তারেক মাহমুদকে কোনো একক পরিচয়ে সনাক্ত করা কঠিন। একাধারে তিনি কবি, গল্পকার, ছোটকাগজ সম্পাদক, অভিনেতা, নাট্যনির্মাতা… আরও অনেক কিছু। একজন যথার্থ শিল্পী যেমন কোনো কিছুতে তৃপ্ত হন না; বোধকরি তারেক মাহমুদের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। অবশ্য কিছু কাজ তারেক মাহমুদকে করতে হয়েছে জীবন-জীবিকার তাড়নায়। নাটক নির্মাণ থেকে শুরু করে নাটক-চলচ্চিত্রে অভিনয়— বোধকরি অর্থোপার্জনের আকাঙ্ক্ষা থেকেই। যতটুকু মনে পড়ে, তার সঙ্গে প্রথম দেখা হয় আজিজ সুপার মার্কেটের দ্বিতীয় তলায়, কালজয়ী কম্পিউটার্সে। ‘ফুলস্টপ’ নামে একটি নাটক বানিয়েছেন, পেনড্রাইভ থেকে সেটা সিডি রাইট করে নেবেন। এলেন কালজয়ী কম্পিউটার্সের স্বত্বাধিকারী ফারুক খানের কাছে। সিডি রাইট করে ফারুক খান মার্কার দিয়ে সিডির উপরে নামটা না লিখে একটা বিন্দু (.) দিলেন ভরাট করে। এটাই তো ফুলস্টপ! এমনতর রসিকতায় মুগ্ধ হয়ে হাসলেন তারেক মাহমুদ। নাটকটিতে অভিনয়ও করেছিলেন তিনি। ফারুক খান কম্পিউটারে চালিয়েছেন অল্প সময়ের জন্য। এতেই দেখলাম চলতে চলতে থেমে গেল একটি গাড়ি। আর গাড়িতে উঠে বসলেন পরিচালক নিজে। তিনিও যে অভিনেতা!
তারেক মাহমুদের সঙ্গে দ্বিতীয়বার কথা হয় পুলক হাসানের বদৌলতে। লিটল ম্যাগাজিন খেয়া ২০০৯-১০ সালের দিকে প্রকাশ করেছিল গল্পসংখ্যা। খেয়ার সেই সংখ্যায় প্রকাশিত হয় তারেক মাহমুদের গল্পও। শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেট-কেন্দ্রিক একটা আড্ডা ছিল তার। পুলক হাসান যেহেতু নারায়ণগঞ্জে থাকেন, সবার সঙ্গে সব সময় দেখা হয় না। আমার জন্য বিষয়টা তুলনামূলক সহজ। বাসা হাতিরপুলস্থ ফ্রি স্কুল স্ট্রিটে। সহজেই সৌজন্য কপি পৌঁছে দিলাম তারেক ভাইয়ের হাতে। তারপর তো অমর একুশে বইমেলা, কাঁটাবনের কনকর্ড এম্পোরিয়াম, শাহবাগ মোড়, শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণ— এখানে-ওখানে কতভাবে কতবার দেখা-সাক্ষাৎ। ক্ষণিকের ভাব বিনিময়।
বইমেলার লিটল ম্যাগাজিন চত্বরে একবার তার সঙ্গে অন্যভাবে দেখা হয়েছিল। আমার স্টলে এসে সালাম মাহমুদ সম্পাদিত লিটল ম্যাগাজিন ‘পরাগ’ উল্টেপাল্টে দেখছিলেন। কিছুক্ষণ পরে বললেন, ‘এখানে বউয়ের কবিতা আছে। কিনতে হবে?’
