অনুপ্রাণন, শিল্প-সাহিত্যের অন্তর্জাল এ আপনাকে স্বাগতম!
জুলাই ২৭, ২০২৪
১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
জুলাই ২৭, ২০২৪
১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মাহজাবীন জুন -
ওহে ফিলিস্তিন আমার বড় জানতে ইচ্ছে করে

এখানে আকাশ জুড়ে
সাদা শুভ্র ছেড়া ছেড়া মেঘ উড়ছে।
ছাদের আলসে ধরে দেখি হীরের কুচির মত একটা দুটো ঝিকমিকে তারা।
স্নিগ্ধ বাতাসের সাথে মিষ্টি হিম হিম ভাব, কি যে ভালো লাগা।

কোজাগরী পুর্নিমা জানি কবে? সামনেই মনে হয়।
সেই আসন্ন পুর্নিমার চাঁদের আলোয় ঝলমলে চারিদিক।
আমি ডুবে যাই সেই আলোয়,সেই হিমেল বাতাসে।

আলতো করে আলসে ধরে দু চোখ ছড়িয়ে দেই পশ্চিমে।
দৃষ্টি চলে যায় দূর থেকে দূরে।
সেই সুদুরে মেলে দেয়া চোখে ভেসে আসে মাটিতে মিশে থাকা বাড়িঘর,
তার ফাকে ফাকে কুন্ডলী পাকানো ধোয়া আর আগুনের লেলিহান শিখা।
এ তো সেই প্রাচীন নগরী ফিলিস্তিন! !

ওহে ফিলিস্তিন! আমার যে খুব জানতে ইচ্ছে করে তোমার আকাশও কি এমন?
ধ্বংসস্তুপের উপর হেলে পড়া ছাদের আলসেতে ঠেস দেয় কি কোন নারী!
আমার মতন এমন করে কেউ কি সেখানে তারা গোনে!

তোমাদের আকাশ বাতাস তো শুনি ধোয়া আর ধুলিতে ধুসর!
লাশ আর বারুদের গন্ধ ছড়ানো সেই শহরে মানুষরূপী শকুন ছাড়া
আসল শকুনও আসেনা, আসেনা শেয়ালের ঝাক ৷
শুধু পরে থাকে বুড়ো থেকে শিশুর অগনিত অর্ধগলিত লাশ।
কাফনের কাপড় নেই দাফনের জন্য। রাস্তার ধারে আর ধ্বংসস্তুপের নীচে
অনাবৃত পড়ে থাকা লাশ বাতাসে কটু গন্ধ ছড়ায়।
সন্তান হারা মায়ের আর্তনাদ, আর
বাবা মা হারা সন্তানের কান্নাই কি
শুধু তোমাদের বাতাস বয়ে নিয়ে যায়!

তা তোমাদের দেশে কি সত্যিই বাতাস আছে?
নাকি কাঁদার জন্য কেউ আছে!

আমার যে ভীষণ জানতে ইচ্ছে করে।

Print Friendly, PDF & Email

Read Previous

অনুপ্রাণন গল্পকার ও গল্পসংখ্যা চতুর্থ পর্বের মোড়ক উন্মোচন

Read Next

‘‘জার্নি টু দ্য প্যারালাল ওয়ার্ল্ড’’ : ভিন্ন চিন্তার গল্প

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *