অনুপ্রাণন, শিল্প-সাহিত্যের অন্তর্জাল এ আপনাকে স্বাগতম!
জুন ২৬, ২০২৫
১২ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
জুন ২৬, ২০২৫
১২ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফরিদ আহমদ -
শনিবার বিকেল চলচ্চিত্র নিয়ে ভাবনাঃ প্রতিচ্ছবি না প্রতারণা

শনিবার বিকেল চলচ্চিত্র নিয়ে ভাবনাঃ প্রতিচ্ছবি না প্রতারণা

ফরিদ আহমেদ

২০১৬ সালের জুলাই মাসের এক তারিখে বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় জঙ্গি হামলাটা ঘটে।

ঢাকার অভিজাত এলাকা গুলশানের একটা রেস্টুরেন্ট হোলি আর্টিজানে ওইদিন হামলা চালায় জঙ্গিরা।  ছবির মতো সুন্দর এই রেস্টুরেন্টরা বিদেশিদের কাছে খুব জনপ্রিয় ছিলো।  রোজার দিনে ইফতারের পরে স্বাভাবিকভাবেই সেখানে বেশ ভিড় ছিলো।  ওই সময় পাঁচজন তরুণ জঙ্গি গুলি করতে করতে ঢুকে পড়ে রেস্টুরেন্টের ভিতরে।  এরা সবাই উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তান, সবাই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ঘটনার সেই রাতে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি বাসা থেকে পাঁচজন জঙ্গি রোহান ইমতিয়াজ, নিবরাস ইসলাম, মীর সামিহ মোবাশ্বের, খায়রুল ইসলাম পায়েল ও শফিকুল ইসলাম উজ্জ্বল গুলশানের ৭৯ নম্বর সড়কে যায়।  রাত ৮টা ৪২ মিনিটে প্রথমে তিন জন ও এক মিনিট পরে দুই জন ব্যাগে অস্ত্র ও বোমাভর্তি ব্যাগ নিয়ে ওই রেস্টুরেন্টে প্রবেশ করে।  প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গেই সেখানকার বিভিন্ন টেবিলে বসে থাকা বিদেশি নাগরিকদের এলোপাথাড়ি গুলি করতে থাকে তারা।  মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য তাদের গলায় ও শরীরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে।  অন্যদের জিম্মি করে ফেলে তারা।

রেস্টুরেন্টে ঢোকার সময়ই দুইজন পুলিশ কনস্টেবল আহত হন। এরপর পুলিশ রেস্টুরেন্ট ঘিরে ফেলে, কিন্তু জঙ্গিরা পুলিশের দিকে দুটি গ্রেনেড ছুড়ে মারে। এতে গুরুতর আহত হন বনানী থানার ওসি সালাহউদ্দিন ও ডিবির এসি রবিউল। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁদের মৃত্যু হয়।

জিম্মিদের উদ্ধার ও জঙ্গিদের দমন করতে সেনাবাহিনীর প্যারা কমান্ডো ইউনিটকে সিলেট থেকে আনা হয়। পুলিশ ও বিজিবিও সার্বক্ষণিকভাবে হোলি আর্টিজান ঘিরে রাখে। ভোরবেলায় শুরু হয় ‘অপারেশন থান্ডারবোল্ট’। তাতে পাঁচ জঙ্গি নিহত হয় এবং জীবিত জিম্মিদের উদ্ধার করা হয়।

এই হামলার পরপরই আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংগঠন ইসলামিক স্টেট, সংক্ষেপে আইএস বিবৃতি দেয় যে তাদের কর্মীরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে।  বাংলাদেশের পুলিশ অবশ্য এই দাবীকে উড়িয়ে দিয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের বক্তব্য ছিলো এরা সবাই বাংলাদেশি জঙ্গি সংগঠন জামাত-উল-মুজাহিদিন (জেএমবি) এর সদস্য।

ওই সময় বাংলাদেশে বেশ কয়েকটা জঙ্গি সংগঠন মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিলো।  এদের মধ্যে হরকাত-উল-জিহাদ এবং আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের নাম করা যেতে পারে।  কয়েক বছর আগে অভিজিৎ রায়সহ বেশ কয়েকজন ব্লগারকে হত্যা করা হয়।  ব্লগার হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আনসারুল্লাহ বাংলা টিম সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলো।

হোলি আর্টিজানের সেই জঙ্গি হামলাকে চলচ্চিত্রে তুলে এনেছে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।  চলচ্চিত্রটার নাম হচ্ছে ‘শনিবার বিকেল’। ২০২২ সালে টরন্টোতে ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল অব সাউথ এশিয়া চলছিলো।  মর্নিংসাইড সিনেপ্লেক্সে এটার প্রদর্শনী ছিলো।  মর্নিংসাইড সিনেপ্লেক্সটা আমার বাসা থেকে মাত্র পাঁচ ছয় মিনিটের ড্রাইভ।  কাছাকাছি দূরত্বের কারণে এমনিতেই হয়তো ছবিটা দেখতে যেতাম।  তবে, সেটার চেয়েও অনেক বেশি আগ্রহ ছিলো ছবিটার বিষয়বস্তুর কারণে।  যদিও পরিচালক ফারুকী সাহেব বলেছেন, ছবিটা হোলি আর্টিজান নিয়ে নয়, তবে ওই ঘটনা থেকে অনুপ্রাণিত। এর বাইরে বাড়তি আরেকটা আগ্রহ তৈরি হয়েছিলো এটা জেনে যে এই ছবিটাকে বাংলাদেশের সেন্সরবোর্ড বাংলাদেশে প্রদর্শনের অনুমতি দেয়নি।  নিষিদ্ধ বস্তুর প্রতি মানুষের আগ্রহ অপরিসীম।  আমারও এই কারণে আগ্রহ বেড়ে গিয়েছিলো। বহুগুণ।  আমার শুধু একার না, এখানকার বাংলাদেশিদের মধ্যেও বেশ আগ্রহ ছিলো ছবিটা নিয়ে।  সেটার প্রমাণ পাওয়া গেলো পূর্ণ প্রেক্ষাগৃহ দেখে।

আমি কোনো চলচ্চিত্র বিশেষজ্ঞ নই, সাধারণ দর্শক হিসাবে যা অনুভব করি সেটাই বলি। তাই এটি কেউ ‘গভীর চলচ্চিত্র পর্যালোচনা’ না হিসেবে নিলে ভালো হয়।। চলচ্চিত্রের নিজস্ব একটা ভাষা আছে, গভীরতা আছে, আছে অর্থপূর্ণতা।  সেগুলো আমার পক্ষে বোঝাটা কঠিন।  আমি সাদা চোখে আমার কাছে যেটা ভালো লাগে কিংবা মন্দ লাগে, সেটাই সাধারণত বলে দেই।  কাজেই, এটাকে কেউ গভীর চলচ্চিত্র পর্যালোচনা হিসাবে না নিলেই খুশি হবো আমি।

আগেই বলেছি, হোলি আর্টিজান অভিজাত গুলশান এলাকার রেস্টুরেন্ট ছিল। যাঁরা এটাকে সরাসরি দেখেছেন বা ছবিতে দেখেছেন, তাঁরা জানেন, রেস্টুরেন্টরা অসম্ভব সুন্দর একটা রেস্টুরেন্ট ছিলো।  পরিপাটি এবং রুচিসম্মত।  অভিজাত এলাকার অভিজাত রেস্টুরেন্ট বলতে যা বোঝায়, হোলি আর্টিজান ছিলো সে’রকমই।  ফারুকীর ‘শনিবার বিকেলে’ চলচ্চিত্রেও জঙ্গিরা এক রেস্টুরেন্টে হামলা চালায়।  সেই রেস্টুরেন্ট অবশ্য হোলি আর্টিজানের মতো অমন রুচিশীল, পরিপাটি এবং সুসজ্জিত নয়।  জঙ্গিদের গুরু একজন আরবিভাষী ব্যক্তি।, পোশাক-আশাকে সুসজিত।  তিনি ওখানে অতিথি হিসাবে গিয়েছিলেন।

শুরুতেই দেখা যায় সেখানে অনেক বিদেশি অতিথি আছে।  তারমানে এটা অভিজাত এলাকার একটা রেস্টুরেন্ট।  কিন্তু, এর চেয়ার টেবিল, কিংবা সাজসজ্জা দেখলে, আশির দশকে মৌচাকের সামনের যে গরীব রেস্টুরেন্টগুলো ছিলো, সেই রকম মনে হবে।  কুৎসিত চেহারার কাঠের চেয়ার, ততোধিক কুৎসিত চেহারার কাঠের উঁচু টেবিল দিয়ে ঢাকার কোনো অভিজাত এলাকার রেস্তোরা নিজেদের সাজায় বলে জানি না আমি।

হোলি আর্টিজানের মতোই গুলি করতে করতে জঙ্গিরা রেস্টুরেন্টে প্রবেশ করে। সকল বিদেশিদের তারা এক রুমের মধ্যে ঠেলাঠেলি করে ঢুকিয়ে দেয়।  এদের ভাগ্যে কী ঘটেছিলো, তা আর জানা যায় না।  জন নামের একজন বিদেশিকে বলা হয় তার পরিবারকে কল দিতে।  জন বিবাহিত নয় বলে সে তার মাকে কল দেয়।  মা ফোনে কথা বলা অবস্থাতে থাকার সময়ে জনকে গুলি করে মারে জঙ্গিরা।  তাকে আসলে মারারই নিয়ত ছিলো জঙ্গিদের।  সেই নিয়ত থাকার পরেও খামোখা তাকে দিয়ে মাকে তার কল করানোর এবং কথা চলাকালীন সময়ে তাকে হত্যা করার কোনো অর্থ আমি খুঁজে পাই নাই। মারার ইচ্ছা থাকলে এমনিতেই তাকে মারা যেতো।  এর জন্য এতো নাটক করার প্রয়োজন ছিলো না।

সব বাংলাদেশিদেরও জড়ো করা হয় এক জায়গায়।  সব বললে অবশ্য ভুল হবে।  একজন ছিলো যার চেহারা সুস্পষ্টভাবে অ-বাংলাদেশি।  কিন্তু, জঙ্গিরা তাকেও বাংলাদেশি হিসাবে ধরে নিয়ে বাংলায় জেরা করতে থাকে।  কোনো প্রশ্নের উত্তর না দেওয়ায় শেফ জানায় যে সে আসলে বোবা।  এই বোবাকে পরে আরবি-ভাষী গুরুর সামনে বসিয়ে রাখা হয়।  ওখানে যখন তাকে নির্দেশনা দেওয়া হয়, তখন বোঝা যায় বোবা হলেও সে কথা শোনে এবং বোঝে।  বোবা ব্যক্তিরা কানে শোনে না বলেই জানতাম আমি।  এই বোবা খানিকয়া ব্যতিক্রম।  পরে অবশ্য জানা যায় যে সে আসলে বোবা না।  পরিকল্পনা করে জঙ্গিরাই তাকে বোবা সাজিয়েছিলো।  এতো পরিকল্পনা করার সময় এবং সুযোগ জিম্মিরা কীভাবে পেয়েছিলো কে জানে?

পাঁচ জঙ্গির মধ্যে, তিন জঙ্গিই বেশি লাফঝাঁপ করেছে। এই তিন জঙ্গির চরিত্রে অভিনয় করেছেন কোলকাতার পরমব্রত এবং বাংলাদেশের ইরেশ জাকের ও ইন্তেখাব দিনার।  এঁরা তিনজনই চল্লিশোর্ধ।  সাধারণত জঙ্গিদের সম্মুখ সারির সেনারা অল্পবয়সী তরুণ হয়ে থাকে।  টিনএজার বা আর্লি টোয়েন্টিজের ছেলেদের ম্যাচুরিটিই না আসাতে, এদের মস্তিষ্ক ধোলাই করা খুব সহজ হয়।  হোলি আর্টিজানের জঙ্গিদের বয়স বিশ্লেষণ করলেই সেটা বুঝতে পারবেন।  তো, এই তিন মধ্যবয়সী জঙ্গি নানাধরনের কর্মকাণ্ড করেছে জিম্মিদের নিয়ে।  নিজেদের উগ্রবাদী প্রমাণ করার জন্য লাফঝাঁপও দিয়েছে তারা।  কিন্তু, তার কোনোটাই বিশ্বাসযোগ্য হয়নি, কৃত্রিম বলে মনে হয়েছে।

পরমব্রত কিছুটা পেরেছেন।  তার বয়স সেভাবে বোঝা যায়নি চলচ্চিত্রে।  এর বাইরে, পশ্চিম বঙ্গের মানুষ হবার পরেও বাংলাদেশের কথার টানটাকে তিনি এনেছেন দারুণভাবে।  আমি কান পেতে শুনেও তাঁর পূর্ব বঙ্গীয় টানে কোনো খুঁত ধরতে পারি নাই।  বাকি দুইজনকে স্রেফ ভাঁড় বলে মনে হয়েছে।  অথচ, ইরেশ জাকের এবং ইন্তেখাব দিনার দু’জনেই নামকরা অভিনেতা।  এই ছবিতে পুরোপুরি ব্যর্থ দু’জনে।  এদের বিদেশি বসের চরিত্র যিনি করেছেন, তাঁর কোনো সুযোগই ছিলো না অভিনয় দেখানোর।  জানালা দিয়ে উঁকিঝুঁকি মেরে পুলিশের অবস্থান দেখা আর মাঝে মাঝে পুলাস পুলাস (পরমব্রতের স্ক্রিন নাম ছিলো পলাশ) বলে তাকে ডেকে নিয়ে কানে কানে কিছু বলাই ছিলো তাঁর একমাত্র কাজ।

যাঁরা জিম্মি হিসাবে ছিলেন, তাদের অভিনয়ের অবস্থা আরও খারাপ।  মামুনুর রশীদ, জাহিদ হাসান কিংবা তিশা কাউকে দেখেই মনে হয়নি যে তাদের সামনে জঙ্গিরা নির্বিকারভাবে মানুষজনকে হত্যা করছে।  কেউ এই ভয়ংকর পরিস্থিতির মধ্যেও নির্বিকারভাবে নামাজ পড়তে চাইছে, কেউ সিগারেটে সুখটান দিচ্ছে, কেউ বা আবার মায়ের সম্মান বাঁচানোর জন্য কড়া কড়া কথা বলছে জঙ্গিদের।

ছবির সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা হচ্ছে পুরো ছবি দেখার পরেও আপনি জঙ্গিদের কোনো উদ্দেশ্যে খুঁজে পাবেন না।  ঠিক কী কারণে রেস্টুরেন্টে হামলা চালালো তারা? কেনো এতোগুলো নিরীহ মানুষের জীবন নিলো? এগুলোর কোনো উত্তর আপনি পাবেন না।  মনে হবে যেনো, কে কলেমা পড়তে পারে আর কে পারে না, কে হিজাব পরে আর কে পরে না, সেটাই হচ্ছে জঙ্গিদের আসল সমস্যা।  ফলে, সুরা পড়ার পরীক্ষা নেয় তারা।  সেই পরীক্ষায় পাশ করলে প্রশংসা করে, ফেল করলে গুলি করে মেরে ফেলে।  হিজাব পরাতে তিশাকে প্রশংসা করে তারা। অন্যদিকে হিজাব না পরে নর্থ সাউথে পড়তে যায় বলে এবং সুরা না পারার কারণে তিশার বান্ধবীকে গুলি করে মেরে ফেলে তারা।  শেষের দিকে গিয়ে বাংলাদেশি ছদ্মবেশে একজন ভারতীয় আছে জানতে পেরে, তাকে খুঁজে বের করে মারার জন্য জান-প্রাণ দিয়ে চেষ্টা চালাতে থাকে জঙ্গিরা। যেনো, একজন ভারতীয়কে মারতে পারলেই তাদের সব মিশন সাকসেসফুল হবে।  আর পরিচালক সাহেবও শুধু ভালো ইসলাম আর খারাপ ইসলামকে আলাদা করার চেষ্টা করেছেন মাত্র।  আমরা আগে ভালো ইসলামে বসবাস করতাম, হুট করে এরা খারাপ ইসলামে কেমনে গেলো, সেটার আফসোস তিনি করিয়েছেন তাঁর এক চরিত্রের মধ্যে দিয়ে।

পুরো মুভিটাই ফারুকী শুট করেছেন রেস্টুরেন্টের ভিতরে।  বাইরের একটা শটও সেখানে নেই।  ফলে, রেস্টুরেন্টের বাইরে পুলিশ, বিজিবি কিংবা সেনাবাহিনীর কোনো কর্মকাণ্ড আপনি দেখতে পাবেন না।  জঙ্গি এবং জিম্মিদের ভাঁড়ামো দেখতে হবে পুরোটা সময় জুড়ে।  এ রকম বদ্ধ জায়গাতেও শুট করেও অনেক ভালো ছবি করা যায়।  তার প্রমাণ হচ্ছে ‘টোয়েলভ এ্যাংরি মেন’ ছবিটা। ‘শনিবার বিকেল’ ওই রকম উচ্চ মানের ছবি না, সেটা বলাই বাহুল্য।  কিন্তু, কথা হচ্ছে এটা আসলে কোনো মানেই পৌঁছায়নি।  হোলি আর্টিজানের যে শ্বাসরুদ্ধকর রোমাঞ্চ, বীভৎসতা, আশংকা, আতঙ্ক এবং অসহায়ত্ব, তার কিছুই এখানে ফুটে ওঠেনি।  মঞ্চ নাটকের মতো মনে হয়েছে পাত্রপাত্রীদের চলাফেরা এবং কর্মকাণ্ড।  চলচ্চিত্র বলে মনে হয়নি এটাকে।

ছবিটা যে প্রত্যাশা নিয়ে গিয়েছিলাম, তার আসলে কোনোটাই পূরণ হয়নি আমার।  বেশি হতাশার কারণে মুভি শেষ হবার সাথে সাথেই বের হয়ে চলে এসেছিলাম থিয়েটার থেকে।  থিয়েটার থেকে বের হবার পরে মনে পড়েছিলো মোস্তফা সরয়ার ফারুকীও এখানে থাকার কথা।  মুভি শুরুর আগেই বলা হয়েছিলো যে মুভির শেষে তিনি দর্শকদের সাথে মত বিনিময় করবেন।  ওই অংশে থাকা উচিত ছিলো আমার।  সেক্ষেত্রে ছবির বিষয়ে অন্য দর্শকদের এবং তাঁর মতামতটা কিছুটা জানতে পারতাম আমি।

Print Friendly, PDF & Email

Read Previous

সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে দেখা

Read Next

আসমা সুলতানা শাপলার “সম্পর্কটা শুধুই জৈবিক – ২” এবং আমার পাঠ প্রতিক্রিয়া।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *