অনুপ্রাণন, শিল্প-সাহিত্যের অন্তর্জাল এ আপনাকে স্বাগতম!
এপ্রিল ২৪, ২০২৪
১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এপ্রিল ২৪, ২০২৪
১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অনুপ্রাণন লেখক সম্মেলন-২০২২ তৃতীয় পর্ব- -
অনুপ্রাণন মোড়ক উন্মোচন, বই আলোচনা ও লেখক সম্মাননা অনুষ্ঠিত।

শিল্প-সাহিত্যের কাগজ ‘ত্রৈমাসিক অনুপ্রাণন’এর নতুন সংখ্যার মোড়ক উন্মোচন, অনুপ্রাণন প্রকাশন থেকে প্রকাশিত আটটি বইয়ের আলোচনা ও এই প্রকাশনার সাতজন সম্ভাবনাময় লেখককে সম্মাননা দেওয়া হয়। তিন পর্বের এই আয়োজন গত ৩০ ডিসেম্বর (শুক্রবার) ২০২২, বিকালে রাজধানী ঢাকার বাংলামোটরস্থ বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ইসফেনদিয়ার জাহিদ হাসান মিলনায়তনে সম্পন্ন হয়।

সূচনা বক্তব্য দিচ্ছেন অনুপ্রাণনের প্রকাশক ও সম্পাদক আবু মোহাম্মদ ইউসুফ।

অনুষ্ঠানে অনুপ্রাণনের প্রকাশক ও সম্পাদক তাঁর সূচনা বক্তব্য দেয়ার পর বিশেষ অতিথি কবিত্রয়ের কবিতা পাঠ করেন ড. নীরু শামসুন্নাহার ও সুলতানা শাহরিয়া পিউ। এর পর অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে শিল্প-সাহিত্যের ত্রৈমাসিক, অনুপ্রাণনের ‘কবি ও কবিতা সংখ্যা ৪র্থ পর্ব’-এর মোড়ক উন্মোচন ও আলোচনা করেন কবি জরিনা আখতার, কবি নাসির আহমেদ ও কবি গোলাম কিবরিয়া পিনু। এ সময় বক্তারা বলেন, বর্তমান সময়ে শুভবোধ ও সুরুচির অভাব। এর মধ্যেই অনুপ্রাণন আলো জ্বালানোর কাজটি চালিয়ে যাচ্ছে। লেখক সৃষ্টিতে সম্পাদকের ভূমিকা জরুরি। অনুপ্রাণন ত্রৈমাসিক পত্রিকার মাধ্যমে সম্পাদক আবু এম ইউসুফ সে কাজটিই নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করছেন। কবি ও কবিতা নিয়ে যে কাজটি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান তথা বাংলা একাডেমি বা শিল্পকলা একাডেমির করার কথা ছিল, সেটা হয়নি। এই ব্যর্থতার বিপরীতে দায়মোচন করেছে অনুপ্রাণন

বর্তমান সংখ্যার মধ্য দিয়ে অনুপ্রাণন নির্বাচিত একশ’জন কবির সংক্ষিপ্ত জীবনী, তাদের লেখা উল্লেখযোগ্য কবিতা ও কবিদের কবিতা নিয়ে আলোচনা শেষ হল। এই সংখ্যায় ছিল ২৩ জন কবির উপর আলোকপাত। সম্পাদক আবু এম ইউসুফ তাঁর আলোচনায় উল্লেখ করেন কেন ‘বাংলার কবি‘ না বলে ‘বাংলাদেশের কবি’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে এই বিশেষ আয়োজনকে।

ত্রৈমাসিক অনুপ্রাণনের কবি ও কবিতা সংখ্যা- চতুর্থ পর্বের মোড়ক উন্মোচন করছেন বিশেষ অতিথিবৃন্দ কবি জরিনা আখতার, কবি নাসির আহমেদ ও কবি গোলাম কিবরিয়া পিনু

