
আর্জি পেশ
(কবি উম্মে হাবিবাকে)
সমস্ত ইবাদতের বদৌলতে, একটা-বর চাওয়ার সুযোগ যদি পাই বিধাতার কাছে। যদি কখনও ইচ্ছে-পূরণের দৈত্যকে সৃষ্টিকর্তা পাঠিয়ে দেয় আমার কাছে। আমি চাইবো: প্রাণ-আরাধ্য আমার কাছে আসার দিনগুলোতে রাজপথের সমস্ত মানুষ কিছু-মুহূর্তের জন্য দৃষ্টিহীন হয়ে যাক– ধরনীর পড়ন্ত বেলায় রাজপথে দাঁড়িয়ে, গাঢ়-নীল-অন্তরীক্ষকে ছাঁদনাতলা করে প্রগাঢ় আলিঙ্গনাবদ্ধ হতে চাই।
পৃথিবী জানে, আমার দেশে মাঝপথে আলিঙ্গন করা লোক-চোখে অশোভন। তাই আমি আমার ইবাদাত জমিয়ে-জমিয়ে পাহাড় গড়ি, এই প্রতিক্ষায়– যদি কোনও দিন ভাগ্যবিধাতার কাছে একটা আর্জি পেশ করার সুযোগ পেয়ে যাই!
উড়ন্ত ঘুড়ি
(কবি জয়দীপ রাউতকে)
হ্যাঁ… কোনোদিন কিছু ছিলো না। ঝাউবনে নিশিবকের উড়াল ছিলো না। জারুলতলায় ছোটো খরগোশের দৌড় ছিলো না। হিজলবনে জমা বৃষ্টি-জল ছিলো না। খুব শীতের রাতে ঘুম ভাঙানিয়া পেঁচা ছিলো না। ভরা নদীর থইথই পানিতে জোয়ার ছিলো না। সমুদ্রের তীর ঘেঁষে লাল-লাল শামুক ছিলো না। শুধু অমাবস্যা আর পূর্ণিমার জন্য একটাই আকাশ ছিলো আর, ছিলো ওই আকশে নাটাই ছাড়া, সুতোবিহীন একজোড়া উড়ন্ত ঘুড়ি। একদিন খুব বাতাসে ছিঁড়েফুঁড়ে ঘুড়ি দুটো-ও;
বহুদূর হারিয়ে গেলো…
One Comment
কবিতা পড়লাম। গদ্যময় কবিতা। তবে কবি উম্মে হাবিবা ও কবি জয়দীপ রাউতকে চিনিতে পারিলাম নাহ্।