
সমস্ত মস্কোজুড়ে
সমস্ত মস্কো প্লাবিত হয়েছে কাব্যের পঙক্তিতে পঙক্তিতে
বিদ্ধ করা হয়েছে ছন্দের ভয়ঙ্কর সব বর্শায়
চলুন তাদের বিভিন্ন কোর্সে আমরাও সামিল হই
সমস্ত নীরবতা হোক আমাদের মাথার মুকুট
নিঃশব্দতাকে গোপন প্রতীক হিসেবে মান্য করি
তাদের মধ্যে তোমার সাথে, যদিও সকল মুহূর্তে মনে হয়Ñআমার সাথে,
কিন্তু একটি বিয়েতে একীভূত হলে, অবিবাহিত,
কুমারী নীরবতার সঙ্গে; তিক্ততায়, –
সেই ব্যক্তি, যে মাটির অভ্যন্তরে গ্রানাইট ভক্ষণ করে
আর আগামীর বৃত্ত পুরোদস্তুর পূর্ণ করে তোলে
এবং রাতে, উচ্চশব্দ নিবারণ করে,
নিজের কানের মাধ্যমে আপন ধ্বংসের পূর্বাভাস দেয়।
উত্তর
আহা, কী খাপছাড়া কথা
এপ্রিলের শেষ দিনগুলো আমাকে নিয়ে এসেছে এইখানে।
তুমি জেনেছ যে আমার প্রাণে এবং ভাবনায়
চলে গেছে সেই পবিত্র সপ্তাহের ভয়।
আমি হাঁটুর শব্দ শুনতে পাচ্ছিলাম না
বিমর্ষ নীলিমার নদী
কিন্তু তামাটে হাসি, সাত দিন ধরে –
কাঁদছে, প্রবাহিত রূপার মতো।
দুঃখের আঁচলে আমার মুখ লুকিয়ে
ভাগ্যাহত বিচ্ছেদের আগের মতো
আমি গতির অপেক্ষায় ছিলাম
তার থেকে, যাকে বলে যন্ত্রণা।
কবি পরিচিতি : কবির মূল নাম আনা আন্ড্রেয়েভনা গোরেনকো। ছদ্মনাম আন্না আখমাতোভা। ২০ শতকের রাশিয়ান উল্লেখযোগ্য কবিদের একজন তিনি। বিশ^কবিতায় আন্না আখমাতোভা এক অপরিহার্য নাম।
আখমাতোভা রচনাগুলি ঈষৎ গীতিময়, জটিল কাঠামো চক্রে ঠাসা। তাঁর বহুবর্ণিল কাব্যের প্রকরণ বিশ^ব্যাপী সমাদৃত। জীবনে নানাবিধ ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে তিনি চালিয়ে গেছেন কাব্যের চর্চা, এর জন্যে জীবন থেকে হারাতে হয়েছে অনেক মহামূল্যবান সম্পদও।
আখমাতোভার জীবন সম্পর্কে তথ্যের অপ্রতুলতা দেখা যায়। উত্তাল সময়ের অভিঘাত, যুদ্ধ, রক্তপাত, বিপ্লব এবং সোভিয়ত শাসনের ফলে বিপুল পরিমাণ লিখিত রেকর্ড ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে গিয়েছিল। সে কারণেই হয়তো এই অপ্রতুলতা। তাছাড়া জীবনে অজস্রবার তিনি সরকারি রোষানলে পড়েছেন। গৃহবন্দি হয়েছিলেন, পরিবার-পরিজন সহ সর্বস্ব হারিয়েছিলেন। কিন্তু কবিতার ভক্তদের ভালোবাসায় তিনি মৃত্যু পর্যন্ত সিক্ত হয়েছিলেন।
কবি Anna Akhmatova -এর দুটি কবিতা পত্রস্থ হলো। কবিতা দুটি Yevgeny Bonver-এর ইংরেজি অনুবাদ থেকে ভাষান্তরিত।
(তথ্যসূত্র : উইকিপিডিয়া)