আলোচ্য ২৩ জন্য কবি হলেন— ফরিদা মজিদ, জিনাত আরা রফিক, মাহবুব সাদিক, জাহিদুল হক, আলতাফ হোসেন, জরিনা আখতার, মাসুদুজ্জামান, মুজিবুল হক কবীর, নাসির আহমেদ, মাহবুব বারী, সৈকত আসগর, মুহাম্মদ সামাদ, তুষার দাশ, অসীম কুমার দাস, বিশ্বজিৎ চৌধুরী, রিফাত চৌধুরী, মহীবুল আজিজ, সাজ্জাদ শরিফ, খালেদ হামিদী, খালেদ হোসাইন, কুমার চক্রবর্তী, শোয়েব শাদাব ও সুব্রত অগাস্টিন গোমেজ।
আলোচকরা হলেন— শফিক হাসান, পলিয়ার ওয়াহিদ, সিদ্ধার্থ অভিজিৎ, মোহাম্মদ হোসাইন, কৃষক মাহমুদ, বঙ্গ রাখাল, ড. ইমদাদুল হক মামুন, ফারুক সুমন, আমিনুল ইসলাম সেলিম, তৌহিদ ইমাম, আলভী রহমান শোভন, মামুন রশীদ, আলীনুর রহমান, রবিউল ইসলাম, সৈয়দ নূরুল আলম, মাসুদুল হক, মোস্তফা হায়দার, আঁখি সিদ্দিকা, মিজান মনির, সুমন শামস, কবির মুকুল প্রদীপ, রহিমা আকতার কল্পনা ও হানিফ মোহাম্মদ।

সম্মাননা প্রাপ্ত লেখকদের সাথে বিশেষ অতিথিবৃন্দ।

দ্বিতীয় পর্বে অনুপ্রাণন প্রকাশন থেকে প্রকাশিত ৮টি বই নিয়ে আলোচনা করা হয়। বই ও লেখকরা হচ্ছে— প্রণয় মল্লার/ শ্রাবণী প্রামাণিক, মহাকালের রুদ্রধ্বনি/ নুসরাত সুলতানা, সুখগুলো সাদা শার্টের বুক পকেটে রাখি/ লতিফ জোয়ার্দার, করোনাকালের ছায়া/ মণীশ রায়, বৃত্তের নিশিচারণ/  রেহানা বীথি,  সম্পর্কটা শুধুই জৈবিক/ আসমা সুলতানা শাপলা, তৃতীয় অধ্যায়/ মোজাম্মেল হক নিয়োগী, স্বপ্নজাল/ ভাস্কর চৌধুরী।

আলোচক ছিলেন মনি হায়দার, সৈকত হাবিব, ড. বেগম জাহান আরা, মামুন মুস্তাফা, মামুন রশীদ, বাবুল আনোয়ার, আশফাক খান, রাহনুমা খান প্রমুখ। বই নিয়ে আলোচনা পর্বে আলোচনার জন্য নির্ধারিত তিনটি কবিতার বই থেকে বিশিষ্ট বাচিক শিল্পী ও সংবাদ পাঠক দেওয়ান সাঈদুল হাসানের কবিতা আবৃত্তিতে দর্শক শ্রোতারা মুগ্ধ হন।

উদ্বোধনী সঙ্গীত পরিবেশনা করছে খুদে শিল্পীরা


তৃতীয় পর্বে লেখক সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়। ক্রেস্ট ও উত্তরীয় সম্মাননা দেওয়া হয় সাতজন লেখককে। সম্মাননাপ্রাপ্ত লেখকরা হচ্ছেন— বঙ্গ রাখাল, রুখসানা কাজল, নাঈম হাসান, জোৎস্নালিপি, ইলিয়াস ফারুকী, আনোয়ার হোসেন বাদল ও অহনা নাসরিন। অহনা নাসরিনের পক্ষে সম্মাননা গ্রহণ করেন তার মেয়েজামাই আজমাইন আজীম।
অনুষ্ঠানটির বিভিন্ন পর্বে ছিল অনুপম কুমার পালের নেতৃত্বে সঙ্গীত পরিবেশন। সূচনা সঙ্গীত পরিবেশন করে প্রশংসা কুড়িয়েছে আটজন খুদে গায়ক। অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেছেন জাতীয় জাদুঘরের সাবেক কর্মকর্তা ড. নীরু শামসুন্নাহার, অনুপ্রাণন সম্পাদনা পর্ষদের সদস্য সুলতানা শাহরিয়া পিউ; উপস্থাপনা সহযোগী ছিলেন শিখা মিতা ও রত্না দাশ। সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন তুহিন হোসেন জনি ও শেখ শাহিন।

 

 

+ posts

Read Previous

সিকস্তি আর পয়োস্তির গল্প- পাথুরে মাটির কিষাণ

Read Next

সমাজ বিবর্তনের গল্প নিয়েই ‘তৃতীয় অধ্যায়’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *