
তখনো সে
আমি ঘুমিয়ে যাব
তন্দ্রা নয় চিরনিদ্রার ঘুম
যেখানে স্পর্শ করে না
পৃথিবীর কোনো কোলাহল,
তখনো তার জন্য করবে
নয়নে আমার অজস্র বিন্দু
অশ্রু ছলছল।
দীর্ঘশ্বাস
তখনো আঁধারে অদৃশ্য হয়নি
নীড়ে ফেরেনি অন্ন অন্বেষণে বুনোহাঁস,
তখনো শেষ হয়নি দুজনার লেনদেন
আসেনি
বিদায়ের পর
বেদনায় সিক্ত দীর্ঘশ্বাস।
ফিরে আসুক
ফিরে আসুক
তোমার চোখে দৃষ্টি রেখে
কৈশোরের সেই স্বপ্ন দেখা সুখ।
ফিরে আসুক,
বৃষ্টি ভেজা তুমি আমি
লজ্জাতে আড়াল করা
তোমার সেই মুখ।
ফিরে আসুক,
আমার জন্য অশ্রু ভেজা
তোমার ঘুমহীনা সেই রাত্রি,
ফিরে আসুক,
ট্রেন হয়ে সেই
হাত ধরে হাঁটা
হয়ে উঠা সেই
ট্রেন যাত্রী।
ফিরে আসুক,
পাঠ্য-বিহীন
ইশকুলের সেই দিন,
ফিরে আসুক,
তুমি আমি চেয়ে থাকার
লজ্জাতে হওয়া মলিন।
ফিরে আসুক,
ক্লান্ত বেলায়
শান্ত হয়ে চলা,
তুমি আমি বলছি কিনা
ইশারাতে বলা।
ফিরে আসুক,
তৃষ্ণা ভরা দুজনার চার চোখ
এক পলক দেখার আশায়
বসে থাকার
ব্যাকুলতার সেই মুখ।
ফিরে আসুক,
লজ্জাতে আর ভয়ে হাঁটার
চুপিচুপি সেই চরণ,
ভাবুক হয়ে ভাবার মাঝে
তোমায় দেখে আসত যে
সেই মরণ।
ফিরে আসুক,
আমায় দেখে
তোমার কাঁপা শ্বাস,
তোমার বুকে মাথা রাখার
আমার স্বর্গবাস।
বিরহী-কাজরী
নীল জ্যোৎস্নার আলো
আমার গা ভিজিয়ে দিয়েছে,
তেপান্তরের মৃদু হাওয়া
এ কার সুঘ্রাণ?
যখন বুঝতে পারি
এ তোমার,
রক্তের প্রতিটি কণা হিম হয়ে আসে
অক্লান্ত তৃষ্ণায়।
নীল আকাশ
প্রেম নয় ধুলো নয়
আছে ফাগুনে হৃদয়
ডানা হাওয়ায়ে মেলে
উড়ে যায়
দূরে,
নীল আকাশ।
শাহীদ লোটাস : গল্প, কবিতা, উপন্যাস ও প্রবন্ধ লেখেন। তার লেখা প্রকাশিত গ্রন্থ— উপন্যাস : বেদনার বাঁশি, কলকি সুন্দরী, আরশি, ঘৃণা, বসন্তের শেষ বিকেল। কাব্যগ্রন্থ : একুশ ও মুক্তির গান, মুদ্দাফরাশের কবিতা, একটি শোক সংবাদ। আত্মজীবনী : ১৮ মার্চ ২০১৯।