বিচারটা একতরফাই হয়ে গেল।
গলার বাম দিকে ট্যাটু আঁকা লম্বা, রোগা চেহারার ছেলেটা
দুপুর পর্যন্ত ভাবতেও পারেনি যে আজই তার অফিসে শেষ দিন।
বুঝিনি ঘটনা এতদূর গড়াবে,
ভেবেছি অল্প শাস্তিতে মিটে যাবে সব কিছু,
বুঝিনি এতজন পক্ষে থাকা স্বত্ত্বেও শাস্তির ওজন কমবে না একটুও।
সবাই সব কিছু বোঝে না।
শুধু একটা তামাশাতেই তার রোজগার বন্ধ হয়ে গেল,
একটা তামাশাতেই হঠাৎই চাকরি চলে গেল তার।
ম্যানেজমেন্টের উচিত ছিল তাকে একটা সুযোগ দেওয়া,
উচিত ছিল তাকে আরও কিছুটা সময় দেওয়া।
ছেলেটার আজ একটা অভিজ্ঞতা হলো, সে আসলে বেঁচেই গেল।
এমন অফিস, এমন ম্যানেজমেন্ট তার যোগ্য নয়।
১১ তলার অফিস ঘরটাকে নিস্তব্ধ করে দিয়ে বেরিয়ে গেল সে।
সুপম রায়
সুপম রায়, কবি-নাম সবুজ বাসিন্দা। ইলেক্ট্রনিক্স ও কমিউনিকেশন বিষয়ে স্নাতকোত্তর। লেখালেখির পাশাপাশি ছবি আঁকতে ভালোবাসেন। ভারত ও বাংলাদেশের বিভিন্ন ম্যাগাজিনে লেখা প্রকাশিত হয়। কলকাতার 91.9 Friends FM রেডিও চ্যানেলে কবির কবিতা পাঠ করেন RJ রাজা।
প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ
তেরো (২০১৭)
ক্রুশকাঠি (২০১৮)
তেজস্ক্রিয় সেলফি (২০১৯)
মহীরুহের ভালোবাসায় (২০১৯)
পুরস্কার ও সম্মাননা
‘যুব কবি’ পদে সম্মানিত (‘প্রতিলিপি’ অনলাইন প্রকাশনা) (২০১৭)
‘যুব কবি’ পদে সম্মানিত (‘কবিতা তোমাকে’ পত্রিকা ও প্রকাশনা) (২০১৭)
‘সেরা কবি’ পদে সম্মানিত (এপিজে বাংলা সাহিত্য উৎসব) (২০১৭)
পশ্চিমবঙ্গের সেরা গীতিকার (ভারত সরকার আয়োজিত সারা ভারত দেশভক্তির গানের কথা লেখার প্রতিযোগিতা, ২০২৩)