অনুপ্রাণন, শিল্প-সাহিত্যের অন্তর্জাল এ আপনাকে স্বাগতম!
অক্টোবর ২৩, ২০২৪
৭ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
অক্টোবর ২৩, ২০২৪
৭ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কুমার প্রীতীশ বল -
তবক দেওয়া পানের কবিকে প্রণাম

প্রয়াত বাচিক শিল্পী হাসান আরিফ চট্টগ্রামে বোধনের একটি অনুষ্ঠানে আবৃত্তি করেছিলেন আসাদ চৌধুরীর কবিতা— ‘তখন সত্যি মানুষ ছিলাম’। ‘নদীর জলে আগুন ছিল/ আগুন ছিল বৃষ্টিতে/ আগুন ছিল বীরাঙ্গনার/ উদাস-করা দৃষ্টিতে’। পিনপতন নীরবতার মধ্যে সেদিনের সে আবৃত্তি হলজুড়ে মুগ্ধতা ছড়িয়ে ছিল। আমি সেদিনই প্রথম জেনেছিলাম এই অসাধারণ কবিতার কথা। সে রাতেই কবিতাটি সংগ্রহ করে বার কয়েক পাঠ করেছিলাম আবৃত্তির উদ্দেশ্যে নয়, ভালোলাগার জায়গা থেকে। মহান মুক্তিযুদ্ধের বীরগাঁথাকে এক অসাধারণ রূপকার্থে পরিবেশনের মাধ্যমে আমার কাছে এক অন্যমাত্রা দিয়েছিল। কবিতার গাঁথুনি আর শব্দচয়ন খুব আকৃষ্ট করে। কবিতাটি যখনই পড়তে গিয়েছি ভেতরে একটা মোচড় দেওয়া বেদনা কী অদ্ভুতভাবে কাজ করে আমার মধ্যে। একটা প্রতিষ্ঠিত সত্যকে জন্ম-জন্মান্তরে ছড়িয়ে দেওয়ার এক অনন্য প্রয়াস বলে বোধ হয়েছে। আমরা যারা সে অর্থে একাত্তর দেখিনি কিংবা বয়সের কারণে যুদ্ধে অংশ নিতে পারিনি, মায়ের আঁচলের নিচে লুকিয়ে শত্রুর বাঙ্কার অতিক্রম করেছি। তাদের কাছে আসাদ চৌধুরী একাত্তরকে এক অনন্য উচ্চতা প্রদান করেছেন। সময়টা কেমন হলে পড়ে ‘নদীর জলে আগুন জ্বলে! আগুন ছিল গানের সুরে, আগুন ছিল কাব্যে’।

আগুন ছিল না কোথায়? মরার চোখেও আগুন ছিল। এ আগুন একাত্তরের বীর বাঙালির শৌর্য-বীর্যের প্রতীক। তখন ‘আগুন ছিল মুক্তি সেনার স্বপ্ন-ঢলের বন্যায়। প্রতিবাদের প্রবল ঝড়ে কাঁপছিলো সব-অন্যায়’। কী অসাধারণ এক চিত্রকল্প মহান মুক্তিযুদ্ধের। আমরা তখনকার পরিবেশ পরিস্থিতি অনেক মোট-মোটা বই পাঠ না করেও উপলব্ধিতে নিয়ে আসি। এখানে মুক্তিসেনাদের বীরগাথা যেমন আছে, ঠিক তেমনি আমাদের মহান স্বাধীনতা সংগ্রামের বিরোধিতাকারী রাজাকার-আলবদরের কথাও আছে। আছে তাদের নৃশংসতার কথা। ‘কুকুর-বেড়াল থাবা হাঁকায় ফোঁসে সাপের ফণা’। আবার হতাশার কথাও আছে। থাকবে না কেন? যখন কবি দেখেন রাজাকার গোলাম আযমের বিচার চাওয়াতে শহীদ জননী জাহানারা ইমামসহ ২৪ জনকে রাষ্ট্রদ্রোহী হতে হয়। রাজাকার আলবদর আর বুদ্ধিজীবী হত্যার নীলনকশাকারীর গাড়িতে আমার স্বাধীন দেশের পতাকা ওড়ে। বাংলাদেশের বিরোধিতাকারী পাকিস্তানপন্থী শাহ আজিজ স্বাধীন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হয়। তখন আসাদ চৌধুরীর মতো কবিরা হতাশ হবেনই। সে হতাশা থেকেই তিনি বোধকরি উচ্চারণ করেন— ‘এখন এ-সব স্বপ্নকথা/ দূরের শোনা গল্প,/ তখন সত্যি মানুষ ছিলাম/ এখন আছি অল্প।’ কেন সেসব স্বপ্নকথা হবে না? এ তো ছিল অবিশ্বাস্য গোলাম আযম, মওলানা মান্নান, নিযামী প্রমুখরা স্বাধীন বাংলাদেশের দণ্ডমুণ্ডের কর্তা হবে। কে জানত এমন হবে ৭৫ পরবর্তী বাংলাদেশে! কিন্তু হয়েছে। এমনকি অনেকের সঙ্গে সম্মানসূচক বাক্যে কথা বলতে হয়েছে। ৭৫ পরবর্তী সময়ে এটা ছিল হতাশার এবং মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য অসম্মানের। এর কোনো যুৎসই প্রতিবাদ, প্রতিরোধ করতে না পারার কারণে কবি বলেছিলেন— ‘তখন সত্যি মানুষ ছিলাম/ এখন আছি অল্প।’ এ তখন হলো একাত্তর এবং এখন মানে ৭৫ পরবর্তী জিয়া-এরশাদ এবং খালেদা জিয়ার বাংলাদেশে! এ এক অসাধারণ সত্য প্রকাশ। কবির হতাশার কারণ অপমানিত বোধ করার কারণ ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের উত্তাল সময়ে তিনি কলকাতার স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কন্ট্রিবিউটর ও উপস্থাপক ছিলেন।

কবি আসাদ চৌধুরীর সঙ্গে এতপর পরিচয় পর্বও সম্পাদিত হয়েছিল। তখন আমি প্রশিকা মানবিক উন্নয়নের উপকরণ উন্নয়ন বিভাগে কাজ করি। এখানকার শিক্ষা কর্মসূচির জন্য একটি আনতে যাওয়ার সুবাদে এ পরিচয়। সত্যি কথা বলতে কী, কবির ‘তখন সত্যি মানুষ ছিলাম’ কবিতার কারণেই আমি সেদিন তাঁর নাম প্রস্তাব করেছিলাম। আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তা অনুমোদন করে। কবি আসাদ চৌধুরী প্রথম দেখাতেই আপন করে নিয়েছিলেন। এর একটা বিশেষ কারণও ছিল। কলকাতায় কবি আসাদ চৌধুরীর একজন বিশেষ বন্ধু আছেন, তাঁর নাম আমার নামে নাম। আমাকে তিনি ওভাবে করেই মনে রেখেছিলেন। যখনই দেখা হতো তিনি সে বন্ধুর কথা বলতেন। কবি আসাদ চৌধুরীর কথাতে অসম্ভব রকমের মিষ্টতা ছিল। চমৎকার গুছিয়ে কথা বলতেন। কথার ভেতর দিয়ে আবেগ ছড়াতেন। টেলিভিশনে তাঁর কথা মুগ্ধতা ছড়াত। কথা বলার সময় তাঁর চোখ ছলচল করত। তাঁর সঙ্গে আরও কথা বলার সুযোগ ঘটেছিল, তাঁরই পড়শী বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রবের সুবাদে। রব ভাই আমার এনজিও জগতের অগ্রজ ছিলেন। প্রশিকায় তাঁর নেতৃত্বে কাজ করেছি। সে সূত্রে কবি আসাদ চৌধুরীর সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠতা হয়। দুজনেই ছিলেন বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জের উলানিয়ার মানুষ। তিনি যে শিক্ষক ছিলেন সে কথা জেনেছি ঐ রব ভাইদের আড্ডায়। কবি আসাদ চৌধুরী দারুণ আড্ডাবাজ মানুষ ছিলেন। রব ভাই তাঁকে ‘স্যার’ সম্বোধন করাতে প্রথমবার অবাকই হয়েছিলাম।

