জলসভ্যতা
হেলিকপ্টার থেকে নেমেই জলসভ্যতা
তপ্তদুপুরে মেঘের বিশ্রাম
মিরাদের বাড়ি ওই উত্তরের উপত্যকায়
সেখানে জানালার ফাঁক দিয়ে ঈশ্বরের আর্দ্রতা দেখা যায়।
তখনো সন্ধ্যা ঘুমায়নি
হিমালয় থেকে নেমে আসে দেবী
মিরাদের বাড়ি সাদা বরফে ঢেকে যায়।
বালিকা মেঘ হয়
আমি কী তবে মেঘের অপেক্ষায় দাঁড়িয়েছিলাম?
নাকি বালিকা আমার প্রতীক্ষায় মেঘ হয়েছিল?
দরজা খুলেই দেখি সেই মেঘবালিকা
বালিকার বাড়ি আর আমার বাড়ি এখন খুব কাছাকাছি
হাত বাড়ালেই মিরাদের বাড়ির বৃষ্টি ছোঁয়া যায়
আমি বৃষ্টি খুব ভালোবাসি।
মিরা ও আমি এখন মেঘ হয়েছি
তবে কী আমরা এই অধরে বৃষ্টি হয়ে জন্মেছিলাম
নাকি ঈশ্বরের আর্দ্রতায় এখন আমরা মেঘ হয়েছি।
তবে কেন পৃথিবীতে এতো জলপিপাসা!
তবে কেন বালিকার এতো আঁধার আলো খেলা!
তবুও তো মেঘের শীতলে জেগে ওঠে স্তব্ধ নগরী!
তখনো মেঘ ছিল
আমি জলের শীতলে স্নান করেছি
সেখানে নেমেছিল রাত।
আমি পিরামিডের অন্ধকার ছুঁয়ে দেখেছি
আমি বালিকার পৃথিবী উল্টে দেখেছি
আমি মেঘের অনুভূতি খুঁজতে গিয়ে দেখেছি
ঈশ্বরের কৃপায় কোনো ভুল ছিল কিনা!
অবিচল
প্রথম দিনের সেই দৃশ্য আজও ভুলিনি
ঠোঁটের মধ্যে ঠোঁট ঢুকিয়ে বলেছিলে
চুপ!
এরপর অদেখা প্রাপ্তির ওপর বিশ্বাস স্থাপন
কোনো সন্দেহ ছিল না তাতে।
দু’হাতে ফিরিয়ে দিয়েছি যা দিয়েছিলে তুমি
আজ তুমি স্বকীয়তায় অবতীর্ণ
কবি হতে চেয়েছিলে তুমি।
আমি কিছুই বলিনি। আজও বলবো না।
তুমি উত্থিত ডানায় অবিচল। ভালো থেকো।