০১.
আমাদের গায়ে প্রতিদিন পাঁকা আপেলের মতো
সূর্যটা আমের ডালে ঝুলে থাকে;
মৃদু বাতাস থেকে থেকে নাড়িয়ে গেলে
সে ডালে দুলে ওঠে সূর্য।
মুঠো ভরে খই-মুড়ি খেতে-খেতে ভাগ করে
নেয় সে আলো;
গায়ের বৃদ্ধেরা-কৃষকেরা-জেলেরা-মাওয়ালেরা।
সূর্যের মুখের উপর কথা বলে ওঠে মক্তব বালক।
বালিকারা বকুলের মালা গেঁথে সে আলোয়
দেখে নেয় প্রিয়তম-মুখ।
জেসমিন ও বকুল কুড়ায়; মালা গাঁথে
নথের সৌন্দর্যে-তার যতো নিরবতা কাঁচের চুড়িতে
নড়ে উঠে সমস্ত দুপুরে।
ঘুঘুর ডাকের ভেতর সন্ধ্যা নেমে এলে
স্মৃতির বল্লমে আহত করে জোছনা—
তবু আমাদের গায়ে প্রতিদিন পাঁকা আপেলের মতো
সূর্যটা আমের ডালে ঝুলে থাকে। মৃদু বাতাস থেকে থেকে
নাড়িয়ে গেলে দুলে ওঠে সূর্য।
তার রেশমি বাতাসে এ শহর যেন আজ মরা কোকিলের গান।
০২.
আপেলের রঙে নিজেকে গোপন করেছো
আমি এখন নির্বাসনে যাই
আদি পিতার মতো দুচোখ অন্ধ হলো প্রেমে।
হাওয়ায় তোমার গন্ধ আসে বাতাসে
যেন গোলাপের মতো কোথাও ফুটে আছে শরীর।
মদের পশরায় যারা বসে থাকে
আমি তাদেরই সন্তান অথবা প্রেমিক; তারা কদম
ফুলের মতো সুন্দর। জানি এ জন্ম যাবে হুরযজ্ঞে।
তবু জেগে আছি মৎসকুমার-
পাগলি হে! আসো-তোমাকে চাষ করি মদের মোহকুমায়
০৩.
জেসমিন-
ভালোবাসা তবে কি নিষিদ্ধ গন্ধম
যে খায় তাকেই বিতাড়িত হতে হয় সুখ থেকে।
০৪.
মৃত্যু মাতাল রূপসী ভেবে
ডুবে থাকি জারুলের মতো গভীর ঘুমে
আবাসনে
জল সাঁতরে গেল নদী
কালো ছায়ার নিচে
তোমার সংসার পিপিলিকার পাঁজর
উড়ে যায় মেঘ
পাখি ও সন্তরণ
আবাসন
হায় বাতাসের অভিমুখি সংসার
আমি তোমার মন খারাপে পদ্ম হয়ে ভাসি।
০৫.
চারপাশে শুধু ধর্মের গন্ধ
মানুষের ছায়ায় মানুষ পুড়ে যায়
তোমার দিকে তাকালে বুঝি নরক ফুলের সৌন্দর্য
হায়
মেয়ে মানুষ
তুমিও হতে পারতে আদমের বোন
অথবা ডালিম ফুলের রং
মায়ের সৌন্দর্য নিয়ে
মোরগ ফুলের ছলনা শিখলে কেবল।