অনুপ্রাণন, শিল্প-সাহিত্যের অন্তর্জাল এ আপনাকে স্বাগতম!
জুলাই ১৩, ২০২৫
২৯শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
জুলাই ১৩, ২০২৫
২৯শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সুশীল কুমার বল্লভ -
সাধের ময়না

বিকাল থেকে রাত এগারোটা কিংবা তারও বেশি সময় ধরে মাজেদের চায়ের দোকানের আড্ডাটা বেশ জমে ওঠে। গ্রামের কর্মজীবী মানুষগুলো সারাদিনের পরিশ্রমের পর একটু অবসর এবং বিনোদনের জন্য এখানে এসে জড়ো হয়। মহল্লার মধ্যে এটিই একমাত্র চায়ের দোকান, যেখানে চা ছাড়াও নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রায় সব জিনিসই পাওয়া যায়। তাছাড়া বিনোদনের কি নেই মাজেদের দোকানে? সব ধরনের ব্যবস্থাই সে রেডি করে রেখেছে। দোকানের সামনে এবং পাশে একচালা ছাউনি। সামনের ছাউনির নিচে ছোট ছোট দুটি চৌকি পাতা হয়েছে তাস খেলার জন্য। পাশের ছাউনির নিচে পাতা হয়েছে একটা ক্যারম বোর্ড। বিকেল তিনটা বাজতে না বাজতেই তাসের প্লেয়ার এসে উপস্থিত হয়। প্রতি সেটে চার জন খেলোয়াড়ের পাশাপাশি খেলা দেখার দর্শক এবং খেলোয়াড়ের সহযোগী থাকে আরো আট দশ জন। তাসের সরবরাহ মাজেদ নিজেই করে থাকে। পাশাপাশি একটু আরাম করে বসার জন্য সরবরাহ করে প্লাস্টিকের বস্তা। সিগারেটের আগুনে পুড়ে পুড়ে শত ছিদ্রযুক্ত বস্তাগুলো সাক্ষ্য দেয় তাসের আড্ডার দীর্ঘদিনের ইতিহাস। ক্যারম বোর্ড খেলায়ও লোকজনের সমাগম প্রায় তাসের সমপরিমাণ। মাজেদ হিসাবি লোক। যত লোকের সমাগম ও আড্ডা বেশি হবে, মাজেদের বেচা-বিক্রিও তত বেশি হবে। তাই মাজেদের নতুন স্ট্র্যাটেজি, কীভাবে আরও বেশি লোকজন দোকানের সামনে জড়ো করা যায় এবং লোকজনকে দোকানের সামনে আরও অধিক সময় আটকে রাখা যায়। দোকানের বেচা-বিক্রি মোটামুটি ভালো। কিন্তু মোটামুটি বিক্রি হলে মাজেদের চলবে কেন? তার আরও বেশি বিক্রি চাই। একটি টেলিভিশন হলে সবচেয়ে ভালো হয়। যেমন ভাবা, তেমন কাজ। কয়েকদিনের মধ্যেই তাস ও ক্যারমের সঙ্গে যোগ হয়েছে ডিশ সংযোগ সহ চল্লিশ ইঞ্চি সাইজের এলইডি টেলিভিশন। যারা একটু বেশি বয়োবৃদ্ধ, তারা অনেকেই তাস কিংবা ক্যারম বোর্ডে না গিয়ে টিভির দিকে তাকিয়ে থাকে। টিভি দেখতে দেখতে এক কাপ চা, পান, বিড়ি সঙ্গে নানা মুখরোচক খাবার খায়।

দোকানে টিভি আনার কয়েকদিনের মধ্যে শুরু হয় ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগের খেলা। উঠতি তরুণ বয়সের ছেলেরা ক্রিকেট খেলার প্রতি ওভারে, আবার কখনো প্রতি বলে বাজি ধরে। বাজির টাকার একটা বৃহৎ অংশ মাজেদের ক্যাশবাক্সে চলে আসে বিভিন্ন মুখরোচক খাবার বিক্রির মাধ্যমে। মাজেদ লক্ষ করে অন্যান্য সময়ের তুলনায় ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগের খেলা চলাকালে তার বিক্রি আরো কয়েক গুণ বেড়ে যায়। তাই সে বুদ্ধি করে তার বৌটাকে দোকানে বসিয়ে দেয়। নতুন করে দোকানে শিঙাড়া আর পুরি ভাজা শুরু করে। গভীর রাত পর্যন্ত দোকানে জেগে থাকতে হয় বিধায় মাজেদের দিনে একটু বিশ্রাম নেওয়া প্রয়োজন। সেই সময়টাতে বউটাকে দোকানে বসিয়ে দু পয়সা যদি বাড়তি কামাই করা যায় তবে মন্দ কী?

তবে পয়সা উপার্জনের সকল প্রকার ব্যবস্থা করার পর এই প্রথমবার পয়সা খরচের মতো একটা বেহিসেবি সিদ্ধান্ত নিয়েছে মাজেদ। অনেকগুলো টাকা খরচ করে একটা ময়না পাখির বাচ্চা কিনেছে সে। সঙ্গে কিনেছে একটি সুন্দর খাঁচাও। মাজেদের মতো একজন অতি হিসেবী লোক কীভাবে ময়না পাখি কেনার মতো এতবড় সিদ্ধান্ত নেয় সেটাই বিস্ময়। ময়না পাখির পেছনে শুধু খরচই আছে। লাভ নেই এক টাকাও। সে শুনেছে ময়না পাখি অনেক সুন্দর করে মানুষের মতো কথা বলে। তাই অনেক শখ করে সে ময়না পাখির খাঁচাটাকে দোকানের ছাউনির নিচে ঝুলিয়ে রাখে। ভালো ভালো খাবার খেতে দেয় পাখিটাকে।

কিছুদিন যেতে না যেতেই ময়না পাখিটা মানুষের শেখানো অনেক কথা নকল করে হুবহু বলতে শিখে যায়। দোকানে আসা ক্রেতারা অবাক হয়ে ময়না পাখির কথা শোনে। কেউ কেউ দোকান থেকে নানান রকম খাবার কিনে পাখিটাকে খেতে দেয়।

স্কুলগামী ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা স্কুলে যাবার পথে ময়না পাখিটাকে দেখে কিছু সময়ের জন্য থামে। পাখিটার সঙ্গে অনেকক্ষণ বন্ধুর মত কথা বলে এবং কথা শেখানোর চেষ্টা করে। পাশাপাশি কিছু লজেন্স, চিপস, বাদাম, চুইংগাম ও অন্যান্য খাবার কেনে মাজেদের দোকান থেকে।

মাজেদ ভাবে, ময়না পাখি পোষার সিদ্ধান্ত তার একেবারে বৃথা যায়নি। ছোট ছোট ছেলেমেয়েরাও এখন তার নিয়মিত কাস্টমার শুধু এই ময়না পাখিটার কারণে। ময়না পাখিটাকে তাই সে এখন সৌভাগ্যের প্রতীক হিসেবে মনে করে।

তাসের আড্ডা নিয়মিত জমে ওঠে। বিড়ির ধোঁয়া কুণ্ডলী পাকিয়ে উঠে দোকানের পরিবেশটা ধোঁয়াচ্ছন্ন হয়ে ওঠে। তার সঙ্গে জমে ওঠে সমাজের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা। সমাজের যত প্রকার নোংরা বিষয় হচ্ছে প্রতিদিনকার আলোচনার বিষয়বস্তু।

কার ঘরে সুন্দরী বউ থাকা সত্ত্বেও অন্যের বউয়ের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে ধরা খেয়েছে, কার মেয়ে কার সঙ্গে প্রেম করে পালিয়ে গেছে, কার বউয়ের বিবাহের তিন মাস পেরোতে না পেরোতেই বাচ্চা প্রসব করেছে ইত্যাদি ইত্যাদি।

চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা চলছে এখন দোকানের সামনে। তাসের আড্ডা থেকে সিগারেটের ধোঁয়া ছাড়তে ছাড়তে বদিউজ্জামান ওরফে বদি হাঁক দেয়, কিরে মাজেইত্তা, হালারফালা, তোরে না কোন সোমায় কইলাম এট্টা পান দে।

মাজেদও কম যায় না। সে উত্তর দেয়, চোত্মারানির পো, তুই আগে সাড়ে ছয়শ টাহা বাকি বানাইছ পান খাইয়া। হেই টাহা দেওয়ার নামগন্ধ নাই। আবার আইছো বাকিতে পান মারাইতে?

ময়না পাখিটাও মাজেদের সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়ে বলে ওঠে⸺চোত্মারানির পো, বাকিতে আইছ পান মারাইতে?

ময়না পাখির কথা শুনে হাসির বন্যা বয়ে যায় তাসের আড্ডায়। একজন বলে ওঠে⸺কীরে মাজেদ, কী পক্ষী কিনে আনলি, এ তো দেহি গালাগালিও করতেও শিখে গেছে।

⸺গালিগালাজ করবে না আবার? মাজেদ হাসে। বলে, বাইক্কা কাস্টমার দেখলে মোর ময়নায় এই রকম একটু-আধটু গালি গালাজ করে। তয় বদির ভাগ্য ভালো যে মোর ময়না পাখি ওর মাথার উপর এখনো হাগু করে নাই।

মাজেদের কথায় বদি ছাড়া আর সকলের মুখে হাসির ফোয়ারা ছোটে। আগে স্কুলগামী ছেলে-মেয়েরা সকাল বেলা ময়না পাখির খাঁচার সামনে দাঁড়ালে ‘সু-প্রভাত, কেমন আছ বন্ধুরা’⸺বলে পাখিটা সবাইকে অভিবাদন জানাত। প্রতিউত্তরে ছোট ছোট শিশুরাও পাখিটাকে ‘তুমি কেমন আছ’ বলে পাখিটার সঙ্গে নানা রকম কথা বলত। কিন্তু এখন পাখিটা খাঁচার সামনে শিশু কিংবা বড় কাউকে দেখলেই⸺‘কী রে হালার পো হালা’, ‘এ মাইন্দারের পো’ কিংবা আরও অনেক অশ্রাব্য ভাষা ব্যবহার করে। এ নিয়ে দোকানের সামনে লোকজন প্রতিদিন অনেক হাসাহাসি করে। অনেকে আবার নতুন নতুন গালি শিখতে পাখিটাকে উদ্ধুদ্ধ করে।

স্কুল ছুটি হলে বাড়ি ফেরার পথে শিশুরা একবারের জন্য হলেও ময়নার সামনে দাঁড়ায়। এই স্কুলফেরত শিশুদের মধ্যে এখন আছে দীপ্ত, লাবণ্য, কথামনি, উৎস, কেয়া, অমিত, অথৈ, শ্রুতিসহ আরও কয়েকজন। পাখিটার এই গালাগালি শুনে ওরাও সবাই হাসাহাসি করছে। তবে ব্যতিক্রম হচ্ছে উৎস। ওর মুখে কোনো হাসি নেই। দলছুট হয়ে ও একটু দূরে দাঁড়িয়ে সবার কার্যকলাপ লক্ষ করে। আর মনে মনে ভাবে⸺মানুষ কতটা খারাপ প্রকৃতির। একটি মুক্ত আকাশে ওড়া পাখিকে ধরে খাঁচায় বন্দি করে রেখেছে। শুধু বন্দি করে রেখেই থামেনি, তার উপর পাখিটাকে শিখিয়েছে খারাপ খারাপ গালি। অথচ তার জন্য কারো কোনো অনুশোচনা নেই। সবাই যেন মহাআনন্দে আছে। ছি! মানুষ এতটাও নিচে নামতে পারে? একবার ভাবে দোকানদারকে বলে দেই আঙ্কেল, পাখিটাকে ছেড়ে দিন না। তারপর আবার ভাবে, আমি ছোট মানুষ, আমার কথা কি দোকানদার আঙ্কেল শুনবে? তার মনটা বিষাদে ভরে যায়, ইস আমার যদি অনেকগুলো টাকা থাকত তবে একদিন মাজেদ আঙ্কেলের কাছ থেকে পাখিটাকে কিনে আকাশে উড়িয়ে দিতাম।

স্কুল থেকে আসার সময় উৎস দেখে তাসের আড্ডা তখন জমে উঠেছে, বাজি ধরে ক্যারম বোর্ড খেলা চলছে। বাজি চলছে টিভিতে ক্রিকেট খেলা দেখার দর্শকদের মধ্যেও। অন্যদিকে, কিছু লোক যখন ময়না পাখিটাকে নিয়ে আনন্দ উল্লাসে মেতে আছে, উৎস তখন সবার চিন্তা জগতের উল্টো পথে একা একা বিচরণ করে। তার ছোট্ট মনে কত কত ভাবনারা উঁকি দিয়ে একগাদা বেদনা রেখে যায় তার খবর কেউ রাখে না।

এভাবে অনেকদিন কেটে যায়। সময় বদলে যায়। সমাজের অনেক কিছুর পরিবর্তন হয়। শুধু মাজেদের দোকানের তাস, ক্যারম আর জুয়ার আড্ডার পরিবর্তন হয় না। আজও যথারীতি আড্ডা বসেছে। তবে, আজ আলোচনার বিষয়বস্তু ভিন্ন। আজ উত্তরপাড়ার ফজর শেখের ছেলে কামাল বিষপানে আত্মহত্যা করেছে। বিশ বছরের এক টগবগে যুবক ছিল কামাল। সে ছিল মাজেদের দোকানের একজন নিয়মিত ক্রেতা ও আড্ডাবাজ। তার হঠাৎ আত্মহত্যার কারণ নিয়ে দোকানের বৈঠকে চলছে তুমুল আলোচনা। থানা থেকে পুলিশ এসেছে ফজর শেখের বাড়িতে ঘটনার তদন্ত করতে। এলাকাবাসী অনেকেই এসে ভিড় করেছে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, কিছুদিন যাবত কামাল বাড়িতে টাকার জন্য চাপ দিচ্ছিল। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগের খেলায় সে প্রতি ওভারে বাজি ধরত। তাস খেলায়ও সে বাজি ধরত। বাজিতে হেরে সে অনেক টাকা দেনা হয়ে পড়ে। ইতোপূর্বে সে প্রায় দু’লাখ টাকা নিয়েছে বাড়ি থেকে। তারপর আবার নতুন করে টাকার জন্য বাহানা করে। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ঘটনার সূত্রপাত হয়। আর এই ঘটনার কেন্দ্রস্থল যে মাজেদের দোকান তা পুলিশকে জানিয়ে দেয় ফজর শেখ।

ফজর শেখের বাড়িতে তখন উপস্থিত ছিল মাজেদের চাচাতো ভাই ফরিদ। ফরিদ ঊর্ধ্বশ্বাসে হাঁফাতে হাঁফাতে মাজেদের দোকানের সামনে এসে বলে⸺চাচাতো ভাই, খবর শুনেছ কিছু? পুলিশ আসছে তোমাকে গ্রেফতার করতে। তাড়াতাড়ি পালাও। সঙ্গে সঙ্গে তাসের আড্ডার সমস্ত লোক দিগ্বিদিক ছুটোছুটি করে মুহূর্তের মধ্যেই আড্ডাটা জনশূন্য হয়ে যায়। মাজেদ তড়িঘড়ি করে কোনমতে দোকান বন্ধ করে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।

সেদিন স্কুল ছুটির পর উৎস তার সহপাঠীদের সঙ্গে নিয়ে বাড়ির দিকে রওনা দেয়। মাজেদের দোকানের সামনে এসে দেখে দোকান বন্ধ। সামনে কোন লোকজনের চিহ্ন মাত্র নেই। কিন্তু ময়না পাখির খাঁচাটা দোকানের ছাউনির নিচে এখনো ঝুলে আছে। জনশূন্য দোকানে খাঁচার মধ্যে পাখিটা নির্বিকারভাবে বসে আছে। এমনটা তো কখনো হয় না। উৎস পাখিটার সামনে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকে। তার সহপাঠী বন্ধুরা সবাই বাড়ি চলে গেছে। সে তার করণীয় ঠিক করে। চারদিকটা সে ভালো করে একবার দেখে নেয়।

এদিকে স্থানীয় মেম্বরের সহায়তায় থানা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে মাজেদ কিছু টাকার বিনিময়ে গ্রেফতার এড়াতে সমর্থ হয়। কিন্তু তাকে মুচলেকা দিয়ে আসতে হয়েছে তার দোকানের সামনে আর কোনোদিন তাস এবং ক্যারমের আড্ডা চলবে না।

পরদিন সকালবেলা মাজেদ দোকানে এসে দেখে তার সাধের ময়না পাখির খাঁচাটা যথাস্থানে আগের মতো ঝুলে আছে। কিন্তু খাঁচায় তার ময়না পাখিটা আর নেই। মাজেদ মাথায় হাত দিয়ে মাটিতে বসে পড়ে। কে তার সাধের ময়নাটাকে চুরি করে নিয়ে গেল। সে আর বেশি কিছু ভাবতে পারে না।

সেদিন স্কুলে যাওয়ার সময় উৎস ও তার সহপাঠীরা মাজেদের দোকানের সামনে থামে। দেখে মাজেদ আঙ্কেল একা একা দোকানে গালে হাত দিয়ে বসে আছে। দোকানে কোন লোকজনের সমাগম-আড্ডা কিছুই নেই। ময়না পাখিটাকে দেখতে না পেয়ে তার সহপাঠীরা সবাই আফসোস করে। কিন্তু উৎস’র মনে কোনো আফসোস থাকে না। তার মনে একটা অসম্ভব ভালোলাগা কাজ করে। আর মনে মনে ভাবে⸺আর যাই হোক, ময়না পাখির বিষয়ে তাকে আর কেউ সন্দেহ করবে না।

লেখক পরিচিতি

C:\Users\Min TEchnology\Downloads\Sushil Kumer Ballav.jpg

সুশীল কুমার বল্লভ

সুশীল কুমার বল্লভ জন্মেছেন ৪ আগস্ট ১৯৮৪ খ্রিস্টাব্দে (সার্টিফিকেট অনুসারে) বরিশাল জেলার বানারীপাড়া উপজেলার বিশারকান্দি ইউনিয়নের বিশারকান্দি গ্রামে। পিতা সচীন্দ্র নাথ বল্লভ, মাতা দ্রৌপদী রানী বল্লভ।

পড়ালেখা : সরকারি ব্রজমোহন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে ব্যবস্থাপনা বিষয়ে অনার্সসহ মাস্টার্স ডিগ্রি।

পেশা : স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের একজন সরকারি কর্মচারী হিসেবে স্বাস্থ্য সেবায় নিয়েজিত আছেন।

ছোটগল্পের পাশাপাশি কবিতাচর্চা করেন। বই পড়া, গান শোনা এবং নতুন নতুন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া তার খুব পছন্দ।

সাহিত্য ম্যাগাজিন ‘দিশারী’ সম্পাদনায় নিয়োজিত আছেন।

‘একটি নিখোঁজ সংবাদ’ তার প্রথম গল্পগ্রন্থ।

 

Print Friendly, PDF & Email

Read Previous

অনুপ্রাণন অন্তর্জাল- সম্পাদকীয় (৭ম সংখ্যা)

Read Next

শর্মী দে – যুগল কবিতা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *