
সঞ্চয় সুমন-এর দুটি কবিতা
১.
পাঁজরের হাড় দিয়ে বানিয়েছি ঈর্ষণীয় বাঁশি
ডাঙায় বাঁচে না মৎস্যকন্যা আমিও সাঁতার শিখিনি,
শূন্যের বিছানায় শিল্প খুঁজে হারিয়ে গেছে-
প্রার্থনার শরীর, আগুনকে পোষ মানাবার মমতা।
জেগে থাকার খেলা শেষ হবে ভেবে
দর্শন ভেঙে মোহনীয় চিত্রকল্প তৈরি করে
খোঁড়া অহংকার নিয়ে বিতৃষ্ণাকে জাপটে ধরে
সাদা ফুলের বিশ্বাস মিথ্যার আশ্রয়ে রেখে
অচেতন সম্পর্করা মিশে যাচ্ছে অন্তিম রাগে।
২.
আসক্ত আবরণ খুলে সন্ধ্যা নেমে এলে
অরণ্য-ফুল বাগান চিনতে ভুল করে
দুরন্ত প্রতিদ্বন্দ্বীকে দুর্দান্ত সঙ্গ দিয়ে
সুখমাখা ব্যথা ছুঁয়ে আমি ও আমরা
বর্ণহীন সংবাদ হয়ে গেছি।
পরিবর্তীত দিকের মতো দূরে চলে গেছে
কুমারী প্রতিভা, পাখিদের ভাষা বুঝিনি
তবুও ডানার আশায় ঘুমন্ত আগ্নেয়গিরির
কাছে দাঁড়িয়ে প্রকাশের যন্ত্রণা উপশমে
খুব সহজভাবে জোস্না ভিক্ষা চেয়েছি।
বাতাস নির্মাণের ব্যর্থতা ভুলতে
মাটি খুঁড়ে পেয়েছি অনাথের ভ্রুণ
কথা না বলা মেঘ আমাদের কাউকে চেনেনি
তাই জলের মতো পাত্র না পেয়ে
গোপনে মিশেছি আন্তরিক উৎসবে।