আলী ইব্রাহিম -
কাকতাড়ুয়া
সেই বারো’তে একবার কাকতাড়ুয়া এই উঠোনে এসেছিল। একা পেয়ে ভীষণ মেতেছিল। ভীষণ মেতেছিল! ভয় দেখিয়ে ছবিও তুলেছিল। ভয় দেখিয়ে খুব মেরেছিল। সেই আতঙ্কে আমিও সব সহ্য করেছি। গুটিয়ে গেছি। নিদারুণ ভোর তখন হয়ে উঠেছিল
Read Moreসেই বারো’তে একবার কাকতাড়ুয়া এই উঠোনে এসেছিল। একা পেয়ে ভীষণ মেতেছিল। ভীষণ মেতেছিল! ভয় দেখিয়ে ছবিও তুলেছিল। ভয় দেখিয়ে খুব মেরেছিল। সেই আতঙ্কে আমিও সব সহ্য করেছি। গুটিয়ে গেছি। নিদারুণ ভোর তখন হয়ে উঠেছিল
Read Moreবসে আছে হলদে পাখি-ছাদের উপর, কালো মাথায় ঘোমটা টেনে লাজুক মুখে। রোজ-ই দেখি, বিকেল বেলার ছাদ বাগানের পাতার ফাঁকে। ফুলের মতো ফুলের পাশে, চুলের খোপায় রেণু মাখে। ঠোঁটের মাথায় রোদের ঝিলিক, জলের বুকের ঢেউয়ের মতো
Read Moreকষ্টের অশ্রু তোমার আমার শুকিয়ে যায় কেবল শুকিয়ে যায় না হৃদয়ের নীল বেদনা, একটি কালো রঙের চশমার গ্লাসে এখনো লেগে আছে সম্ভাবনাময় একটি রাষ্ট্রের নাম, আমার চোখেও হুবহু কালো রঙের চশমা তার ভেতরেই দেখি আমার
Read Moreতোমার কথা এলে, নবান্নের মাঠ জাগে চোখে, খড়ের গন্ধ, উড়োউড়ি ফড়িংয়ের ছন্দ আর বিকেল পালানো সন্ধ্যেয় কুপি হাতে উদ্ভাসিত চোখ শাঁখের শব্দে মাতোয়ারা ঘর শুচিশুভ্রতায় মগ্ন ঘুমের বাসর৷ অথচ তুমি নেই, নেই বৃষ্টির ছাপ স্পষ্ট
Read Moreশানঘর দ্যাখলেই, আমি দাঁড়িয়ে যাই বাঁকানো দা বটিতে দেখি বিদ্যুৎ কব্জিতে নেচে ওঠে গান ঝং ঝং শব্দে বেজে চলে শান ঝকঝক ছুরিতে ঝুলে থাকে মাথা দেয়ালময় ছড়িয়ে থাকে ছোপছোপ রক্ত দাগ শানঘরের ফুলকিতে পুড়তে থাকে
Read Moreঅপেক্ষার প্রহরে— বাগানের ফুল, বক্ষপিঞ্জর... চন্দনকাঠের চিতায় দাউদাউ জ্বলছে! আকাশ গহিন অন্ধকারে! নক্ষত্র শোকে বিবর্ণ! মোমবাতির ঝড়োকান্না এবড়োখেবড়ো শিখায় জ্বলছে! সেই আগুন ঢেলে দেবে! কখন রাত্রির মধ্যপ্রহর অতিক্রম করবে ভোর; আকাশে রক্তের গন্ধ! ধূসর ডানার
Read More