আমি বললাম, ‘কিনতে হবে।’
মোটামুটি অনিচ্ছাসত্ত্বেও পত্রিকাটি কিনলেন তিনি। বউয়ের মন রাখা নিয়ে কথা! যদিও আমি জানতাম না, তার বউ কোন কবি। অনেক পরে এসে জেনেছি, বউ আর তার সঙ্গে সংসার করেন না। এটাই হয়তো স্বাভাবিক। একজন পুরুষ যখন শিল্প-সংস্কৃতির নেশায় মজে থাকেন সঙ্গত কারণেই সাংসারিক চাহিদা পূরণ করতে পারেন না। ঘরের মানুষ তো অলীক রোশনাই খেয়ে থাকেন না। ঝগড়া-ঝাটি থেকে শুরু করে বিচ্ছেদ-বিরহের মতো ঘটনা (দুর্ঘটনা) সংঘটন খুব স্বাভাবিক।
সর্বশেষ বছর দেড়েক আগে তারেক মাহমুদ যখন সালেহা চৌধুরীকে নিয়ে ডকুমেন্টারি বানালেন, আপলোডও করলেন ইউটিউবে। বিষয়টা ঠিক স্বাভাবিক মনে হলো না। যদি এভাবে ভাবতে পারতাম, তিনি যোগ্য একজন মানুষের মূল্যায়ন করছেন তাহলে ভাবতে ভালো লাগত। মন বলছিল বিষয়টা স্বাভাবিক নয়। তার চিন্তাচর্চার চৌহদ্দি আর সালেহা চৌধুরীর সাহিত্য-পাটাতন এক নয়। বলতে গেলে দুই ভুবনের দুই বাসিন্দা। দেশের নানাপ্রান্তে যে কারণে সাংবাদিকের সংখ্যা বাড়ে, অভিন্ন কারণেই বাড়ছে ইউটিউব কনটেন্ট নির্মাতার সংখ্যাও। তারেক মাহমুদ হয়তো এসবের মাধ্যমে কিছু হাসিল করতে চেয়েছেন। সেটা তিনি কিছুটা পেরেছিলেন বোধকরি।
তারেক মাহমুদের মৃত্যটা ছিল একেবারেই অপ্রত্যাশিত। জলজ্যান্ত মানুষটার প্রাণবায়ু হঠাৎ করেই উড়ে গেল। অনেকেই ব্যথিত হয়েছিলেন তার এই অকাল প্রয়াণে। সালেহা চৌধুরীও দুঃখ করে বলেছিলেন, এত অল্পেই চলে গেল ছেলেটা!
বিভিন্ন জনের কাছ থেকে নানাভাবে অর্থসাহায্য চেয়েছিলেন তারেক মাহমুদ। সালেহা চৌধুরীও একজনের হদিস দিয়েছিলেন। তিনি কয়েকবার বাড়িয়েছিলেন সহযোগিতার হাত। কিন্তু সেটা তো আজীবন চলবে না। কারও যদি চাকরি, ব্যবসা-বাণিজ্য বা উপার্জনমুখী কোনো অবলম্বন না থাকে, মানুষের কাছেই হাত পাততে হবে বারবার। কিন্তু দাতা যিনি, তিনি তো পারেন না একজন মানুষকে ‘স্বাবলম্বী’ করে দিতে! বস্তুত, প্রচেষ্টা ও উদ্যম ছাড়া কারও পক্ষেই নিজের পায়ে দাঁড়ানো সম্ভব হয় না। এই কারণেই অন্যের কাছ থেকে চেয়ে-চিন্তে চলা মানুষগুলো সব সময়ই টানাপোড়েনজনিত কাদার স্তূপে পড়ে থাকে। আপস তো ক্ষণে ক্ষণেই করতে হয়। নিজ মতাদর্শ ও লক্ষ্যের প্রতি অবিচল থাকা কোনোভাবেই সম্ভব হয় না। এভাবেই হয়তো তারেক মাহমুদ নিজের মেরুদণ্ডকে বিসর্জন দিতে বাধ্য হয়েছেন বারবার।
এসব অবশ্য পরবর্তী সময়ের উপলব্ধি। খুব কাছ থেকে না মিশলে বোঝা যায় না কার ভেতরে কী চলছে, ঘুরপাক খাচ্ছে কোন সংকটের আবর্তে। ভাঙচুরের মাত্রা কেমন।
অথচ ঝলমলে দুনিয়ায় তাকে কী চমৎকারই না লাগত। অভিনয়ে যৎকিঞ্চিত সুযোগ পেয়েছিলেন। বড়পর্দায় খুব বড় না হলেও ছোটখাটো কিছু চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন তিনি। চোখের সামনে ভাসছে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী পরিচালিত ‘থার্ড পার্সন সিঙ্গুলার নাম্বার’ চলচ্চিত্রের দৃশ্য। পুলিশ কর্মকর্তা চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন তারেক মাহমুদ। সন্দেহভাজন হিসেবে মহাখালী ফ্লাইওভার থেকে পুলিশ আটক করে নায়িকা তিশাকে। হাজির করা হয় পুলিশ কর্মকর্তা তারেক মাহমুদের সামনে। হঠাৎ করেই বিদ্যুৎ চলে যায়। ঘুটঘুটে অন্ধকারে তারেক প্রশ্ন করেন তিশাকে— ‘আপনি কি ভয় পাচ্ছেন?’
আলো ফিরলে আরেকটা চৌকস প্রশ্নও ছুড়ে দেন— ‘কী করবেন এখন?’
এভাবেই ছোট ছোট রোলে মনে দাগ কাটার মতো অভিনয় করেছিলেন তারেক মাহমুদ। সৈয়দ শামসুল হকের একটি কবিতার লাইন আছে— ‘আমার থিকাও দুঃখী যমুনা নদীর কিনার’। সব মানুষের একটি না একটি দুঃখনদী আছে। নিদেনপক্ষে দুঃখ-খাল। তারেক মাহমুদও যে অনেকের চোখ বাঁচিয়ে নিয়ত বহন করে যেতেন একটি দুঃখনদী, কখনোই বুঝতে পারিনি।
নাটকে ও চলচ্চিত্রে অভিনয়ের আগ থেকেই জানি তার ছায়ালোক মিডিয়ার নাম। পথিক নামে লিটল ম্যাগাজিন সম্পাদনা করতেন। সেই ম্যাগাজিন অবশ্য কখনো আমার চোখের সামনে আসেনি। তবে তারেক মাহমুদ যে দুই হাতে অনেক কাজ করতেন, সেটা বুঝতাম। এই কাজগুলো সামনে আসত কমই। যেহেতু জীবনসংগ্রামে জর্জরিত, এধরনের কাজেই হয়তো স্বস্তি খুঁজতেন তিনি। কিন্তু এসবে অবলম্বন মিলত কি শেষপর্যন্ত! আর্থিক সঙ্গতি না থাকলেও তার মানসিক তৃপ্তি নিশ্চয়ই কিছুটা থাকত। এমন একটি আন্দাজি কথা বলতে পারি, অন্ধকারে ঢিল ছুড়ে।
সাক্ষাৎকারের একটি বই ছিল তার, নাম ‘উত্তরপর্ব’। বইটির সাক্ষাৎ পেয়েছিলাম আজিজ সুপার মার্কেটের নামকরা বইবিপণি জনান্তিক-এ। বইটিতে খ্যাতিমান অনেক কবি, লেখক, সুরকার, চলচ্চিত্র নির্মাতা ও চিন্তকের সাক্ষাৎকার স্থান পেয়েছে। শেষপ্রান্তে আত্মসাক্ষাৎকার নাম দিয়ে তারেক মাহমুদ সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন। অর্থাৎ তিনিই প্রশ্নকর্তা, তিনিই উত্তরদাতা। পাঠক মেনে নিলে এমন আরও সাক্ষাৎকার নিয়ে কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন বইয়ের ভূমিকাংশে।
২০১৪ সালে ‘চটপটি’ নামে একটি চলচ্চিত্র নির্মাণের তোড়জোড় শুরু করেছিলেন তারেক মাহমুদ। জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে মহরতও করেছিলেন। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলাম। পরিচালক হিসেবে তিনি নায়ক আরজে নীরব থেকে নায়িকা জারা, রেশমী এলোনসহ সব কলাকুশলীকে মঞ্চে তুলে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন। অর্থাভাবে সেই ‘চটপটি’ আর মুক্তি পেল না, কিছু কাজও বাকি রয়ে গিয়েছিল। চটপটির টক ঝাল কিংবা মিষ্টি কোনো স্বাদ চাখার সুযোগ পেল না বাংলা সিনেমার দর্শকরা।
মানুষ যায়, কথা থাকে। একজন কবিকে কেন অভিনেতা হতে হয়, এই প্রশ্নের জবাব খুঁজলে সুখকর কোনো বার্তা মিলবে না হয়তো। কবিও তো মানুষ, তারও চাহিদা আছে যে কোনো মানুষের মতো। বরং কোনো কোনো ক্ষেত্রে চাহিদাটা একটু বেশিই। নিত্যদিনের চাহিদারাজির জোগান সহজ নয়।
ছায়ালোক পাবলিকেশন্স নাম দিয়ে তারেক মাহমুদ কিছু বইও প্রকাশ করেছিলেন। নিজের, অন্যের। কিন্তু প্রকাশক বা পেশাজীবী হিসেবে একজন সংবেদনশীল মানুষ ভালো করবেন না, এটা জানা কথাই। সৃজনশীলতার এসব পথঘাটে নানা-রকম চালাকি তথা ভেলকিবাজি রয়েছে। সেই চর্চার বাইরে থেকে আর্থিক প্রতিষ্ঠা পাওয়া কঠিন।
কথাসাহিত্যিক আফরোজা পারভীনকে চটপটি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন তারেক মাহমুদ। আফরোজা পারভীন রাজি হলে তার জন্য ছোটখাটো একটা চরিত্র সৃষ্টি করে দেবেন। কিন্তু এমন ভালোবাসায় বশ হননি সদ্য বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত এই লেখক। অপ্রিয় সত্য হচ্ছে, এখনকার বাস্তবতায় প্রায় প্রত্যেকেই নিজের জীবন ও সংসার নিয়ে খাবি খাচ্ছে। আরেকজনের দিকে ফিরে তাকানোর সময় কোথায় তার, এই প্রদর্শনবাদী বর্তমানে! আমিও তো পারিনি তাকে একটি লিটল ম্যাগাজিন (পরাগ) উপহার দিতে। প্রত্যেকেই যার যার সুখ ও যন্ত্রণা নিয়ে ‘একঘরে’ পড়ে আছি। এই স্বনির্মিত ঘরে অন্য কারও প্রবেশাধিকার নেই। কারও সুখ বা দুঃখ এসে আস্তানা গাড়তে পারে নিজ নিজ বারান্দার আলো-আঁধারে।
এখন কম-বেশি আমাদের সবারই আনন্দ বা দুঃখ প্রকাশের একটি জায়গা আছে। তরল আবেগ চাষের সেই প্লাটফর্মের নাম ফেসবুক। তারেক মাহমুদও নিজস্ব সেই ইলেকট্রনিক জমিনে লিখে গেছেন চাওয়া ও অপ্রাপ্তিজনিত দীর্ঘশ্বাস, নানাবিধ কথকতা। প্রাসঙ্গিক কিছু স্ট্যাটাস আমরা পড়ে দেখতে পারি—
‘কেন জানি মনে হয় ইন্ডাস্ট্রিতে আমি এক স্যাংশানপ্রাপ্ত অভিনেতা! এত কম মূল্যের অভিনয় শ্রমিক তবুও গেরস্থ জোটে না।’
‘আজকে বেশ কিছু টাকার দরকার। কয়েকটা সিঙ্গেল নাটকের স্ক্রিপ্ট, একটি পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমার স্ক্রিপ্ট রেডি আছে। কেনার মতো কেউ আছেন? প্রয়োজনে স্ক্রিপ্ট রাইটার হিসেবে আমার নাম রাখারও দরকার নেই। টাকার দরকার। কবিতার পাণ্ডুলিপি, উপন্যাসের কথা না হয় বললামই না। সেই দয়াল প্রকাশক আমার ললাটে নেই, যারা সম্মানী দিয়ে পাণ্ডুলিপি নেবেন।’
‘আমাদের মতো যাদের বয়স ৫০-এর কোঠায় বা আশপাশে এবং একা থাকেন তাদের জন্য দিনশেষে জীবনটা একটু অসহায়বোধ মনে হয়। নিঃসঙ্গতা তাদেরকে এক ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে নিয়ে যায়। সে হতে পারে নারী বা পুরুষ।’
‘পাবনা বা আশপাশে নাটকের শ্যুটিং থাকলে নির্মাতাদের অনুরোধ করছি আমাকে কাস্টিংয়ে রাখবেন। আমার বাড়ি পাবনাতে। অনেকদিন বাড়ি যাওয়া হয় না। এই সুযোগে শুটিং শেষে বাড়ি থেকে ঘুরে আসব।’
নিজ জন্মজেলা পাবনায় যদি অভিনয়ের সুযোগ পাওয়া যায়, তাহলে তিনি বাড়ি থেকেও ঘুরে আসতে পারবেন একপাক! আর্জিটা জানাচ্ছেন ‘পথিক’ লিটল ম্যাগাজিনের সম্পাদক। পথে পথে যিনি ঘুরে বেড়ালেন আমৃত্যু সেই তারই বাড়ি ফেরা হয় না, থেকে গেলেন পথিক হয়েই! তবুও অভিশপ্ত জীবনের পথ ধরে তারেক মাহমুদরা আসেন, একঝলক আলো জ্বালিয়ে ফের মিলিয়ে যান মহাশূন্যে। এই আসা-যাওয়ার মাঝখানে এই ব-দ্বীপের পলিমাটি কতটুকু উর্বরতা পায়; ফলে কি কোনো ফসল? সে দেবে জবাব। পথিক নিজেও কি জানেন, কত পথ হেঁটেছেন তিনি; কত পথ হাঁটা বাকি রয়ে গেছে। যত দূরে যেতে চান তিনি, শেষপর্যন্ত কতটুকু গন্তব্যেইবা পৌঁছাতে পারেন!
এই জানা ও অজানার মধ্যে পথের বাঁকেই হারিয়ে গেলেন তারেক মাহমুদ। নতুন কোনো বাঁকে দেখা মিলবে না অভিমানী-বঞ্চিত এই পথিকের!
শফিক হাসান
শফিক হাসান মূলত গল্পকার, তবে অল্প-বিস্তর সবই লেখেন। মাড়াতে চান সাহিত্যের নানাবিধ বিস্তৃত প্রান্তর। জন্ম ২ জানুয়ারি, ১৯৮৩ সালে— তিতাহাজরা, বেগমগঞ্জ, নোয়াখালীতে। বর্তমান নিবাস : রামানন্দী, চরমটুয়া, সদর, নোয়াখালী। লেখালেখিকে করে তুলেছেন জীবনের ব্রত।
লেখালেখি ও সম্পাদনাকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন। সাব এডিটর হিসেবে কাজ করেছেন কয়েকটি জাতীয় দৈনিকে। ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন, ঢাকা সাব-এডিটরস কাউন্সিল, নোয়াখালী জার্নালিস্ট ফোরামের সদস্য তিনি। ২০০৪ সাল থেকে সম্পাদনা করছেন গল্পবিষয়ক লিটল ম্যাগাজিন ‘প্রকাশ’।
অর্জন করেছেন বেশ কয়েকটি সাহিত্য পুরস্কার। ছোটগল্পের জন্য ‘অনুপ্রাণন’, ‘অপরাজিত’ ও ‘ঢাকা সাব-এডিটরস কাউন্সিল সম্মাননা’; রম্যরচনায় পুরস্কার পেয়েছেন ‘অর্বাচীন-উপমা’, ‘স্মৃতি সংঘ ও সাহিত্য সংসদ’ থেকে। পশ্চিমবঙ্গের (ভারত) নদিয়া থেকে অর্জন করেছেন ‘খোলাচিঠি’ পদক।
shafique_hasan79@yahoo.com
One Comment
দারুণ একটা ব্যাখ্যাবর্ণনা..
সম্পাদক সাব
জব্বর প্রাণস্পর্শী কঠিন বাস্তবতায় মোড়ানো পোস্টমর্টেম..
একশ্বাসে পড়লাম.. * জীবনের কঠিন বাস্তবতা উপলব্ধিতে ব্যাকুল প্রাণ!🥲