আত্মার বিদগ্ধ স্রোত
প্রতিটি ব্যথায় ঘুমায় আত্মার বিদগ্ধ স্রোত
প্রাণি বোঝে কি প্রাণের দাম
প্রতিটি স্রোতে পা বাড়াতে গেলেই হোঁচট
একাকীত্বের ব্যাকরণ ভুলে যায় নিদয়া দুপুর
প্রশান্ত প্রশ্নাতীত প্রহরে ঘেমে ওঠে
অঙ্গুলি আড়ষ্ট সঞ্চালনে মেতে উঠতেই
কিবোর্ড ফ্রিজ জমাট বাঁধে
অলৌকিক চৈতন্যে পারদ ওঠে-নামে।।
অহংবোধ
বইগুলোর বিপ্রতীপে তীব্র অহংবোধ
মন্দ আলোয় রক্তিম সৌরভ
প্রসন্ন আলোয় গ্রাসাচ্ছাদিত হয়ে সুরভি
স্ট্যাটাসের দিকে তাকায়
উল্কার পতনে চোখ পোড়েনি অন্তর
নিশ্ছিদ্র অন্ধ আলোয় গন্তব্য চক্রাকার
প্রত্যুষে ম্লান হতে হতে আকাঙ্ক্ষা দুর্নিবার
বরফ হৃদয় আগুনমুখোয় ঘটায় অগ্নুৎপাত।।
চক্র
চক্র ধরে দীপ্র হয়ে উঠি
চাকায় ঘুরতে থাকা জীবন অচেতন পাঠক
সর্বস্ব প্রখর হতে প্রিয়পাত্রে হাতছানি।
নখর জন্মালে বেশ পশু হিংস্রতায় খুনি
এমন সময় গেছে ব্যথায় শূন্যে নীল বুনি।
অস্তরাগের ভাষা রপ্ত হতে বজ্রপাতের ধ্বনি
ব্যপ্ত হলে সময় আশানিয়া গানের প্রতিধ্বনি।।
দাক্ষিণ্য
দাক্ষিণ্যের দৃশ্যপটে পরিবর্তন নেমেছে
উজাড় হয়েছে আরও কিছু ডালপালা
বৃক্ষ রয়েছে সতেজ
তবে শেকড়ে লেগেছে ঘাত
কিছু রস কিছু কষ অস্বস্তির অশুভ শ্বাস।।
ঈশ্বরের নাচ
এসো একবার দেখে নেই ঈশ্বরের নাচ
জমকালো প্রাত্যহিক
নাচান বলে কতবারই ইচ্ছে হয়েছে
ঈশ্বর-নৃত্য দেখি
সশ্রদ্ধ ঈশ্বর অশ্রদ্ধ বোধে বাজান বাঁশি
চিরস্থায়ী চৌরঙ্গী
চরম পরমের যাত্রায় নিশুতির ডাক এলে
ঈশ্বর স্থিত হন
এক প্রাগৈতিহাসিক ভয়
চতুর্পার্শ্বে নির্বিবাদ জড়ো হয়।।