যমুনা
প্রতিদিন প্রাক্তন করি প্রতিটি নতুন
তবু প্রকৃতির ভীষণ প্রেমে
পৃথিবীতে জেগে যায় নতুনের ধারা
নতুন কুঁড়ির কাছে ফিরে পাই
প্রত্যাবর্তনের অপ্রিয় আস্কারা…
ফিনাইল ফেঁসে যায় গ্লুকোজে
রক্তে ঠোকর মারে বিদেশী পাখি
কতোদিন হয়নি ঘুম সারাদিনমান
আমাকে কিনতে আসে রাখি ছলনার
ইট সীসা নিকোটিন মাখামাখি রাতে
কোথাও কি ফেলে গেছো চশমায়
অর্ধেক অশ্রুর আঠালো স্মৃতিতে
দিনে দেখা ভোররাত, আকাশ-স্টিকার…
এতো কেন ছুটে যায় নিখিলের বুকে
আপাত মানুষের শুকনো পায়েরা
পিতারা রাখেন স্নেহ নোটে, নোটবুকে
দরকারি স্বপ্নের বিরুদ্ধে মায়েরা
করে না মিছিল আর নীরব স্লাোগানে
স্থির যমুনা তার জানে সবটাই…
চলে যান
[রফিক আজাদ আপনাকে]
আবার পরীক্ষা আসে
ফাগুনের একলা কোকিল গেয়ে যায়
সনদের উদ্বিগ্ন উল্টাপাশে।
মেডিকেল ঘোষণার আগে
কবিতা বুকে নিয়ে ঘুমিয়ে গেছেন কোন কবি
শাদা অভিমানে, রাগে।
জীবনের ‘মধ্য অন্ত্যমিল’
চেয়ে থাকা সরল বৃত্ত ভেঙ্গে
থাকে ট্রাপিজিয়ামের গ্রাম- ‘চুনিয়া’ নামের বিল।
পরীক্ষারা খালি আসে
চুলোয় চড়ে না চাল
খাদ্য তালিকায় শুধু ‘মানচিত্রেরা’ ভাসে।
সম্পাদনা : ‘বিরোধ’
নিখিল নওশাদ : সম্পাদনা : ‘বিরোধ’
বই : ‘এটি একটি চিৎকার’
জন্ম : ২৬ জুন, বড়িয়া, ধুনট, বগুড়া, বাংলাদেশ