
অপেক্ষার প্রহরে— বাগানের ফুল,
বক্ষপিঞ্জর… চন্দনকাঠের চিতায় দাউদাউ জ্বলছে!
আকাশ গহিন অন্ধকারে!
নক্ষত্র শোকে বিবর্ণ! মোমবাতির
ঝড়োকান্না এবড়োখেবড়ো শিখায় জ্বলছে!
সেই আগুন ঢেলে দেবে!
কখন রাত্রির মধ্যপ্রহর অতিক্রম করবে
ভোর;
আকাশে রক্তের গন্ধ!
ধূসর ডানার চিল এলোমেলো মাতালের মতো!
বাতাসে করুণ স্পন্দন ধ্বনিত-প্রতিধ্বনিত—
শান্ত সাগরে অশান্ত ঢেউ :
রক্তস্রোতে দাঁড়িয়ে মা আর পাহাড়-শূন্যতায় খাঁ খাঁ হৃদয়ে— বাবা!
প্রেয়সীর শীতে ভেজা কানাকুয়ার চোখ!
যেমন বেত ঝোপের শীষে ডোবায় আটকা-পড়া কানাকুয়া!
আর বোনের চোখে অগ্নিশিখা— ধুলো বাষ্প হয়ে উড়ছে!
আ, রক্তে রাঙানো বুক—
যেন সূর্যের নির্মলতর রূপ।
ভাইয়ের বুকে বিদ্ধ বুলেটে সহোদরের হৃদয় খানখান!
তাই, কপালে কাফনের কাপড় বাঁধা— রক্তাভা!
বুকে কালো ব্যাজ!