
যৌবনের কাটাখাল বেয়ে বিপ্লব আসে
জীবনের দরজায়,
পরজীবী প্রেমে টগবগিয়ে ওঠে
দাপিয়ে বেড়ায় শৌর্য-বীর্যে
ঘোড় সওয়ারে যায় দিগ্বিজয়ের নেশায়।
যৌবনের দুঃসাহসী রথ কিছু কম আগ্রাসী নয়,
রক্তে-মাংসে গোষ্ঠীর সমান ন্যায্যতা চায়।
অথচ, দিগন্ত বিস্তৃত শ্যামলিমায়—
এক মানবীয় ভালোবাসায়
রক্তে আর মাংসে কি সুষম বণ্টন হয়!
অর্ধযৌবনের রোমাঞ্চিত পথেই
একদিন রেনেসাঁর জন্ম হয়
চতুর্ভূজ অধিকারে জ্যামিতিও স্বয়ম্ভর;
বিপ্লবের মদিরা ছুঁয়ে সন্ধ্যার ধুপধুনো থালে
যে জাত খোয়ায় অধর্মের কলে,
বিপ্লবই প্রেম জেনে আত্মবিসর্জন দেয় যে অর্বাচীন;
তৈলাক্ত বাঁশ বেয়ে যেতে যেতে
আনুগত্যের দেয়ালে আঁকে শূন্যের গুণিতক।
যোগ-বিয়োগের ফলাফল ভাগ শেষে
অবিভাজ্য হয় বিপ্লবের নামতায়।