
উৎসবের জোড়া প্রহর থেকে ভেসে ওঠে দীর্ঘ পরিকল্পনা
অস্থির ভালোলাগা যুগপৎ বসন্ত বাজায় শিরা উপ-শিরায়
ছায়ার মধ্যে ফুটে থাকে রাত
ঠোঁটের ফুসফুসে লুকানো থাকে সাংঘাতিক ফাগুন বাতাস
রাতের সৈন্যের চাষবাসে ফুলে ফেপে ওঠে কৃষিনক্ষত্র
অপহৃত খনিজ সম্পদগুলো মেলে ধরে উড়াল পেটিকোটে
অলংকিত পদযুগলে চমকায় দিক ও দিগন্তের যাদু…
সাজানো অন্ধকারে লুকানো তুমি এবং বিকালের রং
সোনার কাঠি রূপার কাঠি মিলনে সমুদ্র থেকে
ঝড়ো বাতাস এসে আছড়ে পড়ে তোমার ধানভূমে
আকাশের শিখর থেকে রোদ গলে গলে আসে
অজান্তে বিঁধে তোমার কামরাঙা নূপুরে…
কারুকার্যের শৃঙ্খলে অনাবশ্যক মরিচা কেঁদে ওঠে
অনিবন্ধিত বন্যতা নিয়ে ঠোঁটের বুকে মাতে নিয়তির চুমু
নিস্পলক চোখের চাহনি আর ঘোলা মদের স্রোতে
রক্তে-মাংসে একসাথে বেজে ওঠে গোপন সুখ
জিহ্বা আর আঙুলের যৌথ প্রেমে দোল খায় ভেজা তাস
এবার ভালোবাসো তুমি, এবার ভালোবাসো আমার অন্ধ প্রেমিকা।