রাত্রির চাঁদমুখ দেখি
আমিও রাত্রির চাঁদমুখ দেখি, ঘুম ভাঙা আলোর মৌমাছি হুল ফুটিয়ে ভোরের হাওয়ায় উড়ে, তাজা, উষ্ণ
রোদ্দুরে শরীর মন খোলে জেগে উঠি
রাত্রির আকাশ পড়ে আছে ঘাসে, শিশির ফোঁটায়
ঝলমল উঁকি দেয়, হাওয়ার পালকিতে চড়ে যায় উড়ে,
ফের আকাশে, তীরের ঢেউ সমুদ্রের বুকে ফিরে ফিরে আসে
চোখ বুজলে আঁধারনামা, তবু কেন অন্ধ সেজে
নিজেকে বদলে নিতে চাও? ফলাফল জিরো, জিরো, এই মন
মাটিতে ফলাও সোনা, ধর্মাধর্মে ভিন্নতর স্রোত
পাতা উড়ছে, গাছের সন্ধান নৈকট্যবোধে, প্রেম ও বিরহ
সে তো বহতা নদীর উপাখ্যান এক, নানা বাঁকে ভাঙাগড়া,
জীবনের অবিচ্ছেদ্য এক একটি অধ্যায়, গ্রহণ বর্জনে
এই যাপন প্রকাশ্যে কতটুকু? ততধিক গুপ্তলীলাময়,
আঁধারে চৈতন্যোদয়, হৃদয় সঙ্গীত গায় প্রণয় নির্ঝর,
মানবিকতার সূক্ষ্ম আলো মানুষের মধ্যে আছে, উস্কে দাও
নিঃসঙ্গতা ডুকরে ওঠে
অচল মুদ্রার কথা ভুলে যাই
জাদুঘরের কর্নারে মিটিমিটি তারা হয়ে জ্বলে
অথচ প্রাচীন মুদ্রা কত হাতে গেছে
কত সিন্দুকে অথবা ব্যাংকে জমা পড়ে
ফের ছড়িয়ে পড়েছে
অনেক যুগের সাক্ষী এইসব মুদ্রা একদিন
কত মানুষের ক্ষুধা ও তৃষ্ণা মিটিয়ে আজ অসহায় একা
অচল মুদ্রার মতো কত ইচ্ছে স্বপ্ন উঁকি দেয়
এই বুকের মধ্যে ডুকরে ওঠে
কারো সময় হয় না একটু দেখার
স্বর্ণোজ্জ্বল দিনগুলো জ্যোৎস্নাভেজা হৃদয়ের গান
শ্বাস প্রশ্বাসে তোমার কথা মনে করে