অনুপ্রাণন, শিল্প-সাহিত্যের অন্তর্জাল এ আপনাকে স্বাগতম!
এপ্রিল ২৮, ২০২৪
১৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এপ্রিল ২৮, ২০২৪
১৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাইয়িদ রফিকুল হক -
অন্ধকারের বুকে আলোর ফেরিওয়ালা

হঠাৎ খুব কাছাকাছি আট-দশ রাউন্ড গুলির শব্দ হলো। তা শুনে রজবের বাপ হজরত আলী আধশোয়া অবস্থায় মাথাটা একটু উঁচুতে তুলে ফিসফিস করে বলে উঠলেন, “রজব রে, হারিকেনের আলোটা নিভায়ে দে। তাড়াতাড়ি কর, বাজান। আইজ মনে হয়―রাজাকাররা আবার টহল দিতে নামছে!”

রজব আলোটা নিভিয়ে দিয়ে বলে, “হ, মনে হয়―ভয় দেখানোর জন্য ফাঁকা গুলি করতেছে! তয় মুক্তিবাহিনীর লোকজন আইসে পড়লে শিয়ালগুলো পালায়ে যাবে নে।”

খুব অন্ধকার রাত আজ! এত অন্ধকার যে, নিজের শরীরটাও ভালোভাবে দেখা যায় না! এই অন্ধকারে মানুষচেনা খুব কঠিন!

চারিদিক একেবারে শুনশান! আর খুব নিস্তব্ধ! সবাই কেমন যেন নীরব ও নিশ্চুপ হয়ে আছে! সমস্ত গ্রামটাকে একটা মৃতপুরী বলে মনে হচ্ছে যেন!

আজ আবার বুঝি অমাবস্যা-রাত! সেইজন্য গ্রামজুড়ে অন্ধকার আরও বেশি! এত গাঢ় অন্ধকার এতদিন কোথায় ছিল! এমন গাঢ় ও নিকষ কালো অন্ধকারে মানুষজন ঘর থেকে সহজে বের হবে না। জানের ভয় সবারই আছে।

রজব বাড়ির বাইরে যেতে চেয়েছিল। কিন্তু তার বাপ তাকে কড়া নিষেধ করেছে। এই সময় বাড়ির বাইরে যাওয়া মানে নিজের বিপদ ডেকে আনা। চারিদিকে এখন শত্রু ওঁৎপেতে রয়েছে। একদিকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সদস্য অন্যদিকে দেশীয় হানাদার-দোসর-রাজাকার।

দেশে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়েছে। রজবের বাপও মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি যোগদান করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পারেননি। যুদ্ধের আগেই পাশের গ্রামে হা-ডু-ডু খেলতে গিয়ে তিনি হাত-পা ভেঙে ঘরে পড়ে রয়েছেন। এমন সময় মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিতে না পেরে রজবের বাপ হজরত আলী মনে মনে খুব কষ্ট পাচ্ছেন। সারাদিন বিছানায় শুয়ে শুয়ে তিনি এজন্য খুব আফসোসও করেন। তার সঙ্গী-সাথীরা অনেক আগেই মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। শুধু নিজের শারীরিক অক্ষমতার জন্য তিনি এই মহাযুদ্ধে যোগ দিতে পারেননি। বাড়িতে আর উপযুক্ত কোনো লোক না থাকায় তিনি রজবকেও মুক্তিযুদ্ধে যেতে দেননি।

রজবের বয়স ষোলো পেরিয়ে সতেরোতে পড়েছে। এখন তার যুদ্ধে যাওয়ার একটা উপযুক্ত বয়সই বটে। তারও প্রচণ্ড ইচ্ছে ছিল―সে মুক্তিযুদ্ধে যাবে। কিন্তু বাড়িতে আর কোনো ছেলে বা পুরুষমানুষ নেই। রজবের ছোট আরও তিন বোন রয়েছে। সে যুদ্ধে চলে গেলে এদের কে দেখবে! এমন একটি অজুহাতে রজবের বাপ তাকে মুক্তিযুদ্ধে যেতে দেননি। এজন্য রজব যে বাপের ওপর রাগ করেছে―তা নয়। তবে সে এরই মধ্যে মুক্তিযোদ্ধাদের ফাইফরমাশ খাটতে শুরু করে দিয়েছে। এই কাজে অবশ্য তার বাপ তাকে কখনো বাধা দেয় না। তবে সবকিছু খুব সাবধানে করতে বলেন তিনি। রজবও তা-ই করে।

আজ সন্ধ্যার পর রজবরা কোনোরকমে রাতের খাবার শেষ করে যার যার বিছানায় শুয়ে পড়েছিল। শুয়ে পড়লেও কেউ সহজে ঘুমাতে পারেনি। ডাববাগান থেকে মাঝে-মাঝে গোলাগুলির শব্দ ভেসে আসছে! মনে হচ্ছে―আজও যুদ্ধ লেগে গেছে পাক-হানাদারদের সঙ্গে! এখানে নিয়মিত যুদ্ধ হচ্ছে। মুক্তিযোদ্ধারা এই জায়গায় বড়সড় একটা ঘাঁটি বানিয়েছে যে! রজব ও তার বাপ কান-পেতে গোলাগুলির শব্দ শুনতে থাকে। যুদ্ধে যেতে পারেনি বলে মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বের কথা শুনে তিনি ছেলের মতো আনন্দে আত্মহারা হয়ে যান!

এই সময় চারিদিকের মানুষজন নানারকম কথাবার্তা বলে। অনেকের ইমান টলে যায় মুহূর্তের মধ্যে! আবার যাদের মজবুত ইমান―তারা এসবে কোনো ভয় পায় না কিংবা কারও কানকথায় এত বিশ্বাসও করে না। এরা খুব আত্মবিশ্বাসী। আর এরা মনেপ্রাণে বিশ্বাস করে―দেশটা একদিন স্বাধীন হবেই।

জুন মাসের মাঝামাঝি এখন। খুব গরম পড়েছে। আর আজ কেমন একটা গুমোট আবহাওয়া। যে কোনো সময় ঝড়বৃষ্টি শুরু হতে পারে। তার উপরে আজ আবার একেবারে অমাবস্যা!

রজবের কয়েক বন্ধুও মুক্তিযুদ্ধে গেছে। শুয়ে শুয়ে সে তাদের কথা ভাবছিল। এমন সময় সে স্পষ্টভাবে শুনলো―কে যেন তাদের টিনের বেড়ায় হাত দিয়ে বারবার শব্দ করছে! সে কয়েকবার শব্দটা শুনে কান খাঁড়া করলো।

তার বাপও শব্দটা শুনতে পেয়েছেন। তিনি আস্তে আস্তে রজবের দিকে তাকিয়ে বললেন, “খুব সাবধান রে বাজান! আগে একটা ছ্যাঁদা দিয়ে একটু দেখে নে! দরজা খুলিস না সহজে! আগে নিশ্চিত হয়ে নে―কে আইছে!”

রজব এই সংকেতের মানে বুঝে গেছে। তাই সে বাপকে আস্তে বললো, “বাজান, চুপ থাকো। এরা জয় বাংলার লোক। আগেও আমার কাছে আরও কয়েকবার আইছিল। কোনো ভয় নাই, বাজান!”

কথাটা শেষ করে সে দরজা খুলে দিলো। অমনি দুজন লোক প্রায় হুড়মুড় করে ঘরের ভিতরে ঢুকে পড়লো। লোক দুজন ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে খুব সাবধানে দরজা বন্ধ করে দিলো রজব।

তারপর সে হারিকেনের সলতেটা একটু বাড়িয়ে দিলো। আলোয় ভরে উঠলো ঘরটা।

মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে রজব আর তার বাপ একই ঘরে থাকে। ওর মা ও বোনেরা থাকে অন্য ঘরে। ওই ঘরটা পুকুরপাড়ে। যাতে রাজাকাররা কখনো ওদের বাড়িতে এলে ওরা অনায়াসে শনের বেড়া ভেঙে আস্তে পুকুরপাড়ের জঙ্গলের ভিতর দিয়ে অন্যত্র সরে যেতে পারে। বাঁচার জন্য মানুষগুলো কতরকম বুদ্ধি বের করেছে! পাক-হানাদার ও রাজাকারদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে তারা বাঁচার চেষ্টা করে যাচ্ছে।

দুজনকেই চিনতে পারলো হজরত আলী। ওরা দুই ভাই। ছমির প্রামাণিকের দুই ছেলে। আরশেদ আর খোরশেদ। ওরা একসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ করছে। ওদের দেখে চোখে পানি এসে গেল হজরত আলীর।

তিনি কিছু বলার আগেই দুই ভাই তাকে দেখে সালাম দিলো। তারপর আরশেদ খুব আস্তে আস্তে বললো, “চাচাজান, আমরা শিবপুরে অপারেশনে যাচ্ছি। একটা জরুরি কাজে রজবকে জয়নগরে পাঠাবো। কোনো ভয় নাই। ভিতর পথ দিয়ে যাবে ও। এই দিকে রাজাকাররাও থাকে না। তবুও সাবধানে যাবে। এই তিনটা এলএমজি আইজ রাইতের মধ্যেই জয়নগরের মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্পে পৌঁছে দিতে হবে। আপনি ভয় পাইয়েন না, চাচা। রজব কামডা ঠিক ঠিক করতে পারবে। ওর ভালো সাহস আছে।”

হজরত আলী চোখ মুছতে মুছতে বললেন, “ভয় কী রে বাবা! তোমরা দুই ভাই জানডারে হাতে নিয়ে সমানতালে যুদ্ধ করতেছো। আর আমার ছাওয়ালডারে দেই নাই নিজের স্বার্থে। হঠাৎ করে আমি পঙ্গুর মতো হইছি। তাই ওর মা-বোনকে দেখাশোনার জন্য ওরে বাড়িতে রাখছি। ওরে আমি আইজ কোনো বাধা দেবো না। তোমরা ওরে আল্লাহর নামে যেখানে খুশি পাঠাও। আল্লাহ ভরসা, বাজান।”

রজবকে কাজটা দ্রুত বুঝিয়ে দিয়ে ওরা দুই ভাই ঝড়ের বেগে রাতের আঁধারে ঘর থেকে বেরিয়ে গেল। যাওয়ার আগে ওরা হজরত আলীকে আবার সালাম দিয়ে যায়।

রজবও খুব দ্রুত এলএমজি তিনটা একটা বড় ছালার মধ্যে ভরে ফেললো। তারপর ‘বাজান যাই’ বলে সেও বেরিয়ে গেল।

ঘরের বাইরে এসে রজব বুঝলো―অন্ধকার কাকে বলে। পৃথিবীর সকল অন্ধকার যেন তাদের সোনাপদ্মা গ্রামে এসে ভিড় করেছে! সে এখন নিজের শরীরটাকেও দেখতে পাচ্ছে না! সে লোক চলাচলের সোজা রাস্তাটা ছেড়ে জঙ্গলাকীর্ণ একটা রাস্তা ধরলো। এই পথে অন্ধকার আরও বেশি হলেও এখানে কারও উপস্থিতির সম্ভাবনা একেবারে নেই। তবুও সে সতর্কতার সঙ্গে পথ চলতে লাগলো।

রাজাকাররা ইদানীং দিন-রাত টহল দিচ্ছে। ওদের কারও কারও হাতে আবার রাইফেলও আছে। কথাটা রজবও শুনেছে। এজন্য সে এই অন্ধকার রাতেও খুব সাবধানে পা ফেলে হাঁটতে লাগলো। ঘণ্টাখানেক হাঁটার পর রজব বুঝলো―এবার তাকে বড় সড়কটাতে উঠতে হবে। এটা পেরিয়ে তাকে জয়নগরের রাস্তা ধরতে হবে। এর বিকল্প কোনো রাস্তা নেই।

সে সড়কের একপাশে দাঁড়াতেই একটু আলোর দেখা পেয়ে কেমন যেন চমকে উঠলো! তার মনে হলো―কারা যেন রাস্তায় দাঁড়িয়ে রয়েছে! সে নিজেকে একটা ঝোপের আড়ালে দাঁড় করিয়ে ওদের রকম-সকম দেখতে থাকে।

কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর সে বুঝতে পারলো, ওরা রাজাকার। সংখ্যায় ওরা কমপক্ষে চার-পাঁচজন হবে। এদের চোখ ফাঁকি দিয়ে বড় বাঁধে সে এখন উঠতে পারবে না। সে কিছুটা ঘাবড়ে গেল! তবে বেশি ভয় পেল না।

তার ঘাড়ে আবার চটের বস্তায় তিন-তিনটে এলএমজি! এগুলোসহ তাকে ধরতে পারলে রাজাকাররা তাকে নেকড়ের মতো ছিঁড়ে ফেলবে। সে আরেকটু অপেক্ষা করতে থাকে। এমন সময় সে দেখলো, রাজাকারের টহলদলটা তার এদিকেই এগিয়ে আসছে। সে মাটির সঙ্গে বুক লাগিয়ে, বস্তাটা পাশে নামিয়ে রেখে একবারে মরার মতো পড়ে রইলো। এদিকটায় ঘন ঝোপঝাড় থাকায় সে নিজেকে রক্ষা করার একটা সুযোগ পেয়েছে। তবে সে যে বেঁচে গেছে―এখনই তা বলা যাবে না।

রাজাকারের টহলদলটা একেবারে তার খুব কাছাকাছি এসে দাঁড়ালো। তারপর নিজেদের মধ্যে কী যেন বলাবলি করতে থাকে তারা! এই বিপদের মধ্যেও সে ওদের কথাবার্তা কান পেতে শোনার চেষ্টা করতে লাগলো।

দলের তিন রাজাকার বাঁধের এখানে বসে হঠাৎ বিড়ি ধরালো! আর বাকি দুটো সামনের দিকে আস্তে আস্তে হাঁটতে থাকে।

রজবও অপেক্ষা করতে থাকে। কখন ওরা সরবে! আর কখন সে জয়নগরের মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্পে অস্ত্রগুলো পৌঁছে দিবে! আর ভোরের আগেই সে বাড়ি ফিরবে!

রাজাকাররা উঠার নাম করছে না দেখে রজব খুব ব্যতিব্যস্ত হয়ে উঠলো। সে হঠাৎ একটা বুদ্ধিও বের করলো। তারপর সে বুকে ভর দিয়ে অনেকটা ক্রলিং করার মতো করে তার অবস্থানস্থল থেকে দশগজ পিছিয়ে গিয়ে একটা ঘন ঝোপের ভিতরে বসে রাজাকারদের উদ্দেশে দুই হাতে খুব জোরে একসঙ্গে দশ-বারোটা ঢিল ছুড়লো। আচমকা এতগুলো ঢিল আসায় রাজাকাররা ভীষণ ঘাবড়ে যায়। ওদের একটা সঙ্গে সঙ্গে দৌড় দিয়ে বলে উঠলো, “পালাও সবাই। মুক্তিবাহিনী আইসে পড়ছে! পালাও রে! পালাও সবাই!”

ততক্ষণে রাজাকার দলের বাকি সদস্যরাও পালাতে শুরু করেছে। আগের মতো আবারও ঢিল ছুড়লো রজব। রাজাকারগুলো এখন দৌড়ে পালাচ্ছে!

রজবও আর দেরি করলো না। সে হামাগুড়ি দিয়ে বড় বাঁধটা অতিক্রম করে ওপারে নেমে এলো জয়নগরের রাস্তায়। এখন তার বুকটা অনেক হালকা মনে হচ্ছে।

সে খানিকটা পথ চলার পর তার পিছনে পরপর কয়েকটা গুলির শব্দ শুনতে পেল। বুঝতে পারলো, রাজাকাররা হয়তো তাদের অদৃশ্য শত্রু মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশ্যে গুলি ছুড়ছে। সে দ্রুত পা চালিয়ে হাঁটতে লাগলো। এখনও সে যে ক্যাম্প থেকে কিছুটা দূরে রয়েছে! জয়নগরের মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্পে তাকে পৌঁছুতেই হবে।

জয়নগর হাইস্কুলের পিছনে একটা ঘনজঙ্গলে মুক্তিযোদ্ধারা ক্যাম্প করেছে। এর সন্ধান সবাই জানে না। গত সপ্তাহেও রজব কিছু গুলি পৌঁছে দেওয়ার জন্য এখানে এসেছিল। সে এটা খুব ভালো করে চেনে।

স্কুলঘরের কাছাকাছি এসে রজব ভূত দেখার মতো চমকে উঠলো! দেখে, সামনে তার থেকে মাত্র দশ-বারো গজ দূরে ময়েজ চৌকিদার একটা বিড়ি ধরাচ্ছে! সে জীবনের সবচেয়ে সাহসসঞ্চয় করে এত দ্রুত একদৌড়ে স্কুলঘরের পায়খানার আড়ালে গিয়ে দাঁড়ালো। সে খবর পেয়েছে, ময়েজ চৌকিদার স্বাধীনতার পক্ষের লোক নয়। এজন্য ভয়টা তার বেশি।

একটা ধুপধাপ শব্দ শুনে ময়েজ চৌকিদার চারিদিকে টর্চের আলো জ্বেলে কী যেন খুঁজতে থাকে। শেষে শিয়াল-কুকুর হবে ভেবে সামনের দিকে চলে গেল। আর এই সুযোগে রজব আলী ভারি বস্তাটা কাঁধে নিয়েও প্রায় একদৌড়ে মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্পের কাছাকাছি চলে এলো। তারপর সে তিনবার দোয়েল পাখির শিস বাজালো।
ওর শিসের শব্দ শুনে রাইফেল হাতে ক্যাম্প থেকে বেরিয়ে এলো তিন যুবক। এঁরা মুক্তিযোদ্ধা। এই অন্ধকার রাতে ওরা রজবকে দেখে একেবারে তাজ্জব বনে গেছে!

আর রজব আলী একটু হাঁপাতে হাঁপাতে হাসিমুখে বলে উঠলো, “এইবার আপনেগরে জিনিসপত্র বুইজে নেন। আরশেদ আর খোরশেদ ভাই এসব পাঠাইছে। রাইত থাকতেই আমার আবার বাড়ি ফেরা লাগবি। নইলে রাজাকাররা আমারে সন্দেহ করতি পারে।”

ওদের কোনো কথা শোনার আগেই রজব আলী কাঁধের গামছা দিয়ে শুধু মুখটা একবার মুছে আবার মিশে গেল অন্ধকারে। ওরা যে অন্ধকারের বুকে আলোর ফেরিওয়ালা!

+ posts

Read Previous

আগন্তুক

Read Next

মরেও বেঁচে থাকি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *