প্রাতঃভ্রমণ
সুখের শুধু সদ্য জেগে ওঠা নির্মল আকাশ, কচি বালিয়াড়ি যেন যৌবনরেখা, অদেখা দিগন্তজোড়া লোভের গালিচা। আকাশ ফ্যাকাশে হয়, বাতাস প্রবল হয় উঠোনের ঘাসে। শৈশবের মায়াবী বিশাল মাঠ- সবুজের অবারিত আহ্বান, ধূলিকণা বারবার বাতাসের গায়ে মেখে ইশারা পাঠায়। অসীম গন্তব্যপানে শূন্য মরুদ্যানে সকলেই মরীচিকা- ভেবেই রেখেছি সব, আদি আর অন্তে মানুষের কিছু নেই, সকলেই একা!
মধ্যমা
নিশুতি রাত কেঁদে ওঠে, শিয়রে চাঁদের আলো কখন উধাও, ডানা ভাঙা মেঘ যেন অবিরল শুষ্ক বরিষণ, অস্পষ্ট ছায়ামূর্তি তৃষ্ণার্ত ছুটে যাওয়া কোনো অমীমাংসিত কলহ- রাত্রি জানে না তবু দুপুর গড়ায়। জেগে ওঠে মরুর প্লাবণ, রহস্যের ফাঁদে ঘেরা পিরামিড, তপ্ত দুপুরে আচ্ছন্ন যৌবন কাটে মধ্যমায়, অদূরেই তীব্র লাভাস্রোত…
গন্তব্য
সকল শেষেরও শেষ থাকে না। অদৃশ্যে লেখা থাকে, কেউ দেখে না। শেষ আলোকের বিন্দু অনন্তে মিশে যায়, অসীমের ছোঁয়ায়। নদী, নেই, গতি নেই, অনন্তের ঠিকানা নেই। বোধ নেই, অনুভব নেই, গন্তব্যে পৌঁছে গেলে অস্তিত্বও নেই…
পরিশেষে
দুষ্টবুদ্ধিতে পাকিয়ে নাও অস্ত্র, কামাও অর্থ দেদারছে- আমার তাতে হয় না কিছুই, আমি হাসতে থাকি পদ্মগোলাপ-। অথবা সামনে ধরো কোনো ভয়ানক অস্ত্র, অনাবিল হাসতে থাকি আমি। যদি নিস্পাপ কোনো স্বর্গশিশু সামনে দাঁড়ায়, তার হাত ধরে-তার মতনই হাসতে হাসতে আমি পার হবো বিষম সেতু…