি হায়দার।
এই ইন্স্যুরেন্স পলিসিটা করে হাবীব হায়দারের দুশ্চিন্তা অনেকটাই কমে এসেছে। ও হাসপাতালে রিনির বেডের পাশে বসে রিনির হাত মুঠোয় ধরে আশ্বস্ত করে যে ছয় মাস পরে টাকাটা পেয়ে গেলেই ওকে ইন্ডিয়ায় নিয়ে যাওয়া হবে সুচিকিৎসার জন্য। কিন্তু ওর মৃত্যু কীভাবে হবে তা এখনো স্থির হয়নি। জুবায়ের কয়েকটা পদ্ধতির কথা বলেছিল; কিন্তু ওর পছন্দ হয়নি। এই ছ’টা মাস রিনিকে খুব বেশি বেশি সময় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে হাবীব। তাই এক সপ্তাহ পরে জুবায়েরের সাথে আলোচনা করে পদ্ধতিটা স্থির করে ফেলতে হবে।
এক সপ্তাহ পরে সকাল দশটায় স্বাধীনতা চত্বরে বসে দু’জনে অনেক তর্ক-বিতর্ক আলোচনা করে একটা পদ্ধতি স্থির করতে পারল। হাবীব ট্রেনে চড়ে জুবায়েরের পকেট মারলে ওকে হাতেনাতে ধরে যাত্রীদের হাতে পিটুনি খাবার এক পর্যায়ে ধাক্কা দিয়ে ট্রেন থেকে ফেলে দিলেই কেল্লাফতে!
আজ ছ’মাস শেষ হচ্ছে। আগামীকাল জুবায়েরের সাথে আলোচনা করে ট্রেন ও সময় নির্ধারণ করতে হবে। এটা ভেবে মনটা খারাপ হয়ে যায়। অকালে ওকে চলে যেতে হবে! রিনির সাথে আজীবন ঘর-সংসারের অতৃপ্তি থেকে যাবে। কিন্তু রিনি বেঁচে যাবে। ওর জীবনের বিনিময়ে রিনির জীবন!
পরদিন। স্বাধীনতা চত্বরে এক ঘণ্টা অপেক্ষা করেও জুবায়ের না আসায় ফোন করে জানতে পারল জুবায়ের হাসপাতালে, ভীষণ অসুস্থ। হাসপাতালে এসে জানতে পারল জুবায়েরের থ্রট ক্যান্সার হয়েছে; লাস্ট স্টেজ।
হাবীব হায়দারের কান্না পেল খুব। ও জুবায়েরের হাত ধরে বলল, তুমি কি ডেথ ইন্স্যুরেন্স পলিসি নিয়েছিলে?
জুবায়েরের মুখে অক্সিজেনের নল, চোখে অশ্রু। ও নেতিবাচক মাথা সামান্য নাড়লে হাবীব হায়দার ফের বলল, পলিসিটা নেওয়া থাকলে তোমার ফ্যামিলি টাকাটা পেত। কিন্তু আমার কী হবে এখন? ট্রেন থেকে এখন আমাকে ধাক্কা দেবে কে?
রানা জামান
মো. সামছুজ্জামান ভূইয়া অতিরিক্ত সচিব হিসেবে ২০১৯-এ অবসরে গিয়েছেন। রানা জামান নামে লেখালেখি করছেন। বাল্যকাল হতেই লিখছেন তিনি। প্রথম কবিতার বইয়ের প্রকাশ ১৯৯৯ খ্রিস্টাব্দে। এ পর্যন্ত ৯৯টি বই বিভিন্ন প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত হয়েছে। কলকাতা থেকেও তিনটি বই প্রকাশিত হয়েছে।
নিজ জেলা : কিশোরগঞ্জ, বাংলাদেশ। জন্ম সাল ১৯৬০।
সাহিত্যের সকল শাখায় তিনি লিখে চলেছেন; গল্প, উপন্যাস, ছড়া, কবিতা ও প্রবন্ধ। ২০২১ খ্রিস্টাব্দে পরমাণু কবিতার বই ‘ঝিনুকে শুনি সমুদ্রের গর্জন’, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে গল্প সংকলন ‘নেপথ্য কাহিনি’ এবং ‘কবিতার প্রকারভেদ’ নামে প্রবন্ধের বই প্রকাশিত হয়েছে কলকাতা থেকে।
তিনি ইংরেজিতেও কবিতা রচনা করছেন। ইতোমধ্যে দুটো বই প্রকাশিত হয়েছে। এই দুটি বইয়ের নাম Lost Love ও Twinking Rhymes।
বিভিন্ন দেশের Anthology-তে লেখকের ইংরেজি কবিতা প্রকাশিত হয়েছে। সেগুলোর কয়েকটির নাম—
1. Friendwood Library; 2. Parrot; 3. Be.Literate; 4. OPA; 5. Soflay; 6. Red door Magazine; 7. Sweetycat; 8. Dash; 9. Hunger; 10. Mothers Embrace; 11. Woman Anthology; 12. ShadowKraft; etc.
প্রাপ্ত সম্মাননা ও পুরস্কার
১. ২০২০ খ্রিস্টাব্দে ত্রৈমাসিক দিগন্ত সাহিত্য পুরস্কার— কবি হিসেবে
২. ২০২১ খ্রিস্টাব্দে কলকাতার যুথিকা সাহিত্য পত্রিকা কর্তৃক পরমাণু কাব্য সারথি উপাধি প্রদান
৩. ২০২৩ খ্রিস্টাব্দে দৈনিক বাঙালির কণ্ঠ পুরস্কার— গল্পকার হিসেবে
৪. ২০২৩ খ্রিস্টাব্দে ভিন্নমাত্রা সম্মাননা ‘একাত্তরের তরুণ মুক্তিযোদ্ধা’ গল্পের বইয়ের জন্য
৫. ২০২৩ খ্রিস্টাব্দে অফিসার্স ক্লাব ঢাকা সম্মাননা-লেখক হিসেবে
৬. ২০২৩ খ্রিস্টাব্দে গাঙচিল সেরা গ্রন্থ পুরস্কার ‘অপু ও মৎস্য মানব’ উপন্যাসের জন্য।