আসাদ চৌধুরীর কবিতায় মিষ্টতার স্বাদ যেমন পেয়েছি, ঠিক তেমনি করে ধারালো হতে দেখেছি। স্পষ্টকথা অকপটে প্রকাশ করাই ছিল ‘তবক দেওয়া পান’র কবি আসাদ চৌধুরীর কবিতার মূল বৈশিষ্ট্য। এ স্পষ্টবাদিতা তাঁর ‘তখন সত্যি মানুষ ছিলাম’ কবিতায় যেমন পেয়েছি, ঠিক তেমনি পেয়েছি তাঁর ‘সত্যফেরারী’ কবিতায়। এ কবিতায় কবি বলছেন— ‘কোথায় পালালো সত্য?/ দুধের বোতলে, ভাতের হাঁড়িতে! নেই তো/ রেস্টুরেন্টে, হোটেলে, সেলুনে,/ গ্রন্থাগারের গভীর গন্ধে,/ টেলিভিশনে বা সিনেমা, বেতারে,/ নৌকার খোলে, সাপের ঝাঁপিতে নেই তো।’ সত্যকে কোথায় খুঁজে না পাওয়ার আকুতি এখানে মানুষকে তার মনুষ্যত্বের মুখোমুখি করে দেয়। শাসনে, ভাষণে, আঁধারে, আলোতে, লেবাসে, সিলেবাসে কোথাও না পেয়ে হতভম্ব কবির প্রশ্ন ছিল— ‘কোথায় গেলেন সত্য?’ রাষ্ট্রে, সমাজে, জীবনে চারদিকে মিথ্যের বেসাতিতে আহত কবি তাই এভাবেই চিৎকার করেন। ‘সত্যফেরারী’ কবিতার জন্মরহস্য প্রকাশ করেছেন, কবি এভাবেই— ‘বাবরি মসজিদ ধ্বংস হলো ২০০১ সালে। এরপর ভারতে মারাত্মক সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার সূচনা। তারই ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অবনতি ঘটে। মন্দির, প্যাগোডা, গির্জা ভাঙচুর ও ধ্বংস করা হয়। সে সময় আমার কবিসত্তা দারুণভাবে নাড়া দেয়। ১৯৭১-এর মহান স্বাধীনতাযুদ্ধের পর এমন দামামা। আমাকে চরমভাবে ব্যথিত ও আন্দোলিত করে। ভাষা-সংস্কৃতি এক অথচ ধর্মকেন্দ্রিক এই দাঙ্গা। বিশেষত চট্টগ্রামে মারাত্মক সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। তারই প্রতিফলন আমার এই ব্যথা ভরা নতুন কবিতাটি’।

‘ইলা মিত্র এবং তাঁর সহযোদ্ধাদের প্রতি’ কবিতায় লিখেছেন— ‘স্বপ্ন ছিল/ এখন স্মৃতির ভার,/ ব্যর্থতার ভার/ কোনখানে পেতে রাখি/ রাত্রির প্রণাম!’ আবার বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার প্রস্তাবক শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্তকে মনে করে ‘স্মরণের মীঢ়ে ধীরেন’ কবিতায় লিখেছেন— ‘দিন যায়,/ দিন যেতে থাকে।/ তাঁর জন্যে যত শ্রদ্ধা নিজেদের প্রতি ততখানি ঘৃণা,/ কারাগার তাঁকে চেনে,/ ঘাতক বুলেট তাঁকে চেনে/ শুধু অকৃতজ্ঞ আমরা চিনি না।’ এ যেন নজরুলের সেই ‘দেখিয়া শুনিয়া ক্ষেপিয়া’ যাওয়ার মতো। সবখানেই দেখেছি স্পষ্টভাবে সত্যকথন কোনো দ্বি-চারিতা নেই।

