অনুপ্রাণন, শিল্প-সাহিত্যের অন্তর্জাল এ আপনাকে স্বাগতম!
এপ্রিল ১৯, ২০২৪
৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এপ্রিল ১৯, ২০২৪
৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মাহির তাজওয়ার -
শিকড়

E:\Anupranan Antorjal 3nd Issue- To Shafik For editing- 3rd Oct 2022\Antorjal 3rd Issue_22.10.2022\11.Antorjal 3rd issue- Choto Golpo-13\maher.jpg

ওরে কই গেলি রে.. বিজলির মা। শিগ্গির এক গেলাস পানি আইনে দে। গরমে মইরে গেলাম যে। গলা ফেঁড়ে ডাকে মানুঝোল। গ্রীষ্মের টিটটিরে রৌদ্রের প্রখরতার সাথে পাল্লা দিয়ে মাঠে কৃষি কাজ করে সে। সমস্ত দিনের কৃষি কাজ সেরে বিকালে ক্লান্ত দেহে বাড়ি ফিরে শান্তির ছোয়া খোঁজে।

বিজলির মা দৌড়ে আসে। পানি দিয়ে বলে, এই নেও, শিগ্গির গাঙে যাও। ছ্যান কইরে আইসো। ভাত বেড়ে রেইখেছি। গামছা এগিয়ে দেয় তার দিকে। মানুঝোল গামছা ঘাড়ে বের হয় গোসলের উদ্দেশ্যে। পথে রহিম শেখের সাথে তার দেখা হয়। রহিম শেখ গ্রামের মাতব্বর। তার কথায় গ্রামের সবাই ওঠে, বসে। রহিম শেখ বলে, ও মানুঝোল ক’নে যাও? কেউ তাকে মানুঝোল বল্লে ভীষণ রাগ হয় তার। একে তো তার নাম মানু নয়, মানোয়ার; তার উপরে ঝোল টাইটেল। ভালো লাগে না তার। গা’র মধ্যে ঘিনঘিন করে। কবে কোথাকার কে, কোন খানায় কোন তরকারির ঝোল না পেয়ে তাদের নাম পাড়িয়ে দিল ঝোল। সেদিন থেকে গোষ্ঠীর নাম চার অক্ষরের মন্ডল ঘুচে দুই অক্ষরে নেমে এল। ঝোল। কেউ তাকে ঝোল ডাকলে গালি দিতে ইচ্ছে করে। কিন্তু রহিম শেখ বয়সে বড় তার উপরে মাতব্বর। তাই সম্ভব নয়। না হলে এক চড় বসিয়ে দিত। রাগ সংবরণ করে বলে, দেখতে পাইরছোনা গামছা ঘাড়ে? গাঙে যাচ্ছি।

রহিম শেখ মানু ঝোলের দিকে আড় চোখে তাকায়। তারপর কি যেন ভেবে বলে, তুমার শিয়ানা মেয়েডার বি দিচ্ছোনা ক্যানে মানু, বিয়ের বয়স যে পার হয়ে গ্যালো। মানু ঝোল কিছুই বলে না। একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে। তুমরা গ্রামের মাতব্বর থাকতি আমার মেয়িডার বিয়ে হয় না। দেও দিনি একটা ভালো ছেলের সন্ধ্যান? রহিম শেখ মিটমিট করে হাসে। গ্রামের মধ্যি এত ভালো ছেলি থাকতি তুমার চোখে পড়ে না? চোখটা একটু খোল মানু। রহিম শেখের কথার মাথামুন্ডু কিছুই বোঝে না মানু ঝোল। শুধুই ফ্যাল ফ্যাল করে চেয়ে থাকে। চোখ খোলার কি আছে? চোখ তো তার খোলায়! মাথার উপরে বিশাল বোঝা। মানু ঝোল বলে কিডা? কার কতা কইচ্ছো? রহিম শেখ শুধু মিটিমিটি হাসে। সুমাই হলিই বলবুনে। একন যাও। মানু ঝোল সহজ সরল মানুষ। কথার এত ঘোর ফের বোঝে না। ঠিক বুঝেও উঠতে পারে না ছেলেটা কে?

মেয়ে তার দেখতে এমন মন্দ নয় । বয়সও যে এমন বেশি তা কিন্তু নয়। সে দিনের মেয়ে। মানু ঝোল মনে করে তার মেয়ের জন্মের কথা। এইতো সে দিনের কথা। যেদিন তার মেয়ের জন্ম হল সেদিন সারাদিন বৃষ্টি। রাতের আকাশে বিজলি চমকে উঠলো আর ঠিক তখনি তার মেয়ের কান্নাও শোনা গেল। আর তাই মেয়ের নাম রাখলো বিজলি। বিজলি হাঁটি হাঁটি পা পা করে হাঁটা শিখল। কথা বলা শিখল। সেই মেয়ের এখন বিয়ের বয়স। অবশ্য গ্রামে চৌদ্দ পনের মানেই বিয়ের পাকা বয়স। সেই বয়সটি বিজলির পার হয়ে গেছে। মানু ঝোল এ বোঝা আর বইতে চায় না। তার মেয়েকে বিয়ে দিয়ে দায় থেকে মুক্তি পেতে চায়।

গোসল করে ফেরার সময় মসজিদের ইমাম সাহেবের সাথে দেখা। ইমাম সাহেব জ্ঞানী মানুষ। মানু ঝোলকে দেখে বলে, ভাইসাব তুমি কি বেহেস্তে যাতি চাও। মানু ঝোলের মুখে কৌতুহল, কি কন মৌলবি সাব। বেহেস্তে যাতি চায় না কিডা বলেন দেকিনি ইমাম সাব। ইমাম সাহেব বলে ঘরে যুবতি মেয়ে থাকলি বেহেস্তে যাতি পারবা না ভাইসাব। যত দিন ঘরে থাকপে ততদিন পাপে পুড়ি মরবা। তুমার জন্যি বেহেস্তের দরজায় তালা পড়বে। তাছাড়া মেয়ি ছেলি একসাথে ইশকুলে পড়ে। মেয়ি ছেলি একসাথে একজাগায় থাকা তো নাজায়েজ কাজ। শিয়ানা মেয়ে ইশকুলি গিয়ে জিনা করবে, তার সব পাপ লেখা হবে তুমার নামে। দোযক নসিব হবে। ভেবে দেইখো। ইমাম সাহেবের কথা মানু ঝোলকে ভাবাই। তার যে একটাই মেয়ে। একটু দেইখে শুনি না দিলি কি হয়? যেখেনে সেখেনে বিয়ে দিয়ে মেয়ের কষ্ট দেখতে চায় না মানু ঝোল।

মানুঝোল মাতুব্বরের কথা ভাবে? মাতুব্বর কি তার নিজের কথা ইঙ্গিত করে গেল? করতেও পারে। একবার বিয়ের কথা উঠেছিল মাতুব্বরের। সেই বছরই তার বউকে সাপে কাটে। বৌটা তার মরতে না মরতেই আর দেরী করতে চায়নি মাতুব্বর। বয়সও যে তার অনেক হয়েছে। মানুঝোল নিজের মনেই ভাবে হলেও বা মন্দ কি? টাকা পয়সা কি তার কম আছে? মেয়েডা তো সুখিই থাকপে। আর মাতব্বরের বয়স আর এমন কত? বড় জোড় পঞ্চাশ হবে। ট্যাকা পয়সা আলা মানুষ এত সহজে মরে না। ছি ছি, এসব কি ভাবছে মানুঝোল। এমন বুড়োর সাথে তার মেয়ের বিয়ের কথা ভাবছে সে? ভাববেই বা না কেন সে? সারাজীবন তাকে অভাব অনটনের সাথে যুদ্ধ করতে হয়েছে। টাকা পয়সা থাকলে সুখেই থাকবে মেয়েটা।

কদিন পরেই তার ভাবনাগুলো সত্যি হয়ে আসে মানুঝোলের। মাতব্বর লোক পাঠিয়েছে। বিয়ের প্রস্তাব। সাথে অনেক মাছ, মাংস আর গাদা গাদা মিষ্টি। বিয়ের পরপরই মেয়ের নামে দুবিঘা জমি লিখে দেবে মাতুব্বর। না করতে পারে না মানুঝোল। কিন্তু বাধ সাধে বিজলির মা। তা কি করে হয়? মেয়ের বয়স পনের আর ছেলের বয়স পঞ্চাশ। হয় নাকি। মানু ঝোল ক্ষেপে ওঠে। কি হবে না? কি যে বল বিজলির মা। কত ট্যাকা পয়সা জানো মাতব্বরের? তোমার মত দশ দশটা দাসি কিনে ঘরে পুইষে রাখতি পারে। আমাদের কুনু অভাব থাকপে নাকো। রাজি হয়ি যাও। দেখপা মেয়িডা আমার সুখিই থাকপেনে। কি সব যেন ভেবে তারা দুজনই রাজি হয়ে যায় বিয়েতে। মাতব্বর মহা খুশি। সুন্দরি অল্পবয়স্ক বউ পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। তার বয়স তো আর কম হলোনা।

ক্রমেই বিয়ের দিন ঘুনিয়ে আসে। বেড়ে যায় মানু ঝোলের ছুটাছুটি। সমস্ত কাজকর্ম তার মাথার উপর। কিন্তু বিজলি অনবরত কেঁদেই চলেছে। এ বিয়েতে তার মত নেই। তার ইচ্ছা পড়াশোনা করার। কিন্তু মানু ঝোল বেহেস্তে যেতে চায়। মেয়ে পড়িয়ে দোযখে যেতে চায় না। মেয়েদের পড়াশোনা কোন মানে হয় না। কি করবে পড়ে? বিয়ে করে ঘর সংসারই তাদের আসল কাজ। বিজলির কান্নার কোন মুল্য নেই এখানে। কোন মানেই হয় না। দুদিন হল খাওয়া দাওয়া বন্ধ করেছে বিজলি। তার হাত পা যেন অদৃশ্য লোহার শিকলে বাঁধা। বন্দি। সেই শিকল ছেড়ে বেরুনোর কোনো পথই খোলা নেই। বাবা মা যা করে সেটাই মেয়েদের কে মেনে নিতে হয়। মেয়েদের মতামত থাকতে নেই। এটাই নিয়ম।

আশেপাশের ঘরগুলোতে বিদ্যুতের আলো জ্বললেও তাদের ঘরে জ্বলে লন্ঠনের আলো। আর লন্ঠনের আলোর মতই তার সংসার। বিজলী নবম শ্রেণিতে পড়ে। অভাবের চাপে নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়েও পিতা-মাতার কাছে দুদিনেই বিয়ের যোগ্য হয়ে যায়। বিয়ে দেবার বড় বোঝা মাথায় চাপে। আর তাইতো বয়সের বাছ বিচার না করে মাতব্বরের হাতে তাকে তুলে দেবার আপ্রাণ চেষ্টা।

অনেক রাত। লণ্ঠন জ্বলছে টিপটিপ করে। প্রচণ্ড গরম পড়ছে। ঘুম নেই মানুঝোলের চোখে। মেয়ের বিয়ে। বোঝা মাথা থেকে না নামানো পর্যন্ত শান্তি নেই। এই সংসারে মেয়ে জন্মানো মানে অভিশাপ। কত বড় বোঝা তার মাথায়। চৌচালা ঘরের মেঝেতে শুয়ে ভাবতে থাকে মানুঝোল। হঠাৎ এক হাওয়ায় লন্ঠন নিভে যায়। বাইরে আবছা আঁধার। মানুঝোলের প্রাকৃতিক ডাকে সাড়া জাগে। বউকে ডেকে বলে- বউ লম্বডা জ্বাল দেকিনি। একটু বাইরে যাওয়া লাগবে যে। বিজলীর মা ল্যাম্প জ্বালিয়ে দেয়। ল্যাম্প হাতে বেরিয়ে পড়ে মানুঝোল। স্বাস্থ্য সম্পর্কে তেমন জ্ঞান তার নেই। ঘরের পিছনে হালকা জঙ্গল। একটু দূরে কাঁচা পায়খানা। সেখানে যায় না মানুঝোল। সে মনে করে পুরুষের জন্য জঙ্গলই যথেষ্ট।

হঠাৎ দমকা হাওয়া এসে লণ্ঠন নিভে যায়। অন্ধকার। ফিরে আসার পথে হঠাৎ দড়ি মতো কিসের উপর যেন পা পড়ে। অমনি ফোঁস করে এক কামড় বসিয়ে দেয় পায়ে। অন্ধকারে স্পষ্ট বুঝতে পারল সে। কিন্তু ততক্ষণে ঝোপের আড়ালে সেটি হারিয়ে গেছে। ভয়ে দ্রুত ঘরে ফিরে সে তার বউকে বলে- শিগগির একটা দড়ি আইনে দে। আমার সাপে কা’মড়েছে। হঠাৎ বিজলির মা আঁৎকে ওঠে। অন্ধকারে কিছু খুঁজে না পেয়ে শাড়ির আঁচল ছিড়ে দেয়। মানুঝোল হাঁটুর উপর শক্ত করে বাঁধে। এক দৌড়ে বিজলির মা কবিরাজ ডেকে আনে। বিজলি ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাঁদে। কবিরাজ আসে একটা ঝোলা হাতে। মানুঝোলকে বিছানায় শুইয়ে দেয়। তারপর ঝোলা থেকে একটা শিকড় বের করে। তা চিবানো লাগে মানুঝোলের। মাটিতে দাগ কেটে হাত চালায় কবিরাজ। চমকে ওঠে। এতো জাইত সাপে কা’মড়েছে। তবে চিন্তার কিছু নেই। এ বিষ নামায় দিবোনে। কি যেন মন্ত্র পড়ে কবিরাজ। একটা শিকড় তার পায়ের ক্ষতস্থানে নাড়ে। মানুঝোল আস্তে আস্তে মুখ নেড়ে শিকড় চিবোয়। কবিরাজ কি যেন মন্ত্র পড়ে মাটিতে সতেরটা দাগ কাটে। নারকেল তেল আর চুন আনতে বলে মানুঝোলের বউকে। বিজলি তেল আর চুন এগিয়ে দিলে বিজ বিজ করে মন্ত্র পড়ে কবিরাজ। ক্ষত স্থানে লাগাতে থাকে তা। মাটিতে সতেরটা দাগ কেটে বিজ বিজ করে মন্ত্র পড়ে। আর মানুঝোলের সারা শরীরে ফুঁ দেয়।

মানুঝোলের পা অবশ হতে থাকে। একটা কাঁচা মরিচ আর ব্লেড আনতে বলে। কাঁচা মরিচ চিবোতে বলে মানুঝোলকে। মানুঝোল চিবোই। তার মুখে মোটেও ঝাল লাগে না। এরপর কবিরাজ একটা ব্লেড দিয়ে তার পায়ের বিভিন্ন অংশ কাটতে থাকে। বিজলীর মা বলে- ও কবিরাজ চাচা, বিষ না’মবেনে তো? ও কি ভালো হয়ে উ’ঠপেনে। কবিরাজ পূর্ণ আশ্বাস দেয়। উ’ঠপেনে গো উ’ঠপেনে। মানুঝোলের পা দিয়ে রক্ত বের হতে থাকে। কবিরাজ মন্ত্র পড়ে আর গাছ নাড়ে। মুখে একটা মরিচ দিয়ে বলে, ও মানু এখন কি ঝাল লাগে? মানুঝোল না সূচক ঘাড় নাড়ে। এভাবে বেশ কিছুক্ষণ কবিরাজ বিষ নামাবার ব্যর্থ চেষ্টা চালায়। তা দেখে বিজলীর মা বলে, ও চাচা তুমি পাইরবানে তো? না কি ডাক্তারের কাছে নেয়া লাইগবেনে। কবিরাজের চোখে মুখে রাগের ছাপ দেখা যায়। প্রচণ্ড শব্দে গর্জে ওঠে, ও কি ডাক্তারে সাইরতে পারে রে? নাইমবেনে। এবার এমন মন্ত্র দেবুনি বিষ পানি হয়ে যাবেনে। দেও তো বিজলীর মা পায়ের বান্দনডা খুইলে। সব বিষ পানি কইরে দিই।

বিজলীর মা বাঁধন খুলে দেয়। কবিরাজ আরেকটা শিকড় বের করে বলে, গাছের মাইর দুনিয়ার বাইর। এইডা দেব কি আর সব বিষ পানি হয়ে যাবেনে। কবিরাজ বিচবিচ করে মন্ত্র পড়ে আর শিকড় দিয়ে ঝাড়ে। মানুঝোলের ততক্ষণে গাছ চিবানো বন্ধ হয়ে গেছে। কবিরাজ বলে, ও মানু হইলো কি তোর? চিবোনা গাছটা। কবিরাজ মানু ঝোলের মুখ ধরে অনবরত নড়াতে থাকে। মানুঝোলকে উঠিয়ে দাড় করানোর চেষ্টা করে। ঝাল মুখে লাগিয়ে চিবুতে বলে! একটা ব্লেড দিয়ে শরীরের রক্ত বের করতে থাকে। কিন্তু মানু ঝোলের শরীর ক্রমেই ঠাণ্ডা হয়ে আসে। বিজলির কান্নার মাত্রা বেড়ে যায়। সে তার বাবার মাথার কাছে এসে বসে। বাবার মুখে হাত বোলাই। বাবা ও বাবা কথা বুলোনা এট্টু। মাথার চুলে হাত চালাতে থাকে। বাবা ও বাবা। বাবা তার কথা বলার জন্য একটু একটু করে চোখদুটো নড়ানোর চেষ্টা করে। তার প্রচণ্ড ঘুমে চোখ দুটো আটকে আসে। সে স্বপ্ন দেখে। অনেক লোকজন। ধুমধাম শব্দে গান বাঝছে। বিয়ে হচ্ছে মেয়ের। মেয়ের বিয়েতে অনেক লোকজনকে দাওয়াত দিয়েছে মানুঝোল। ইমাম সাহেব বিয়ে পড়াচ্ছেন। মোনাজাত করছেন মানুঝোল। ইমাম সাহেব খাচ্ছেন খুব যত্ন করে। তাকিয়ে আছে মানুঝোল। ইমাম সাহেবের খাওয়া দেখতে খুব ভাল লাগছে তার। হঠাৎ লোকজনের কান্নার আওয়াজ। তার মেয়ে চলে যাচ্ছে। কান্নার আওয়াজে ভারি হয়ে উঠছে চারপাশ। চোখ খোলার তার আপ্রাণ চেষ্টা।

করুণ দৃষ্টিতে মানুঝোল তার বউয়ের মুখের দিকে তাকানোর চেষ্টা করে। চোখ দুটো কেমন ঝাপসা হয়ে আসে। ইশারায় তার বউকে কাছে ডাকে। কানের কাছে মুখ লাগিয়ে অস্পষ্ট স্বরে বলে, ও বউ আমি বাঁচবোনে তো? বিজলির মুখের দিকে তাকাতে গিয়ে তাকাতে পারে না কিছুতেই, অস্পষ্ট স্বরে মেয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে আবারও বলে, মা মারে, আমি বাচবোনে তো?

 

Read Previous

যাপন

Read Next

গ্রহণ করো প্রেম

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *