
গন্ধফোন
সময় ঘামছে জলের মিছিল
গোলকের সমান দূরত্বে স্বর্গ-নরক
মিথ্যে-মিথ্যে পুতুল বিয়ে খেলছে! খেলছে!
জিহবা ও কানের মাঝখানে
আটকে গেছে বাতাস শেকড়
পাতাভর্তি সুইসাইড নোট গন্ধফোন
প্রসারমান মনপদ্ম দুলছে! দুলছে!
চিন্তার রং বিশ্বাসী যন্ত্র
গল্পচাষ ভেষজ ভাষা
আজ ও আগামীকাল ডাকবাক্স
যুবতি! যুবতি! ফুলছে! ফুলছে!
ছায়া
এখানে তোমার চলে না
তুমি মারণাস্ত্র মারো
ঘুমভাঙা পাখি তুমি জব্দ করো জব্দ করো।
মাংসহীন এক শরীর তুমি
বৃষ্টিহীন এক বৃক্ষ তুমি
মরু মধুর আশ্রয় তুমি
অভিশাপ কালো নল শাসন করো শাসন করো।
কি অনিশ্চিত তোমার হাইড্রোমিটার
অবয়বহীন মায়া
পৃথিবীর দেয়ালে! দেয়ালে রক্তচক্ষু
মেলে ধরো! মেলো ধরো
অনন্তকাল খনন করি ছায়া
অথচ তুমি জব্দ করো জব্দ করো।
দুঃখনন্দ
চারদিকে মৃতরা ঝকমক করছে
বছরের চিতারা ফ্লাস্কে ঢেলে খাচ্ছে পূর্ণিমাদুধ…
আশালতা বনলতা বনের হরিণ
খুনসুটি ভরা আকাশ নীল জল-রান্নাঘর।
চোখ থেকে সাঁতারু মাছি
নির্বাচন করছে মাটি ও ফসলের আয়ু
বাঁচা না বাঁচা দুমুখো দুঃখানন্দ
জাল-মানুষ ছেপে যাচ্ছে নগর নদী।
পথ এক আজব বিম্ব
প্রতিফলন ধরে বসে থাকে আয়না
সেখানে শুধু চটকদার চাটুকার দেখি
জল ছলছল কান্না দেখি মা! মা!
কদাচিত প্রেমিক দেখি না।
মা
প্রথমত
আমাকে ফেলে যায় আমার মা
একটি ঘাসের উপর এক বিন্দু রক্ত হয়ে
পড়ে থাকি কোটি বছর।
দ্বিতীয়ত
আমাকে আবিষ্কার করে আমার মা…
এক টুকরো কাপড় ধরে
আমি হেঁটে যাই নব জন্মের দিকে।
তৃতীয়ত
আমার হাত লম্বা করে আমার মা
আমি পা বাড়াই আকাশ ধরি….
এবং শুনি মায়ের চিৎকার।
মা হাসে ভোরের সূর্য হাততালি দেয়
জলহীন এক সমুদ্রের ভেতর
আমি জেগে উঠি! জেগে উঠি!
মৃতগন্ধ্যা
মাঝরাস্তা উলঙ্গ কাক
বসে বসে মাথা উচ্চারণ করছে
নিশামগ্ন লাল ইঁদুর
মূর্ধা-মূর্ধন্য দাবিদার আকাশ অঝোর
ধোঁয়া! ধোঁয়া ফাটছে খই-খই মমিগুলো।
রেস্টুরেন্ট দখল বাড়ি কালো মাটি
চা ও কফির দুরত্ব ফ্লাস্ক
আত্মমৈথুন জীবন্ত স্মৃতি কবর
রক্ত ফেনায়িত কুচকুচি সাদা মদ
উড়ছে মধু-মৌমাছি সংগীত পিলার।
শিকড় সাঁতার অন্ধকার হার্ট-ফুসফুস
দুহাত তুলে দাঁড়িয়ে আছে পৃথিবী
সন্ধ্যা! সন্ধ্যা! চারদিক চৌচির
মুখভর্তি মৃতগন্ধ্যা।