মোমের পুতুল
দুঃখ সহোদরা! জেনেছি এমন অনিবার্য রূঢ় বাস্তবতা
তবুও দিনের দেহে কালো মেখে স্বাগত জানাই রাত্রি!
গাছের বুকের যেমন অলিগলি নেই আর—
মাছের লেজেরও নেই নীরবতা
তবু থেমে কই! চিহ্নহীন পথেই উড়ছে পাখি
ফিরছেও ঠিক আপনালয়ে, যেখানেই তার দুঃখগাথা
মানুষ বিলুপ্ত প্রায়! যাদুঘরে শোভা পায় মোমের পুতুল
প্রতিদিনই খুঁজে ফিরি তাতে মানুষের ছায়া
মানুষের মনের শিকড়টা ঘুরে, পেয়েছি?
শুধু নিরানন্দ মুঠোবন্দি হয়েছে!
শকুন মৃতের মূল্য বোঝে, ভাবে না সে পুরুষ-নারী
এসব ভাবতে ভাবতে ঢুকে পড়ি নিজের ঘরে; দেখি—
দুঃখের সাগরে সুখ একফোঁটা লেবুজল,
তবুও তাতেই আজন্ম প্রাণের তৃপ্তি।
জোছনাও লুকোয়
অন্ধকার আমার মুখোমুখি ধবধবে সাদা কাপড় পড়ে
সে জানায় আলো ও কালোর পার্থক্য কোথায় ও কিসে।
নিশ্চুপ হয়ে শুনি-দেখি- আঁধারের কলতান,
পাড় ভাঙা ঢেউয়ের গান, বাতাসে জলের আত্মগোপন
আলোর সুতোয় আলোকে বাধতে না পারা এক এতিম—
সু-উজ্জ্বল জোস্ন্যালোর সূর্যের কাছে পরাজয়ের অভিমান
আরও দেখি নক্ষত্র গুটিসুটি পায়ে পতনের দিকে হেলে
আজগুবি কথায় ঝরতে শুরু করেছে তারকাফুল
অথচ সেই অন্ধকার, মুখ ঢাকা অন্ধকার বলে দিলো—
একটি কথা মুখ দিয়ে বের করার অর্থ-সন্তান ভূমিষ্ঠের—
সুখ ও দুঃখের খবরের মতো! তবুও কথা পাখি হয়; গুজব হয়
বলে ফের-সাদা কাপড়ের মূল্য বুঝতে শেখো—
হে যৌবনবতী আসমান।
অতপর-সূর্য আর ওঠেনি, জোছনাও লুকোয় সেই বাণী শুনে…