ভাঙনের সুর
ততটুকু পথ হোক না আপন
যতটুকু ক্ষণ লাগে না ভীষণ
দীর্ঘ ও ম্লান।
মানুষের ভিড়ে একাকী জীবন
একাকীত্বে সুর তুলে যায়
যেন রিনিঝিনিয়ে।
তুমি আমি ক্ষণ, একাকী ভীষণ
কাটে না প্রহর তবু তো জীবন
এ কোন বিরহের সুর তুলে যায়।
পাখি নীড়ে ফিরে
তবু তো কিছু পথ হারায়
আর নীরব নদীর দহনে জ্বলে।
আর জ্বেলে দিয়ে যায়
ক্লান্ত দিনের এক নীরব ছায়া
যা নিয়ন আলোর জোছনা ঝরায়।
হয়তো এখনো…
কিছুটা আকাশ প্রেমিক ও কাঁপায়।
নিছক ভুলে কিংবা খেলারছলে!
তাই তীরভাঙা কূল ছাপায় এখনো বানের জলে।
যা দেখে ভেসে যাওয়া ঘর মৃদু হেসে ওঠে
আর নীরব চাহনি এঁকে দিয়ে যায় পথিকের মনে।
মনের আঁধারে ক্লান্তি ছড়ায়ে
পাখিরাও হাসে
আর ভ্রুকুটি করে
হারানোর সুরে।
কাচের চুড়ি
ভুল পথিকের পথের আশায়
ভুল পৃথিবীর গল্প এঁকে
কেটে গেলো একটি জীবন।
যে পথ ছিলো কাঁটায় ঘেরা
ভুল মানুষে শহর ভরা
সে পথ আমি ভুলে গেলাম
আর মুছে দিলাম তার স্বপ্নরেখা।
এক জীবনে কতটা ভুল…
বলতে পারো!
নীরব রাতে আকাশ কাঁপে
হঠাৎ হঠাৎ বৃষ্টি ঝড়ে।
আর ভুল স্মৃতিতে আঁটকে যাই বারেবারে।
স্বপ্নগুলো ছুড়ে ফেলি
ইচ্ছেগুলো পুড়িয়ে দিই নির্বিবাদে।
আর কাচের চুড়ির শব্দে কাঁপে
আমার হৃদয়।
মাঝে মাঝে ইচ্ছে করে
শহরটাকে গুঁড়িয়ে দিই।
যে শহরের দেয়ালগুলো
গ্লানির কাব্যে দিশেহারা।
যে বা যারা কেড়ে নেয়
ভেঙে দেয় স্বপ্ন আকাশ
আর ঝরাপাতার মতোই ঝরে
স্বপ্ন নামের মেঘের বিলাস।
আর হু হু করে শীতের আকাশ
হালকা করে প্রশ্ন করে?
সে জীবন কি তোমার ছিলো?
না অন্য কারও
যা ছিলো…
ভীষণ খুশির ভীষণ আপন!
সে জীবন তো হারিয়ে গেলো
মন ফাগুনের কল্পনাতে।
কালবেলার দুঃস্বপ্নে
সুখের তরী হঠাৎ করেই
বাঁক নিলো যে অজানাতে।
আর ক্লান্ত ভিড়ে পাখির নীড়ে
বাঁধলো বাসা।
তাই দিনের শেষে বলতেই হয়
এইতো জীবন!
আর এভাবেই তো বেঁচে থাকা।
যা হঠাৎ হঠাৎ পাল্টে যায়
খরস্রোতার বাঁকের ন্যায়।
যা কখনোবা নির্মল এক সফেদ আকাশ কিংবা নির্মমতার কঠিন পাথর।