তোমার জন্য শুভকামনা
ওহে আমার অনাগত আত্মজ, উত্তরাধিকারী—
এ পৃথিবীতে কবে তোমার হবে যে শুভাগমন,
হয়তো তখন নক্ষত্রের দেশে দেব আমি পাড়ি,
পাব না বুঝি আমার সে উপভোগের দিন-ক্ষণ।
একদিন তুমি আসা-যাওয়ার পথ নিয়ে এসে
মর্ত্যলোকের অপরূপ সুন্দর মায়াবী কাননে
হে আত্মজ, না জানি তুমি পড়বে কোন পরিবেশে—
হয়তো সেদিন আমাকে তুমি খুঁজবে চুপে-মনে।
হয়তো সামনে আছে আরো ঢের কঠিন সময়—
আকাশ-পাতালজোড়া কষ্টের হলকা দেবে আঁচ,
পারব না বুঝি দিতে আমি স্নেহের কণ্ঠে অভয়,
মর্ত্যদেবরা ক্ষমতার ওমে খাবে বিবেক-লাজ।
ভালো থেকো, সুখ বুনো— দেবতারা করেছে যা লোনা,
ওহে আত্মজ আমার— তোমার জন্য শুভকামনা।
অন্তর্ধান
মানুষেরা কে কখন আচমকা মরে যায়
গাছের পাতার মতো টুপ করে ঝরে যায়
কেউ দেখে কেউ দেখে না
কেউ জানে কেউ জানে না।
তারপর একদিন অপ্রত্যাশিতভাবে
খবরটা এসে যায় অথবা জানতে পারে কেউ—
সেই প্রিয় মানুষটা—
অভিমান করে যে দূরে সরে গিয়েছিল—
অবহেলা আঘাত যাকে জীবন্মৃত করেছিল
অথবা যাকে সে শত্রু জ্ঞান করে দূরত্ব মেপেছিল,
সেই প্রিয় অপ্রিয় মানুষটা আর নেই,
অভিমান অবহেলা বুকে চেপে চিরতরে
হারিয়ে গেছে সে,
আসবে না ফিরে আর—
বিরক্ত করবে না,
রাখবে না আর কোনো আবদার মিনতি।
ইমরুল হাসান : জন্ম উনিশশো সাতাশি খ্রিস্টাব্দে, সিরাজগঞ্জ সদরে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতিতে অনার্স, মাস্টার্স।
প্রকাশিত কবিতার বই : বিলম্বিত প্রসব (অক্টোবর ২০২২, অনুপ্রাণন প্রকাশন)।