একুশ নিয়ে আসাদ চৌধুরীর প্রকাশটা আবার একটু ভিন্নমাত্রার। এখানে সত্যকথন আছে। প্রতিবাদ আছে। তবে অতটা মারমুখী না। এখানে তিনি অনেকটুকু শান্ত। তিনি লিখেছেন— ‘ফাগুন এলেই পাখি ডাকে/ থেকে থেকেই ডাকে/ তাকে তোমরা কোকিল বলবে? বলো।/ আমি যে তার নাম রেখেছি আশা/ নাম দিয়েছি ভাষা।’ ‘আশা’ শব্দ যুক্ত করে তিনি কবিতাটিকে একটি ভিন্ন মাত্রা দান করেছেন। সে ভিন্নমাত্রাটি হলো ‘স্বাধীনতা’। একুশের কাছেই কবির প্রত্যাশা, কবির আশা বাংলাদেশের স্বাধীনতা। যা কিনা একাত্তরে অর্জিত হয়। একথা তো সত্য যে, ৫২-এর হাত ধরেই এদেশে ৭১-এর পদার্পণ। রবীন্দ্রনাথকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘পেরোতে পারবো কি এই বিখ্যাত আঁধার?’ তিনি আরও বলেন, ‘আপনি তো মহাভাগ্যবান/ এ বাংলার নীল গগনের ললাটেও দেখেছেন/ চন্দনের স্নিগ্ধ কারুকাজ,/ আমাদের বড়ো ছোট, সংক্ষিপ্ত আকাশে/ মানুষের দর্পের জঘন্য চিহ্ন/ আমাদের বিশাল আকাশ, হায়, নীর নয় আজ,/ গুরুদেব।’ কবিগুরুর বিশালতার কাছে এভাবেই ষাট দশকের এ কবির এমনই আত্মসমর্পণ কিংবা আত্মজিজ্ঞাসা নাকি সত্য জিজ্ঞাসা। একই জিজ্ঞাসা আমাদের মতো ‘সংক্ষিপ্ত আকাশ’র মানুষের সত্যকথনের কবি আসাদ চৌধুরীর কাছে।

কবি আসাদ চৌধুরীর ১৯৭৫ সালে প্রকাশিত প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘তবক দেওয়া পান’ নামটি আমাকে মোহিত করে বেশি। ঠিক তাঁকে দেখেছিও এমনটি। সারাক্ষণ মুখে পান থাকত। টেলিভিশনে কথা বলার সময়ও পান থাকত। একটা সময় মনে হতো পান আর ঝোলা ছাড়া কবি আসাদ চৌধুরী কেমন জানি বেমানান। তবে কবি এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন সিগারেট ছেড়ে ১৯৯৬ সালে তিনি পান খাওয়া শুরু করেছিলেন। বলতেন, কিছু একটা নিয়ে বেঁচে থাকতে হবে। কবি আসাদ চৌধুরী বাঁচতে চেয়েছিলেন। বেঁচে আছেন আমাদের মধ্যে।

আসাদ চৌধুরীর লেখালেখির শুরুটা কিছুটা কাকতালীয়ভাবেই বলা যায়। তিনি এ প্রসঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘১৯৬০ সালের দিকে, ‘আজাদ সুলতান’ নামে আমার এক মুরব্বি ছিলেন। তিনি আমাকে বললেন, প্যাট্রিস লুমুম্বা মারা গেছে তুমি আমাকে কবিতা দাও। বরিশালে তার ইমদাদীয়া লাইব্রেরি ছিল। ওই দোকান থেকে আমি কবিতার বই কিনতাম। তিনি ভাবতেন, যেহেতু আমি কবিতার বই পড়ি, হয়তো আমি কবিতা লিখতে পারব। তখন প্যাট্রিস লুমুম্বাকে নিয়ে একটি কবিতা লিখি। এমন সময় এক ভদ্রলোক এলেন পাজামা, শার্ট আর চাদর গায়ে দেওয়া। তাকে কবিতাটা দিলেন। তিনি কবিতাটা পড়ে কোনো মন্তব্য না করে পকেটে ঢুকিয়ে নিয়ে চলে গেলেন। লোকটির পরিচয় জানতে চাইলে সুলতান সাহেব বললেন, উনি রণেশ দাশগুপ্ত। আমার বুক কেঁপে উঠল।

আমি ইতোমধ্যে তাঁর লেখা পড়েছি। পরদিনই দৈনিক সংবাদের সম্পাদকীয় পাতায় কবিতাটি ছাপা হয়ে গেল। তারপর, কবিতার মান যাই হোক না কেন, আমি প্রচুর অভিনন্দন পেলাম। এমনকি জেলখানা থেকে কয়েকজন কমিউনিস্ট কর্মী আমাকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন। সত্যিকার অর্থে লেখালেখি শুরু করেছি মুক্তিযুদ্ধের পর, বুড়ো বয়সে। আমি যখন দেখলাম কবি বিষ্ণু দে, সুভাষ মুখোপাধ্যায় আমাকে নামে চেনেন। তখন সিদ্ধান্ত নিলাম লেখালেখি করব।’ তবে আজকের দিনে কত শত নদী সরোবর পেরিয়ে এসে কাওনাইন সৌরভ-এর কথা ধার করে আমিও বলব, ‘আসাদ চৌধুরী নিঃসন্দেহে আমার কাছে একজন আপাদমস্তক কবি। তাঁর উস্কোখুস্কো চুলের মধ্যে কবিতা। কাঁধে ঝোলানো ঝোলার মধ্যে কবিতা। সাদামাটা রঙিন পোশাক কিংবা পাঞ্জাবিতে কবিতা। সুগন্ধি পানের মধ্যে কবিতা।’ তবে ষাটের অন্যতম কবি নির্মলেন্দু গুণ কিংবা আবুল হাসান, রফিক আজাদের মতো অতটা বোহেমিয়ান না হলেও উস্কোখুস্কো ভাবটা কবি আসাদ চৌধুরীর মধ্যে পুরোমাত্রায় বর্তমান ছিল। যা তাঁকে ‘তবক দেওয়া পান’র কবিতে রূপান্তরিত করেছে। তাঁকে সত্যকথনের কবিতে পরিণত করেছে। সত্যান্বেষী করেছে।

কুমার প্রীতীশ বল

জন্ম ২২ জুন, চট্টগ্রাম। পুত্র প্রীণন আর স্ত্রী সোমাকে নিয়ে পারিবারিক জীবন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করে বর্তমানে একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার সঙ্গে কর্মসূত্রে জড়িত।

প্রকাশিত গ্রন্থ

শিশু-কিশোর: টুটু ঘোড়া, যতো হাসি তত কান্না (বাংলা-ইংরেজি দ্বিভাষিক), বন্ধুর খোঁজে পশুরাজ, এক বিকেলে এক প্রজাপতি, খরগোশ ছানার কথা, আগামীর জন্য ভালোবাসা (কিশোর গল্প সংকলন), এক ঝুড়ি কিশোর গল্প, গল্পগুলো রাসেলের।

আদিবাসী বিষয়ক গ্রন্থ : বাংলাদেশের আদিবাসী, আদিবাসী রূপকথা, চাকমা জাতির কথা, মারমা জাতির কথা, ত্রিপুরা জাতির কথা, তঞ্চঙ্গ্যা জাতির কথা, চাক জাতির কথা, লুসাই জাতির কথা, খুমী জাতির কথা, বম জাতির কথা, ম্রো জাতির কথা, পাংখুয়া ও খ্যাং জাতির কথা, লাল পাহাড়ির দেশের কথা (প্রবন্ধ সংকলন)।

উপন্যাস : জনক ও তাঁর সন্তানেরা, বাগানিয়া, আমি কোথায় পাব তারে।

কিশোর উপন্যাস : বীরপুত্র, আমার বন্ধু রাসেল, মুক্তিযুদ্ধের ৪ কিশোর উপন্যাস।

নাটক : জাতির পিতা এবং রাসেলের জীবনভিত্তিক দুটি ডক্যুড্রামা, মুক্তিযুদ্ধের ১০ নাটক, হাসি, ইউনির্ভাসিটি ল্যাবরেটরি স্কুলের সেই ছাত্রটি, একজন তারামন, কথা ৭১ , গ্রহ বিচার, জাগবার দিন আজ, বিলুপ্ত এক সভ্যতার কথা, নুরুন্নাহার পালা।

সম্পাদিত গ্রন্থ : মাস্টারদা সূর্য সেন (যৌথ), শেখ মুজিব একটি লাল গোলাপ (যৌথ)।

পুরস্কার : মুক্তধারা প্রবন্ধ প্রতিযোগিতা ১৯৮৮, ১৯৮৯, ১৯৯০।

 

Print Friendly, PDF & Email

Read Previous

নিঃশব্দ আহমেদ – গুচ্ছকবিতা

Read Next

অণুগল্পগুচ্ছ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *