নিঃশব্দ আহামদ -
সাঁকো
তোমার কথা এলে, নবান্নের মাঠ জাগে চোখে, খড়ের গন্ধ, উড়োউড়ি ফড়িংয়ের ছন্দ আর বিকেল পালানো সন্ধ্যেয় কুপি হাতে উদ্ভাসিত চোখ শাঁখের শব্দে মাতোয়ারা ঘর শুচিশুভ্রতায় মগ্ন ঘুমের বাসর৷ অথচ তুমি নেই, নেই বৃষ্টির ছাপ স্পষ্ট
Read Moreতোমার কথা এলে, নবান্নের মাঠ জাগে চোখে, খড়ের গন্ধ, উড়োউড়ি ফড়িংয়ের ছন্দ আর বিকেল পালানো সন্ধ্যেয় কুপি হাতে উদ্ভাসিত চোখ শাঁখের শব্দে মাতোয়ারা ঘর শুচিশুভ্রতায় মগ্ন ঘুমের বাসর৷ অথচ তুমি নেই, নেই বৃষ্টির ছাপ স্পষ্ট
Read Moreঘুমানো যায় না এত এত বিচ্ছিন্ন আবেগের ইতিহাস— ভূগোল নিয়ে উপড়ানো বিবেকের শিকড়বাকড়, খড়ের পালার মতো একরোখা ঠায় দাঁড়িয়ে, যেন ঠাটা পড়া তালগাছ, আশপাশে বেখাপ্পা যতিচিহ্ন, অসুস্থ জমাট স্টেশন বেশিক্ষণ বোঝাপড়া যায় না করা, এইসব অগোছাল নির্ঘুম বাহানা
Read Moreটিনের চালে রিমঝিম বৃষ্টি— রানির সঙ্গী রাজা। কদম তার সৌন্দর্যে স্ফুট। বনলতা-রূপে জীবনানন্দ-মুগ্ধতা! উর্বশীর নগ্ন শরীর। ভিজে যাচ্ছে মর্তলোক! সদ্য বৃষ্টিধোয়া পাপড়ি। পথঘাট। চারপাশ। মেঘপুঞ্জের ফাঁকে সূর্য মাঝেমাঝে উঁকি দেয়— দিনকে প্রতিপাদ্য করে রানির শরীরে
Read Moreশানঘর দ্যাখলেই, আমি দাঁড়িয়ে যাই বাঁকানো দা বটিতে দেখি বিদ্যুৎ কব্জিতে নেচে ওঠে গান ঝং ঝং শব্দে বেজে চলে শান ঝকঝক ছুরিতে ঝুলে থাকে মাথা দেয়ালময় ছড়িয়ে থাকে ছোপছোপ রক্ত দাগ শানঘরের ফুলকিতে পুড়তে থাকে
Read Moreঅপেক্ষার প্রহরে— বাগানের ফুল, বক্ষপিঞ্জর... চন্দনকাঠের চিতায় দাউদাউ জ্বলছে! আকাশ গহিন অন্ধকারে! নক্ষত্র শোকে বিবর্ণ! মোমবাতির ঝড়োকান্না এবড়োখেবড়ো শিখায় জ্বলছে! সেই আগুন ঢেলে দেবে! কখন রাত্রির মধ্যপ্রহর অতিক্রম করবে ভোর; আকাশে রক্তের গন্ধ! ধূসর ডানার
Read Moreবাড়িতে অন্ধকার আলো নেই কোথাও নদীর তটে জাগে নরম মাটির সংসার গাঙচড়ুইয়ের দাপাদাপি। হ্যাজাকের আলোয় যাত্রাপালা মনে পড়ে রাঙাবাবু কেরোসিনের কুপি আর বাজেয়াপ্ত আমার সংসার। মগ্নতার বর্ষায় প্লেটো নেমে আসবে— এসেছে গীরিশ ঘোষের
Read More